২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারিদের বেতন বৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু করেছে মন্ত্রণালয় ?
২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারিদের বেতন বৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু করেছে মন্ত্রণালয় ?
মূল্যস্ফীতির সাথে সমন্বয় করে সরকারী চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধির প্রক্রিয়া আরম্ভ করেছে অর্থ বিভাগ। এ জন্য (বেতন-ভাতাদি) আদেশ-২০১৫ পরিবর্তন করা হচ্ছে। বেতন-ভাতাদি আদেশের ৩ ধারায় সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের প্রতিবছর বেতন বৃদ্ধির হার নির্ধারণ করা আছে।
সরকারি কর্মকরতা/কর্মচারীদের মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেতন বৃদ্ধির নির্দেশনা প্রদান করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
গুগল নিউজ হতে আপডেট ” নিউজ হতে আইবাস++ ও সরকারি নিউজের আপডেট সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
সে অনুযায়ী শুরুতে বেতন বৃদ্ধির রয়েছে হার সংস্কার করা হবে। অতঃপর ১ হতে ২০ গ্রেড পর্যন্ত সমান হারে বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব আসতে পারে। এতে সব গ্রেডের বেতন সমন্বয় হবে। আসছে বাজেটে মূল্যস্ফীতি ধরা হলো ৬.৫ শতাংশ।
গত এপ্রিল মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল রাষ্ট্রীয় হিসাবে ৯.২৪ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে সরকারী সহযোগীদের হেতু বেতনের ১০ শতাংশ বাড়লে বাড়তি ব্যয় হতে পারে চার হাজার কোটি টাকা। ২০১৫ সালে যখন সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো হয়, তখন মূল্যস্ফীতি ৩ থেকে ৫ শতাংশ ধরে পরের বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট সঠিক করা হয়।
তবে বর্তমানে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে বেতন বৃদ্ধির হার নির্ধারণ করতে ভারতসহ কতিপয় দেশের বেতনকাঠামো পর্যালোচনা করছে অর্থ বিভাগ।
একই সাথে বিভিন্ন গ্রেডের বেতন বৈষম্য সহনীয় করার বিষয়টিও মাথায় রাখা হয়েছে। এসব কাজ সমাপ্ত করে আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরে এসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি থেকে পারে।
আরও জানুনঃ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারিদের জন্য মহার্ঘ ভাতা থাকছে না বিশেষ ইনক্রিমেন্ট ২০২৩ ?
তবে অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার আগে বেতন বৃদ্ধির সব কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না। রিজন মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করতে বেতন-ভাতাদি আদেশসহ আরো কয়েকটি বিধি পরিবর্তন করতে হবে। এ জন্য অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগের সমন্বয়ে ১টি কমিটি তৈরী করা হতে পারে।
অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনু বিভাগ এতদ্ সংক্রান্ত প্রস্তাব নিয়ে কাজ শুরু করেছেন।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলের সঙ্গে নিউ বেতন বৃদ্ধির হার সমন্বয় করতে হবে। কারণ প্রতিবছর শ্রমিকদের যে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) হয়, সেখানে কারো ৩.৭৫ শতাংশ, কারো ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
আরও জানুন: পাইলট প্রকল্প আকারে ১ জুলাই ২০২৩ হতে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে সরকার ?
অর্থ বিভাগের হতে জানা যায় আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বরাদ্দ বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির প্রাথমিক ঘোষণা দিতে পারেন। অতঃপর বেতন বৃদ্ধির কাজ চূড়ান্ত করা হবে। শ্রমিকদের জন্য যে এক্সট্রা টাকার দরকার হবে তা বরাদ্দ ঘোষণার পরও মেটানো যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সরকারি চাকরিজীবীদের জাতীয় বেতন স্কেল পর্যালোচনা করে লক্ষ্য যায়, গ্রেড-১ কর্মকর্তাদের জন্য প্রতি মাসে ৭৮ হাজার টাকা বেতন নির্ধারিত। একইভাবে মন্ত্রিপরিষদসচিব, মুখ্য সচিব ও সমমর্যাদার পদের বেতন ৮৬ হাজার টাকা এবং সিনিয়র সচিব ও সমমর্যাদার পদের বেতন ৮২ হাজার টাকা নির্ধারিত। প্রতিবছর বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) হয় গ্রেড-২ পদে ৩.৭৫ শতাংশ, গ্রেড-৩ ও ৪ পদে ৪ শতাংশ, গ্রেড-৫ পদে ৪.৫ হারে, Grade-6 হতে ২০ পর্যন্ত পদে ৫% হারে বৃদ্ধি পায় ।
এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বাস্তবায়ন) আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আমরা সার্বিক ব্যপারে পরিকল্পনা নিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্দেশনা দেবেন সেভাবে বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ পাঠানো হবে।’ উনি বলেন, বেতন-ভাতাদি আদেশের বিভিন্ন বিধান পর্যালোচনা করা হচ্ছে। দরকার অনুযায়ী তা সংশোধন করা থেকে পারে।
অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব আবু দাইয়ান মোহম্মদ আহসানউল্লাহ বলেন, মূল্যস্ফীতির বিবেচনায় অবশ্যই কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি করার জন্য হবে। অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ এ নিয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, বাজেটে বেতন-ভাতার জন্য প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকবে। এর মধ্যে ৮ হতে ১০ হাজার কোটি টাকা সহজেই সমন্বয় করা সম্ভব। বরাদ্দ ঘোষণার ছয় মাস পর হলেও অতিরিক্ত ওই অর্থ সমন্বয় করা যাবে। রিজন অন্য অনেক খাতে অতিরিক্ত বরাদ্দ থাকে। সেই এক্সট্রা বরাদ্দের অর্থ ফের উপযোজন করার ধারা আছে।
আরও জানুন: কারেন্ট শক বা বৈদ্যুতিক শক কি ? ইলেকট্রিক শক এর পর করণীয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা ?
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ১০ শতাংশ হেতু বেতন বৃদ্ধি হলে চার হাজার কোটি, ১৫ শতাংশে ছয় হাজার কোটি তার সাথে ২০ শতাংশে আট হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত প্রয়োজন হবে। কি পরিমাণ বেতন বাড়বে এখানো থা ঠিক হয়নি। আগামী অর্থবছরের জন্য বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ধরা হলো ৬.৫ শতাংশ। সে ক্ষেত্রে এ হারই হতে পারে বেতন বৃদ্ধির ১টি ভিত্তি। আবার বাজেট ঘোষণার পর জুন বা জুলাই শেষে মূল্যস্ফীতির হার কত থাকে, সেটাও হতে পারে অন্যটি ভিত্তি। উভয় বিকল্প হাতে নিয়েই এগোচ্ছে অর্থ বিভাগ। কিন্তু যখনই বিজ্ঞপ্তি জারি হোক না কেন, তা কার্যকর করা ১ম জুলাই ২০২৩ হতে। বেতন স্কেলে বৈষম্য : অধুনা গ্রেড-১ (সচিব) পদে নিমিত্ত বেতন, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা, শিক্ষা, টিফিন, আপ্যায়ন, গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ, নিরাপত্তা, কুক, টেলিফোন, মুঠো ফোন ভাতাসহ বেতন এক লাখ ৮২ হাজার ১২০ টাকা। গ্রেড-১০-এ সর্বসাকল্যে বেতন ২৬ হাজার ৫০০ টাকা। এর ভিতরে বেতনের ব্যবধান এক লাখ ৫৫ হাজার ৬২০ টাকা।
আবার গ্রেড-১১ পদে সর্বমোট বেতন ২১ হাজার ৫৫০ টাকা। গ্রেড-২০ পদে ১৫ হাজার ১৭৫ টাকা। গ্রেড-১১ থেকে ২০ পদের মধ্যে বেতনের ব্যবধান ছয় হাজার ৩৭৫ টাকা।
সরকারি শ্রমিক দাবি আদায় একতা পরিষদের পৃষ্ঠপোষক হেদায়েত হোসেন বলেন, আধুনিক বাজারদর ও জীবনযাত্রার ব্যয় বিবেচনায় নতুন বেতনকাঠামো প্রণয়ন করা উচিত। এ জন্য আসন্ন জাতীয় বাজেটে পরিমিত অর্থ বরাদ্দ রাখা জরুরি।
আরও জানুনঃ ইউরিক অ্যাসিড বেশী থাকলে আমে খাওয়ার অপকারিতা কি ? আম খেলে কি ইউরিক এসিড বেশি হয় ?
সাবেক মন্ত্রিপরিষদসচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘উন্নত রাষ্ট্রে প্রতিবছর বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) হয় মূল্যস্ফীতি অনুযায়ী। আমাদের দেশে তা না হওয়ায় এই জটিলতা সৃষ্টি হয়। আজকাল জিনিসপত্রের যে দাম, তা বিবেচনায় নিলে মহার্ঘ ভাতা দেওয়াই উচিত ছিল। তবে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সংগতি রেখে বেতন বৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু প্রক্রিয়া করা হচ্ছে, এটা মন্দের ভালো।
রিলেটেড ট্যাগ: বেতন বৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু ?
সূত্র: কালের কন্ঠ
আমি বাংলাদেশ সরকারের অডিট এন্ড একাউন্টস বিভাগের একজন কর্মচারি। প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে কর্মরত থাকায় বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ার করে থাকি। তারপরও যে কোন ভুল ত্রুটি হলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কোন পরামর্শ থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।