ব্রেকিং: সরকারি ক্রয়ে পিপিআর ২০২৫ (PPR-25) জারি – ই-জিপি বাধ্যতামূলক, ১০% মূল্যসীমা বাতিলসহ ২১ টি তফসিল

🔹 সূচীপত্রঃ PPR-25

অধ্যায়	বিষয়বস্তু
১ম অধ্যায়	প্রারম্ভিক (বিধি ১-৩)
২য় অধ্যায়	দরপত্র বা প্রস্তাব প্রস্তুতকরণ, কমিটি (বিধি ৪-২১)
৩য় অধ্যায়	ক্রয় সংক্রান্ত নীতিসমূহ (বিধি: ২২-৭৭)
৪র্থ অধ্যায়	পণ্য, কার্য ও ভৌত সেবার ক্রয় পদ্ধতি (বিধি ৭৮-১০৯)
৫ম অধ্যায়	ক্রয় প্রক্রিয়াকরণ (বিধি ১১০-১২৩)
৬ষ্ঠ অধ্যায়	বুদ্ধিবৃত্তিক এবং পেশাগত সেবা ক্রয় (বিধি ১২৪-১৪৮)
৭ম অধ্যায়	পেশাগত অসদাচরণ (বিধি ১৪৯)
৮ম অধ্যায়	সরকারী ক্রয়ে ইলেকট্রনিক পদ্ধতি (বিধি ১৫০)
৯ম অধ্যায়	বিবিধ (বিধি ১৫১-১৫২)
তফসিল	মোট ২১টি তফসিল সংযুক্ত

---

নতুন পিপিআরের গেজেট প্রকাশ, যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে

সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও প্রতিযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে নতুন পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর), ২০২৫ সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে, যা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে কার্যকর হয়েছে। এটি দেশের সরকারি ক্রয় ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তনের সূচনা করেছে।

---

📘 সূচিপত্র

শিরোনাম	বিবরণ
১. পিপিআর ২০২৫ কী?	নতুন বিধিমালার মূল ধারণা
২. পিপিআর ২০২৫ কবে কার্যকর হয়েছে	গেজেট প্রকাশ ও কার্যকারিতা
৩. প্রণয়নের পটভূমি ও আইনি ভিত্তি	পিপিএ ২০০৬ এবং ১৬ নং অধ্যাদেশ
৪. প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ	বিপিপিএ, টিডব্লিউজি ও পরামর্শ সভা
৫. নতুন বিধিমালার মূল পরিবর্তন	প্রধান ১৬টি পরিবর্তনের বিস্তারিত
৬. ই-জিপি বাধ্যতামূলক করা	ক্রয়ে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন
৭. প্রকৃত উপকারভোগী প্রকাশ	স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ
৮. টেকসই সরকারি ক্রয়	পরিবেশবান্ধব ও সামাজিক দায়িত্ব
৯. কৌশলগত পরিকল্পনার বাধ্যবাধকতা	পরিকল্পিত সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনা
১০. ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্ট ও নেগোসিয়েশন	ক্রয় প্রক্রিয়ায় নমনীয়তা
১১. ডিবারমেন্ট বোর্ডের প্রতিষ্ঠা	অনিয়ম নিয়ন্ত্রণ ও সততা রক্ষা
১২. সম্পদ নিষ্পত্তির বিধান	অপ্রয়োজনীয় সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা
১৩. ক্রয়কারী ও দরদাতাদের মতামত	জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণমূলক সংস্কার
১৪. সরকারি কর্মকর্তাদের বক্তব্য	সংস্কারের গুরুত্ব ও প্রত্যাশা
১৫. উপসংহার	পিপিআর ২০২৫-এর ভবিষ্যৎ প্রভাব
১৬. FAQ	সাধারণ প্রশ্নোত্তর

---

🏛️ পিপিআর ২০২৫ কী?

পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর), ২০২৫ হলো সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ, দক্ষ, এবং ন্যায্য করার একটি নতুন বিধিমালা। এটি ২০০৮ সালের পিপিআর-কে প্রতিস্থাপন করে প্রণীত হয়েছে এবং ২০০৬ সালের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট (পিপিএ)-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করা হয়েছে।

📅 পিপিআর ২০২৫ কবে কার্যকর হয়েছে

নতুন বিধিমালা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে কার্যকর হয়। এর আগে একই দিনে প্রকাশিত হয় পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫, যা নতুন বিধিমালার আইনি ভিত্তি তৈরি করে।

---

⚖️ প্রণয়নের পটভূমি ও আইনি ভিত্তি

২০২৫ সালের ৪ মে বিপিপিএ নতুন বিধিমালা তৈরির উদ্যোগ নেয়। এতে কারিগরি দক্ষতা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে একটি Technical Working Group (TWG) গঠন করা হয়।
এছাড়া ১২টি জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের পরামর্শ সভার মাধ্যমে নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হয়।

🗣️ “২০০৮ সালের পিপিআরকে সময়োপযোগী করে নতুন বিধিমালা প্রণয়ন করা জরুরি ছিল”— বিপিপিএ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস. এম. মঈন উদ্দীন আহম্মেদ।২০০৬ সালের পিপিএ সংশোধন করে ২০২৫ সালের ১৬ নম্বর অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) ২০০৮ সালের বিধিমালা বাতিল করে নতুন পিপিআর, ২০২৫ প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়।

নতুন বিধিমালায় মোট ১৫৪টি বিধি এবং ২১টি তফশিল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

🏗️ প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ

বিপিপিএ ৪ মে ২০২৫ তারিখে প্রণয়ন কার্যক্রম শুরু করে। প্রক্রিয়াটি ছিল অংশগ্রহণমূলক ও প্রযুক্তিনির্ভর।

• টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপ (TWG) গঠন করা হয়, যাতে মন্ত্রণালয়, সরকারি ক্রয়কারী সংস্থা, ও জাতীয় প্রকিউরমেন্ট প্রশিক্ষকরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
• ১২টি বিস্তৃত পরামর্শ সভা আয়োজন করা হয়, যেখানে নীতি-নির্ধারক, দরদাতা, সাংবাদিক, নারী উদ্যোক্তা এবং উন্নয়ন সহযোগীরা অংশগ্রহণ করেন।
• জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও সংলাপ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ফলাফলস্বরূপ, অংশগ্রহণকারীদের মতামতের ভিত্তিতে ২০০৮ সালের বিধিমালা সম্পূর্ণরূপে বাতিল করে নতুন বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়।

আরও জানুন:কোন গ্রেডে কত বেতন ? সরকারি চাকরিতে কোন গ্রেডে কত বেতন ২০২৫ ?

🏛️ পিপিআর ২০২৫: সরকারি ক্রয়ে নতুন অধ্যায়

পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (PPR) ২০২৫ হলো বাংলাদেশের সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার একটি যুগান্তকারী নীতিমালা। এটি ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে কার্যকর হয়েছে। নতুন এই বিধিমালার মাধ্যমে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, প্রতিযোগিতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়েছে।

২০০৬ সালের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট (PPA-2006) এবং ২০০৮ সালের বিধিমালার ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (BPPA) নতুন করে পিপিআর ২০২৫ প্রণয়ন করেছে

🔍 পিপিআর ২০২৫ এর কাঠামো

নতুন পিপিআরে মোট ৯টি অধ্যায় এবং ২১টি তফসিল যুক্ত রয়েছে।
প্রতিটি অধ্যায়ে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ার ধাপ, পদ্ধতি ও নীতিমালা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

📑 পিপিআর ২০২৫ এর মূল পরিবর্তনসমূহ

নতুন বিধিমালায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে যা সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাকে আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর করেছে।

🟩 প্রধান পরিবর্তনগুলো হলো:

1. 🔸 ই-জিপি (e-GP) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে
   — সব ধরনের সরকারি ক্রয় এখন ইলেকট্রনিকভাবে সম্পন্ন হবে।
2. 🔸 অভ্যন্তরীণ ক্রয়ে ১০% মূল্যসীমা বাতিল
   — প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির জন্য এই সীমা তুলে দেওয়া হয়েছে।
3. 🔸 চুক্তি প্রাপ্তিতে প্রকৃত উপকারভোগী প্রকাশ বাধ্যতামূলক
   — স্বচ্ছতা ও দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য।
4. 🔸 টেকসই সরকারি ক্রয় (Sustainable Procurement)
   — পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
5. 🔸 ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্টের সম্প্রসারণ
   — দীর্ঘমেয়াদি ও পুনরাবৃত্তিমূলক ক্রয়ের জন্য সুবিধাজনক।
6. 🔸 ডিবারমেন্ট বোর্ড গঠন
   — অনৈতিক ক্রেতা বা দরদাতাকে নিষিদ্ধকরণের জন্য স্থায়ী বোর্ড।
7. 🔸 ভৌত সেবা (Physical Services)
   — আলাদা প্রকিউরমেন্ট ক্যাটাগরি হিসেবে স্বীকৃতি।
8. 🔸 কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন বাধ্যতামূলক।
9. 🔸 নেগোসিয়েশন প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ।
10. 🔸 সম্পদ নিষ্পত্তির স্পষ্ট বিধান।
11. 🔸 ইলেকট্রনিক রিভার্স অকশন অন্তর্ভুক্ত।
12. 🔸 সামাজিক ক্রয় উপাদান (নারী, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা) সংযোজন।
13. 🔸 নেগোসিয়েশন নিয়মাবলী হালনাগাদ।
14. 🔸 ক্রয় কমিটির দায়িত্ব স্পষ্টীকরণ।
15. 🔸 চুক্তি সংশোধন প্রক্রিয়া পুনর্নির্ধারণ।
16. 🔸 ইকোনমিক অপারেটরের প্রকৃত মালিকানা প্রকাশ বাধ্যতামূলক।

আরও জানুন:কোন ক্ষেত্রে Pay Fixation করতে হয় ? পে ফিক্সেশন নিয়ম, বেতন নির্ধারণ প্রক্রিয়া ?

🧭 পিপিআর ২০২৫ এর উদ্দেশ্য

• সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি।
• স্থানীয় উদ্যোক্তাদের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি।
• ক্রয় প্রক্রিয়ায় সময় ও ব্যয়ের সাশ্রয়।
• দুর্নীতি হ্রাস ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করা।
• ডিজিটাল বাংলাদেশ এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া অনলাইনে আনা।

💻 ই-জিপি বাধ্যতামূলক করা

পিপিআর ২০২৫ অনুযায়ী এখন থেকে সব ধরনের সরকারি ক্রয় ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (e-GP) প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।
👉 এটি ক্রয় প্রক্রিয়াকে ডিজিটাল করে দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধ করবে।
👉 দরপত্র জমা, মূল্যায়ন, এবং অনুমোদন সম্পূর্ণ অনলাইনে হবে।

🔍 প্রকৃত উপকারভোগী প্রকাশ বাধ্যতামূলক

চুক্তিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে এখন তাদের Beneficial Ownership প্রকাশ করতে হবে।
এর ফলে কাল্পনিক প্রতিষ্ঠান বা ফ্রন্ট কোম্পানির মাধ্যমে দুর্নীতি করার সুযোগ কমে যাবে।

🌱 টেকসই সরকারি ক্রয়

নতুন বিধিমালায় Sustainable Procurement বা টেকসই সরকারি ক্রয় আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এর উদ্দেশ্য হলো— পরিবেশবান্ধব, সামাজিকভাবে ন্যায্য এবং অর্থনৈতিকভাবে কার্যকর পণ্য ও সেবা ক্রয় নিশ্চিত করা।

📊 কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন বাধ্যতামূলক

প্রতিটি প্রকিউরমেন্ট ইউনিট এখন থেকে ক্রয়ের আগে Strategic Procurement Plan (SPP) তৈরি করবে।
এটি বাজেট ব্যয়ের সঠিক পরিকল্পনা এবং অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।

🤝 ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্ট ও নেগোসিয়েশন সম্প্রসারণ

নতুন বিধিমালায় Negotiation ও Framework Agreement প্রক্রিয়া আরও বিস্তৃত করা হয়েছে।
এর ফলে দীর্ঘমেয়াদি ও বৃহৎ প্রকল্পে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও খরচ নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে।

⚖️ ডিবারমেন্ট বোর্ড প্রতিষ্ঠা

একটি Debarment Board প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অনিয়মকারী দরদাতা ও সরবরাহকারীকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।
এটি সরকারি ক্রয়ের সততা রক্ষা ও প্রতিযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

🏗️ সম্পদ নিষ্পত্তির স্পষ্ট বিধান

সরকারি সংস্থার অপ্রয়োজনীয় বা অব্যবহৃত সম্পদের নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া এখন আরও সুসংহত।
এটি রাজস্ব আয়ের নতুন উৎস তৈরি করবে এবং সম্পদের অপচয় রোধ করবে।

🗣️ সরকারি কর্মকর্তাদের বক্তব্য

আইএমইডি সচিব মো. কামাল উদ্দিন বলেন—

“এটি সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় প্রতিযোগিতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।”

বিপিপিএ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস. এম. মঈন উদ্দীন আহম্মেদ বলেন—

“নতুন বিধিমালা দেশের সরকারি ক্রয় সংস্কারের ইতিহাসে এক মাইলফলক।”

আরও জানুন:gpf information ২০২৫: জিপিএফ কি এবং ব্যালেন্স দেখা ও অগ্রিম উত্তোলন করার নিয়ম ?

📘 পিপিআর ২০২৫ PDF ও বই ডাউনলোড নির্দেশনা

পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০২৫ (PPR 2025) PDF সংস্করণটি অফিসিয়ালভাবে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (BPPA) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। পিপিআর ২০২৫ এখানে ডাউনলোড করতে পারবেন।

🧩 অধ্যায়ভিত্তিক বিশ্লেষণ (সংক্ষিপ্তভাবে)

১ম অধ্যায়: প্রারম্ভিক (বিধি ১-৩)

বিধিমালার সংজ্ঞা, প্রযোজ্যতা এবং প্রয়োগকাল নির্ধারণ করা হয়েছে।

২য় অধ্যায়: দরপত্র ও কমিটি (বিধি ৪-২১)

দরপত্র প্রক্রিয়া, কমিটি গঠন ও দায়িত্ব বণ্টন নির্ধারিত হয়েছে।

৩য় অধ্যায়: ক্রয় সংক্রান্ত নীতিসমূহ (২২-৭৭)

দরপত্র বাতিল, অনুমোদন, চুক্তি ব্যবস্থাপনা, অভিযোগ ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত।

৪র্থ অধ্যায়: ক্রয় পদ্ধতি (৭৮-১০৯)

অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ক্রয় প্রক্রিয়ার বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

৫ম অধ্যায়: ক্রয় প্রক্রিয়াকরণ (১১০-১২৩)

বিজ্ঞাপন, প্রাকযোগ্যতা যাচাই ও দরপত্র প্রক্রিয়াকরণের নিয়মাবলি রয়েছে।

৬ষ্ঠ অধ্যায়: বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা (১২৪-১৪৮)

কনসালটেন্সি ও পেশাগত সেবা ক্রয়ের ধাপ নির্ধারণ করা হয়েছে।

৭ম অধ্যায়: পেশাগত অসদাচরণ (১৪৯)

অনৈতিক আচরণ, দুর্নীতি ও শাস্তির বিধান রয়েছে।

৮ম অধ্যায়: ইলেকট্রনিক ক্রয় (১৫০)

সম্পূর্ণ ই-জিপি পদ্ধতিতে ক্রয় কার্য সম্পাদনের নির্দেশনা।

৯ম অধ্যায়: বিবিধ (১৫১-১৫২)

বাকি সকল প্রশাসনিক ও কারিগরি বিষয় অন্তর্ভুক্ত।

💡 পিপিআর ২০২৫ এর গুরুত্ব

• সরকারি ব্যয়ের দক্ষতা বৃদ্ধি
• ক্রেতা-বিক্রেতা সম্পর্কের স্বচ্ছতা নিশ্চিত
• আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে সামঞ্জস্যপূর্ণ ক্রয় প্রক্রিয়া
• দুর্নীতি প্রতিরোধে নতুন ব্যবস্থা

📊 পিপিআর ২০২৫ এ নতুন সংযোজনের সারসংক্ষেপ

বিষয়	পরিবর্তন
ই-জিপি বাধ্যতামূলক	✅
১০% মূল্যসীমা বাতিল	✅
টেকসই ক্রয়	✅
উপকারভোগী প্রকাশ	✅
ডিবারমেন্ট বোর্ড	✅
ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট	সম্প্রসারিত
ভৌত সেবা	নতুন ক্যাটাগরি

---

🙋‍♂️ FAQs — সাধারণ জিজ্ঞাসা

🏁 উপসংহার

পিপিআর, ২০২৫ দেশের সরকারি ক্রয় সংস্কারের এক নতুন অধ্যায়। এটি ডিজিটাল, স্বচ্ছ ও ন্যায্য ক্রয় প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবে, যা সরকারের আর্থিক সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ এখন “স্মার্ট পাবলিক প্রকিউরমেন্ট সিস্টেম”-এর পথে এগিয়ে যাচ্ছে— যা জাতীয় উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করবে।পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস ২০২৫ বাংলাদেশের সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাকে এক নতুন মাত্রায় উন্নীত করেছে। স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও প্রতিযোগিতা নিশ্চিতের মাধ্যমে এটি শুধু সরকারি কাজ নয়, দেশের অর্থনৈতিক প্রশাসনিক কাঠামোকেও শক্তিশালী করবে।