একই পদে দুই ধরনের বেতন গ্রেড বিদ্যমান ? এ কেমন বৈষম্য ? বিস্তারিত জেনে নিন।
অডিটর কত তম গ্রেড থেকে ১০ গ্রেডের উন্নিত করার দাবী করা হয়েছে ?
অডিটর পদটি ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার দাবিটি দীর্ঘদিনের। ২০১৩ সালে এই দাবির পক্ষে আন্দোলন করা হয়, যার ফলস্বরূপ ০৩/১১/২০১৩ তারিখে অর্থ সচিব এবং মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহোদয় অডিটর পদসহ অন্যান্য নন-গেজেটেড পদকে আপগ্রেড করার প্রস্তাব অনুমোদন করেন। কিন্তু তা কার্যকর না হওয়ায় ২০১৫ সালে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট অডিটর পদকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার নির্দেশ প্রদান করেন। পরে সিএজি কার্যালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয় আপিল করলেও, আইনি প্রক্রিয়া শেষে অর্থ মন্ত্রণালয় ১৮/০৯/২০১৮ তারিখে অডিটর পদকে ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার জন্য অর্থ সচিব স্বাক্ষর করেন। মাননীয় অর্থমন্ত্রীও ১৮/০৯/২০১৮ তারিখে প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
আরও জানুনঃ পে স্কেল কি ? নবম পে স্কেল ২০২৪ সর্বশেষ অবস্থা জেনে নিন ?
পরবর্তীতে ২০/০৯/২০১৮ তারিখে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বাস্তবায়ন) ব্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগ-১ থেকে অডিটর পদকে ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার জন্য ইউ.ও নোট জারি করা হয়। তবে, দুঃখের বিষয় হলো, যেখানে অডিটর পদকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে, সেখানে শুধুমাত্র ৬১ জন রিটকারী অডিটরের জন্য জি.ও. (সরকারি আদেশ) জারি করা হয়েছে। এটি রীতিমতো বৈষম্যমূলক এবং আদালতের নির্দেশনার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নকে উপেক্ষা করা হয়েছে, যা আদালত অবমাননারও শামিল।
অডিটর কত তম গ্রেডে উন্নত করার সুপারিশ ছিল টিআইবি ?
টিআইবি (ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ)-এর ২০১৩ সালে প্রকাশিত “হিসাব মহা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়” শীর্ষক রিপোর্টে (পৃষ্ঠা ৫৫) চারটি নীতিগত উদ্যোগের মধ্যে ৩ নম্বর সুপারিশে বলা হয়েছিল যে, “সিজিএসহ সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদ মর্যাদা বৃদ্ধি করতে হবে। এক্ষেত্রে সিজিএর পদটি গ্রেড ১-এ উন্নীত করার পাশাপাশি এডিশনাল সিজিএ, সিএও, এএও, সুপারিন্টেন্ডেন্ট এবং অডিটরদের গ্রেড বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে।” কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, সিজিএ, এডিশনাল সিজিএ এবং সিএওদের গ্রেড বৃদ্ধি করা হলেও, নন-ক্যাডার এএও, সুপার এবং অডিটরদের ক্ষেত্রে টিআইবির সুপারিশ কার্যকর করা হয়নি। এমনকি মহামান্য উচ্চ আদালতের রায়কেও উপেক্ষা করা হয়েছে, যা আদালত অবমাননার (কনটেম্পট অব কোর্ট) শামিল।
আরও জানুনঃ সেনাবাহিনীর ছুটি কত প্রকার ও কি কি বা সামরিক বাহিনীর সদস্যগণ কি কি ছুটি প্রাপ্য হন ?
অডিটরদের সংবাদ সম্মেলন ?
আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, আমাদের শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত অধিকার আদায়ের কর্মসূচি একদল দুষ্কৃতিকারীর দ্বারা বিঘ্নিত হয়েছে। গত ১১/০৯/২০২৪ তারিখের মধ্যরাতে আমাদের গণ অবস্থান কর্মসূচির মঞ্চ ও প্যান্ডেল ভেঙ্গে দেয়া হয়। এটি আমাদের আন্দোলনকে বিতর্কিত করার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের অংশ বলে আমরা বিশ্বাস করি।
আমরা এতদিন ধরে অত্যন্ত সংযতভাবে ও শৃঙ্খলার সাথে আমাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এই কর্মসূচি পালন করে আসছি, কিন্তু কিছু অসাধু মহল বিভিন্নভাবে আমাদের কর্মসূচিকে নস্যাৎ করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ ও প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের এই ন্যায্য আন্দোলনে অডিট ও একাউন্টস অফিসার, এসএএস সুপার, অডিটর এবং জুনিয়র অডিটরসহ সকল নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারী আমাদের পাশে রয়েছেন এবং আমাদের দাবি সমর্থন করেছেন।
আমরা সকলের কাছে আহ্বান জানাই, এই ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থেকে আমাদের আন্দোলনকে শক্তিশালী করুন এবং ন্যায্য অধিকার আদায়ে আমাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করুন।
মহামান্য উচ্চ আদালতের রায় এবং মাননীয় আইন উপদেষ্টা জনাব আসিফ নজরুল স্যারের ইতিবাচক মতামতকে উপেক্ষা করে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে একটি বৈষম্যমূলক প্রহসনের জিও জারি করা হয়েছে, যেখানে অডিটর পদের গ্রেড ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার নির্দেশনা মানা হয়নি। এ ধরনের পদক্ষেপ অডিট এন্ড একাউন্টস বিভাগের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি এবং অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির অপপ্রয়াস বলে মনে হচ্ছে। সিএজি কার্যালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি কুচক্রী মহল, যারা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগী, জনসেবা প্রদানে বিঘ্ন সৃষ্টি করে যাচ্ছে।
মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং- ৯৩৯৯/২০১৫ এর রায় অনুযায়ী অডিটর পদটিকে ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল ০২/০২/২০১৬ তারিখে। পরবর্তীতে সরকারের আপিল ও রিভিউ পিটিশনগুলিও খারিজ করা হয়, যা রায়ের কার্যকারিতাকে আরও সুদৃঢ় করেছে। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় এই রায় শুধু রিটকারী ৬১ জন অডিটরের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য করেছে, বাকি প্রায় ৩৫০০ অডিটরকে ১১তম গ্রেডেই রেখে দিয়েছে, যা বৈষম্যমূলক। আদালতের রায় পুরোপুরি বাস্তবায়ন না করায় কনটেম্পট পিটিশন নং- ৭৫৯/২০১৯, ২৬৪/২০২১ এবং ৫৬৯/২০২১ দায়ের করা হয়, যেখানে একই ধরনের নির্দেশনা পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।
অডিটর পদকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার জন্য অডিট বিভাগ থেকে সিএজি মহোদয় বরাবর গত ০৮/০৮/২০২৪ তারিখে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয় এবং সিএজি কার্যালয় থেকে ১২/০৮/২০২৪ তারিখে অর্থ মন্ত্রণালয়কে পত্র প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আইন ও বিচার বিভাগের মতামত চাওয়া হয়, যা ইতিবাচক ছিল। তবে, এই সকল প্রক্রিয়া উপেক্ষা করে অর্থ মন্ত্রণালয় একটি বিভ্রান্তিকর জিও জারি করেছে, যা আদালতের রায়ের সরাসরি অবমাননা বলে বিবেচিত হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড অডিট এন্ড একাউন্টস ডিপার্টমেন্টের অডিটর পদে বৈষম্যের এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আইন উপদেষ্টা জনাব ড. আসিফ নজরুল স্যারের ইতিবাচক মতামতের পরেও অডিটর পদের বেতন ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের বিষয়টি বাস্তবায়িত হয়নি। প্রায় তিন সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পর, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে একটি পত্র (স্মারক নং-৩৮৬) জারি করা হয়, যেখানে উল্লেখ করা হয় যে কনটেম্পট পিটিশন নং-৭৫৯/২০১৯, ২৬৪/২০২১, এবং ৫৬৯/২০২১ এর আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা প্রয়োজন। মন্ত্রণালয় নির্দেশ দেয় যে আপিলের রায় পাওয়ার পরই এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২০/১০/২০২২ তারিখের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলার সকল আইনি প্রক্রিয়া নিঃশেষ হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি স্থগিত থাকবে। তবে, এটি একটি ভ্রান্ত এবং প্রাসঙ্গিক নয়, কারণ উক্ত নির্দেশনা মূলত উন্নয়ন প্রকল্প হতে রাজস্ব খাতে জনবল আত্মীকরণ সংক্রান্ত, যা অডিটর পদের ক্ষেত্রে কোনোভাবেই প্রযোজ্য নয়।
পরবর্তীতে, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আরেকটি পত্র (স্মারক নং-৩৯১) জারি করা হয়, যেখানে পূর্বের পত্রের স্ববিরোধী বক্তব্য প্রদান করা হয়। এখানে বলা হয় যে কনটেম্পট পিটিশনগুলোর পিটিশনার অর্থাৎ অডিটরদের ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যা সরাসরি আদালতের রায় প্রতিপালন। এই দ্বৈত ও স্ববিরোধী পত্র দুটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অস্থিরতা এবং আদালত অবমাননার স্পষ্ট প্রমাণ বহন করে।
অডিটর পদের বেতন স্কেল উন্নীতকরণ নিয়ে অর্থ বিভাগের পূর্বের পত্র (নং ৬৬, তারিখ: ২৩/০৫/২০২২) অনুযায়ী, যারা মামলার পক্ষভুক্ত নন তারাও সমান সুবিধা পাবেন। তা সত্ত্বেও, বর্তমানে অডিটরদের বৈষম্যের শিকার করা হচ্ছে এবং তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা হচ্ছে।
আমরা বিশ্বাস করি, অডিটর পদের ১০ম গ্রেড আমাদের কোনো নতুন দাবী নয়, এটি আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। সংবিধানের ২৯ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে কারও প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা যাবে না, আর সংবিধানের ১০৮ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আদালতের নির্দেশনা মেনে চলা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বাধ্যবাধকতা। আদালতের রায় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক মতামত সত্ত্বেও, অডিটর পদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নে বাধা প্রদান করা হচ্ছে, যা অডিট এন্ড একাউন্টস ডিপার্টমেন্টের অডিটরগণকে বৈষম্যের মধ্যে ফেলে রেখেছে।
আমরা আমাদের কর্মস্থলে ফিরতে ইচ্ছুক, তবে কিছু কুচক্রী মহল অন্তবর্তী সরকারকে বিব্রত করার জন্য এই প্রক্রিয়ায় বাঁধা সৃষ্টি করছে, যা আদালতের রায় এবং সিএজি কার্যালয়ের সুপারিশের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
আপনারা অবগত আছেন, অডিটর পদটি ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে (২য় শ্রেণী) উন্নীতকরণ করা হলে সরকারের আর্থিক সংশ্লিষ্টতা খুবই সামান্য হবে। কারণ, অডিটর পদে কর্মরত প্রায় ৩৩৮২ জনের মধ্যে মাত্র ১৪৫০ জন অডিটর কিছু আর্থিক সুবিধা পাবে। বাকি অডিটরগণ ইতিমধ্যে টাইমস্কেল বা সিলেকশন গ্রেড পেয়ে উচ্চ বেতন স্কেলে রয়েছেন। আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য আর্থিক সুবিধা নয়, বরং মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা। অডিটর পদটির গুরুত্ব এবং দায়িত্ব মাথায় রেখে আমরা ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবী জানাচ্ছি, যা সাংবিধানিক ও ন্যায়সংগত।
আরও জানুনঃ জিপিএফ এর নমিনি পরিবর্তন করার নিয়ম ২০২৪ ?
অন্যদিকে, অডিটরের সমকক্ষ ও নিন্মগ্রেডের অন্যান্য পদ যেমন সাব-রেজিস্ট্রার, উপজেলা সমবায় অফিসার, খাদ্য পরিদর্শক, কাস্টমস ইন্সপেক্টর, পুলিশের এসআই সহ অনেক পদ ইতিমধ্যে ২য় শ্রেণীতে উন্নীত হয়েছে। এমনকি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ATEO, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারাও ২য় শ্রেণীর পদে রয়েছেন। অথচ অডিটর, যে সরকারের আর্থিক স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে, তার পদবী এখনো ৩য় শ্রেণীতে রয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং মর্যাদাহানিকর।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা সকল ডিপার্টমেন্টের সংস্কারের উপর গুরুত্ব দিলেও অডিট এন্ড একাউন্টস ডিপার্টমেন্টে অডিটর পদে বৈষম্য দূরীকরণে এখনো কালক্ষেপণ করা হচ্ছে। এতে বোঝা যায়, অর্থ মন্ত্রণালয় ও সিএজি কার্যালয়ে এখনো ফ্যাসিস্ট সরকারের কিছু অনুসারী এবং সুবিধাভোগী সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে, যারা আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চক্রান্তে লিপ্ত। তারা বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারকে বিতর্কিত করতে এবং অডিট এন্ড একাউন্টস ডিপার্টমেন্টে অস্থিতিশীলতা তৈরি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার চাই, এবং এই অধিকার আদায়ে মহামান্য উচ্চ আদালতের রায় এবং মাননীয় আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল স্যারের ইতিবাচক মতামতের ভিত্তিতে অডিটর পদকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।
আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, যদি আজ বিকেল ৫:০০ ঘটিকার মধ্যে অডিটর পদকে ২৩/১২/২০১৮ খ্রি. থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে প্রয়োজনীয় “জি.ও.” জারি না করা হয়, তবে আগামী ১৭/০৯/২০২৪ তারিখ থেকে আমরা কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করব। আমাদের এই কর্মসূচি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস স্যারের রাষ্ট্র সংস্কারের নির্দেশনার অংশ হিসাবে অডিট এন্ড একাউন্টস বিভাগের সংস্কারের জন্য হবে।
আমরা আন্দোলন চাই না, আমরা আমাদের কাজেই ফিরে যেতে চাই। কিন্তু আমাদের অধিকার এবং আদালতের রায়ের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ছাড়া তা সম্ভব নয়।
ট্যাগঃ অডিটর কত তম গ্রেড ?,
আইবাস++ ও সরকারি নিউজের আপডেট পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন।
আমি বাংলাদেশ সরকারের অডিট এন্ড একাউন্টস বিভাগের একজন কর্মচারি। প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে কর্মরত থাকায় বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ার করে থাকি। তারপরও যে কোন ভুল ত্রুটি হলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কোন পরামর্শ থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।