২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারিদের জন্য মহার্ঘ ভাতা থাকছে না বিশেষ ইনক্রিমেন্ট ২০২৩ ?
২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারিদের জন্য মহার্ঘ ভাতা থাকছে না বিশেষ ইনক্রিমেন্ট ?
এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা । অপরদিকে সরকারের পক্ষ হতে জানা যাচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারিদের জন্য ২০২৩ সালে মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা থাকছে না।
পারিবারিক-পেনশন-ফরম-২-২ ” নিউজ হতে আইবাস++ ও সরকারি নিউজের আপডেট সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
সরকারি কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়েছে জানানো হচ্ছে— নিম্ন বেতনভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গর্ভনমেন্টের উপরের মহলকে বিষয়টি আমলে নেওয়ার অনুরোধ করেছেন।
২০১৫ সালে জাতীয় বেতন স্কেল কার্যকর হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে শতকরা প্রায় ৪০ শতাংশ। সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারিদের প্রতি বছর বার্ষিক ১টি ইনক্রিমেন্ট হিসেবে বেতন বেড়েছে মাত্র ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা। কিন্তু অর্থের অঙ্কে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৫ হাজার টাকা, বা তারও বেশি।
আরও জানুনঃ ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ৯ম পে স্কেল এবং মহার্ঘ ভাতা সহ ১১ দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের ?
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলছেন, সরকারকে ২০১৮ সালের সুপারিশ অনুযায়ী, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জীবনযাত্রার খরচ বৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতিসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আপাতত তিনটি ‘বিশেষ ইনক্রিমেন্ট’ ও ‘নবম পে-কমিশন’ গঠনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দিতে হবে। কারণ, সাম্প্রতিক বেতন স্কেলে সময় স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিল করায় নিম্ন বেতনভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংসার চালানো বেশ কষ্ঠ সাধ্য হয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবারের বাজেট আওয়ামী লীগ গর্ভনমেন্টের টানা তৃতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট।
এইজন্য এটাকে নির্বাচনি বাজেটও জানানো যায়। ৮ বছর পর এবারের বাজেটে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরস জন্য নতুন কয়েকটি সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে সব মহলে আলোচনা হচ্ছে। তবে নতুন পে-স্কেল নয়, মহার্ঘ ভাতার ব্যাপারটা নিয়ে চলছে এই আলোচনা। অনেকের ধারণা, নিবার্চনি সালের সরকারি কর্মচারীদের জন্য হয়তো-বা কোনও সুখবর থাকতে পারে। সরকারপ্রধান হয়তো আলাদাভাবে সেটি ঘোষণা করবেন।
আরও জানুনঃ সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারিদের মহার্ঘ ভাতার প্রস্তাব ২০২৩?
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, কর্মচারীদের জন্য যে কোন সময় ঘোষণা আসতে পারে। সেটি সম্ভবত এখনই বলতে চাইছে না সরকার।
- বাজেটের কোনও একটি খাতে মহার্ঘ ভাতার জন্য যে হিসাব অর্থের প্রয়োজন, তা হয়তো থোক বরাদ্দ হিসেবে রেখে দেওয়ার জন্য পারে সরকার।
- বরাদ্দের পর আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসের দিকে হয়তো-বা এ ব্যাপারে ঘোষণা দেবে সরকার।
- এর আগে যে কয়টি পে-স্কেল ও মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হয়েছে, তা বরাদ্দের ঘোষণার দুই-তিন মাস পর ঘোষণা করা হয়।
- তবে ঘোষণা যে মাসের মধ্যেই হোক না কেন, বিশেষ ইনক্রিমেন্ট ২০২৩ ,১ জুলাই হতে তা কার্যকর করা হবে।
ব্যাখ্যা হিসেবে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, বাজেটে এ খাতের জন্য সুনির্দিষ্ট বাজেট রাখা হয় না। অন্য কোনও ১টি খাত হতে এনে থোক বাজেট দেওয়া হবে।
আরও জানুনঃ ২০২৩ সালের সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারিদের মহার্ঘ ভাতা প্রস্তাব নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা হয়নি কিন্তু প্রস্ততি রেখেছে মন্ত্রণালয় ?
অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক সংকটের মুখে কৃচ্ছ্র সাধনসহ পাঁচ নির্দেশনা দিয়েছেন। - অন্যসব নির্দেশের ভিতরে বার্ষিক উন্নতি কর্মসূচি (এডিবি) বাস্তবায়নের হার বাড়াতে মনিটরিং,
- বিদেশি মুদ্রার রির্জাভ ধরে রাখা,
- হুন্ডি প্রতিরোধ করে বৈধপথে রেমিট্যান্স বাড়ানো তার সাথে গ্রামীণ উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া।
- সাম্প্রতিক কালে গণভবনে অনুষ্ঠিত বরাদ্দ সংক্রান্ত বৈঠকে এসব নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
- কিন্তু বৈঠকে সরকারী চাকরিজীবীদের জন্য মহার্ঘভাতা নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলে জানা গেছে। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের সার সংক্ষেপ ওই অধিবেশনে অনুমোদন দেওয়া হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে গণভবন সূত্র।
সূত্রঃ banglatribun
আমি বাংলাদেশ সরকারের অডিট এন্ড একাউন্টস বিভাগের একজন কর্মচারি। প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে কর্মরত থাকায় বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ার করে থাকি। তারপরও যে কোন ভুল ত্রুটি হলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কোন পরামর্শ থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।