nocomments

২০১৫ পে স্কেলে  কি কি বৈষম্য ছিল ?  ৯ম পে স্কেল কেমন হওয়া উচিত ?

Table of Contents

  ৯ম পে স্কেল বেতন কত হওয়া উচিত ?

সরকারি কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে বেতন বৃদ্ধি ও বৈষম্য নিরসনের দাবি জানিয়ে আসছেন, তবে পূর্ববর্তী সরকার তা অগ্রাহ্য করেছে। ২০তম গ্রেডের সর্বনিম্ন মূল বেতন ৮২৫০ টাকা, যা বেতন ভাতা মিলিয়ে মোট ১৪৪৫০ টাকা। ছয় সদস্যের একটি পরিবার চালাতে এ আয় অত্যন্ত অপ্রতুল, যার ফলে কর্মচারীরা সংসার চালাতে ঋণের বোঝা বাড়িয়ে চলেছেন। ৯ম পে স্কেল ও বেতন ভাতা বৃদ্ধির অতিরিক্ত করা একান্ত প্রয়োজন।

একই বাজারে যখন পণ্য কিনতে হয়, তখন মূল্য সমান হলেও বেতনের মধ্যে কেন এত বৈষম্য থাকবে? সরকারের উচ্চ এবং নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীদের মধ্যে বেতনের ফারাক বিরাজ করছে। বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে কর্মচারীদের মাস চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। বর্তমান পে-স্কেলে বেতন বৈষম্য অত্যন্ত বেশি। প্রথম গ্রেডে ৭৮ হাজার টাকা বেতন থাকলেও ২০তম গ্রেডে মাত্র ৮২৫০ টাকা। প্রথম গ্রেডের উপরে আরো দুটি গ্রেড থাকলেও, গ্রেড ১ থেকে ১০-এর পার্থক্য ৬৫০০ টাকা। অন্যদিকে, গ্রেড ১১ থেকে ২০-এর পার্থক্য মাত্র ৪২৫০ টাকা, যা বৈষম্যকে আরও প্রকট করে তুলেছে।

আরও জানুনঃ অনলাইনে পদোন্নতিতে বেতন নির্ধারণ করার উপায় ২০২৪ ?

জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী কোন গ্রেডের শুরুতে বেতন কত এবং বেতন বৃদ্ধির পরিমাণ কত ?

২০তম গ্রেডের বেতনঃ

২০তম গ্রেডের শুরুতে বেতন ৮২৫০ টাকা তারপর বেতন বৃদ্ধির পরিমাণ প্রথম বছরের ৪২০ টাকা, দ্বিতীয় বছরে ৪৪০ টাকা, তৃতীয় বছরে ৪৬০ টাকা ,

১৯তম গ্রেডের বেতনঃ ১৯তম গ্রেডে শুরুতে বেতন ৮ হাজার ৫০০ টাকা এবং প্রথম বছরে বৃদ্ধি পেয়ে ৪৩০ টাকা দ্বিতীয় বছরে ৪৫০ টাকা এবং তৃতীয় বছরে ৪৭০ টাকা।

১৮তম গ্রেডের বেতনঃ ১৮তম গ্রেড এর শুরুতে বেতন ৮৮০০ টাকা।  প্রথম বছরে বৃদ্ধি পায় ৪৪০ টাকা, দ্বিতীয় বছরে ৪৭০ টাকা এবং তৃতীয় বছরে ৪৯০ টাকা,

১৭তম গ্রেডের বেতনঃ ১৭তম শুরুতে বেতন ৯০০০ টাকা। প্রথম বছরে বৃদ্ধি পায় ৪৫০ টাকা দ্বিতীয় বছরে বৃদ্ধি পায় ৪৮০ টাকা এবং তৃতীয় বছরের ৫০০ টাকা।

১৬তম গ্রেডের বেতনঃ ১৬ তম গ্রেডে এর শুরুতে বেতন ৯৩০০ টাকা, প্রথম বছরে বৃদ্ধি পায় ৪৭০ টাকা, দ্বিতীয় বছরে বৃদ্ধি পায় ৪৯০ টাকা, তৃতীয় বছরে বৃদ্ধি পায় ৫২০ টাকা।

 ১৫তম গ্রেডের বেতনঃ ১৫তম গ্রেডে শুরুতে বেতন হচ্ছে ৯৭০০ টাকা। প্রথম বছরে বৃদ্ধি পায় ৪৯০ টাকা, দ্বিতীয় বছরে বৃদ্ধি পায় ৫১০ টাকা, তৃতীয় বছরের বৃদ্ধি পায় ৫৪০ টাকা ।

১৪ তম গ্রেডের বেতনঃ  ১৪তম গ্রেডের শুরেুতে বেতন১০২০০ টাকা। প্রথম বছরে বৃদ্ধি পায় ৫১০ টাকা, দ্বিতীয় বছরে বৃদ্ধি পায় ৫৪০ টাকা এবং তৃতীয় বছরে বৃদ্ধি পায় ৫৭০ টাকা।

১৩তম গ্রেডের বেতনঃ ১৩তম গ্রেডের শুরুতে বেতন ১১ হাজার টাকা। প্রথম বছরে বৃদ্ধি পায় ৫৫০ টাকা, দ্বিতীয় বছরে বৃদ্ধি পায় ৫৮০ টাকা এবং তৃতীয় বছরে বৃদ্ধি পায় ৬১০ টাকা ।

আরও জানুনঃ মেয়েদের ডিম্বাণু কি ? আপনার মাসিকের কত দিন পরে আপনি গর্ভবতী থেকে পারেন ? ৫০ বছর বয়সে কি গর্ভবতী হওয়া যায় ?

১২তম গ্রেডের বেতনঃ ১২তম গ্রেডের শুরুতে বেতন ১১ হাজার ৩০০ টাকা। প্রথম বছরে বৃদ্ধি পায় ৫৭০ টাকা, দ্বিতীয় বছরে বৃদ্ধি পায় ৬০০ টাকা এবং তৃতীয় বছরে বৃদ্ধি পায় ৬৩০ টাকা ।

১১তম গ্রেডের বেতনঃ ১১ তম গ্রেডে বেতন ১২৫০০ টাকা। প্রথম বছরে বৃদ্ধি পায় ৬৩০ টাকা, দ্বিতীয় বছরের ৬৬০ এবং তৃতীয় বছরের৬৯০ টাকা ।

১০তম গ্রেডের বেতনঃ ১০ তম গ্রেডে এর শুরুতে বেতন ১৬ হাজার টাকা। প্রথম বছরে বৃদ্ধি পায় ৮০০ টাকা, দ্বিতীয় বছরে ৮৪০ টাকা এবং তৃতীয় বছরে ৮৩০ টাকা।

৯তম গ্রেডের বেতনঃ নবম গ্রেডের শুরুতে বেতন ২২ হাজার টাকা, প্রথম বছরে বৃদ্ধি পায় ১১০০ টাকা, দ্বিতীয় বছরে ১১৬০ টাকা এবং তৃতীয় বছরে ১২২০ টাকা ।

৮তম গ্রেডের বেতনঃ অষ্টম গ্রেডের শুরুতে বেতন ২৩ হাজার টাকা এবং প্রথম বছরে বৃদ্ধি পায় ১১৫০ টাকা, দ্বিতীয় বছরে ১২১০ এবং তৃতীয় বছরে ১২৭০ টাকা।

৭ম তম গ্রেডের বেতনঃ ৭ম গ্রেডের এর শুরুতে বেতন ২৯ হাজার টাকা। প্রথম বছরের বৃদ্ধি পায় ১৪৫০ টাকা, দ্বিতীয় বছরে ১৫৩০ টাকা এবং তৃতীয় বছরের ১৬০০ টাকা।

 ৬ম তম গ্রেডের বেতনঃ ৬ষ্ঠ গ্রেডেরশুরুতে বেতন ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা ।প্রথম বছরে বৃদ্ধি পায় ১৭৮০ টাকা, দ্বিতীয় বছরে ১৮৭০ এবং দ্বিতীয় বছরে ১৯৬০ টাকা।

 ৫ম তম গ্রেডের বেতনঃ পঞ্চম গ্রেডের বেতন হচ্ছে ৪৩ হাজার টাকা। প্রথম বছরের ১৯৪০ টাকা, দ্বিতীয় বছরে ২০৩০ টাকা ও তৃতীয় বছরে ২১২০ টাকা।

চতুর্থ গ্রেডের বেতনঃ চতুর্থ গ্রেডের শুরুতে বেতন ৫০ হাজার টাকা। ১ম বছরের বৃদ্ধি পায় ২ হাজার টাকা, দ্বিতীয় বছরে দুই হাজার আশি টাকা, তৃতীয় বছরে ২১৭০ টাকা ।

৩য় গ্রেডের বেতনঃ ৩য় গ্রেডের শুরুতে বেতন ৫৬ হাজার ৫০০ টাকা। প্রথম বছরে বৃদ্ধি পায় ২২৬০ টাকা, দ্বিতীয় বছরে ২৩৬০ এবং তৃতীয় বছরে ২৪৫০ টাকা।

২য় গ্রেডের বেতনঃ দ্বিতীয় গ্রেড এর শুরুতে বেতন ৬৩ হাজার টাকা। প্রথম বছরে বৃদ্ধি পায় ২৪৮০ টাকা, দ্বিতীয় বছরে ২৫৭০ এবং তৃতীয় বছরের ২৬৭০ টাকা

১ম গ্রেডের বেতনঃ ৭৮,০০০/- টাকা নির্ধারিত ।

আরও জানুনঃ স্বামীর বা স্ত্রীর মৃত্যুর পর পেনশনের জন্য আবেদন করার উপায় ? মৃত ব্যক্তির পেনশন কে  পাবে ?স্বামীর মৃত্যুর পর পেনশন কে পাবে ?

২০তম গ্রেডের বেতনের সাথে ১৯তম গ্রেডের বেতন বৃদ্ধির তুলনা ?

 ২০তম গ্রেডের সাথে ১৯তম গ্রেডের প্রথম বছরের বেতন বুদ্ধির প্রার্থক্য তুলনা করলে ১৯তম গ্রেডের শুরুতে ১০ টাকা বেড়েছে, ২য় বছরে বেড়েছে, ১০ টাকা, ৩য় বছরে বেড়েছে, ১০ টাকা্।

১৮তম গ্রেডের বেতনের সাথে ১৭তম গ্রেডের বেতন বৃদ্ধির তুলনা ?

১৮তম গ্রেডের সাথে ১৮তম গ্রেডের প্রথম বছরের বেতন বুদ্ধির প্রার্থক্য তুলনা করলে ১৭তম গ্রেডের শুরুতে ১০ টাকা বেড়েছে, ২য় বছরে বেড়েছে ১০ টাকা, ৩য় বছরে বেড়েছে ১০ টাকা্।

১৬তম গ্রেডের বেতনের সাথে ১৫তম গ্রেডের বেতন বৃদ্ধির তুলনা ?

১৬তম গ্রেডের সাথে ১৫তম গ্রেডের প্রথম বছরের বেতন বুদ্ধির প্রার্থক্য তুলনা করলে ১৫তম গ্রেডের শুরুতে ২০ টাকা বেড়েছে, ২য় বছরে বেড়েছে ২০ টাকা, ৩য় বছরে বেড়েছে ২০ টাকা্।

১৪তম গ্রেডের বেতনের সাথে ১৩তম গ্রেডের বেতন বৃদ্ধির তুলনা ?

১৪তম গ্রেডের সাথে ১৩তম গ্রেডের প্রথম বছরের বেতন বুদ্ধির প্রার্থক্য তুলনা করলে ১৩তম গ্রেডের শুরুতে ৪০ টাকা বেড়েছে, ২য় বছরে বেড়েছে ৪০ টাকা, ৩য় বছরে বেড়েছে ৪০ টাকা্।

১২তম গ্রেডের বেতনের সাথে ১১তম গ্রেডের বেতন বৃদ্ধির তুলনা ?

১২তম গ্রেডের সাথে ১১তম গ্রেডের প্রথম বছরের বেতন বুদ্ধির প্রার্থক্য তুলনা করলে ১১তম গ্রেডের শুরুতে ৬০ টাকা বেড়েছে, ২য় বছরে বেড়েছে ৯০ টাকা, ৩য় বছরে বেড়েছে ১০০ টাকা্।

অর্থাৎ ১১গ্রেড থেকে ২০গ্রেড পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধির পরিমাণ খুবই নগণ্য আবার অনেক ক্ষেত্রে কমে গেছে।

আরও জানুনঃ জিপিএফ এর নমিনি পরিবর্তন করার নিয়ম ২০২৪ ?

উচ্চতর গ্রেড ছিল ২০১৫ সালের পে স্কেল ছিল শুভঙ্করের ফাঁকি !!!  

  • জাতীয় বেতনস্কেল-২০১৫-এর ৭(১) এবং ৭(২) অনুযায়ী যদি একই পদে কোনো প্রকার পদোন্নতি ছাড়া ১০ বছর পূর্ণ করেন, তবে ১১তম বছরে এবং পরবর্তী ছয় বছর পূর্ণ হলে পরবর্তী সপ্তম বছরে সন্তোষজনকভাবে চাকারি করলে পরপর দুটি উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্য হবেন।  

১০দশ বছর উচ্চতর গ্রেড পেলে দেখুন কত টাকা বৃদ্ধি পায় !!!

  • একজন সরকারি কর্মচারি ১৫তম গ্রেডে ২৩/০৪/২০১৪ সালে সহকারী উপ খাদ্য পরিদর্শক পদে যোগদান  করে । তার বর্তমান বেতন ১৫৮৭০/- টাকা। চাকুরীর বয়স ১০ বছর পূর্তিতে ২৩/০৪/২০২৪ খ্রিঃ তারিখে ১ম উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্য হয়। এখন তার বেতন কত হবে।
  • বেতন নির্ধারণ করার পর তার টনক নড়ে !! চলুন আমরা বেতন নির্ধারণ জেনে নিই।
  • ১৫তম গ্রেডের বেতন স্কেলঃ ৯৭০০-১০১৯০-১০৭০০-১১২৪০-১১৮১০-১২৪১০-১৩০৪০-

১৩৭০০-১৪৩৯০-১৫১১০-১৫৮৭০-১৬৬৭০১৭৫১০-১৮৩৯০-১৯৩১০-২০২৮০-২১৩০০-২২৩৭০-২৩৪৯০

  • ১৫তম গ্রেডে তার বর্তমান বেতন ১৫৮৭০/- টাকা।
  • ১৪তম গ্রেডের বেতন স্কেল : ১০২০০-১০৭১০-১১২৫০-১১৮২০-১২৪২০-১৩০৫০-১৩৭১০-

১৪৪০০-১৫১২০-১৫৮৮০-১৬৬৮০-১৭৫২০১৮৪০০-১৯৩২০-২০২৯০-২১৩১০- ২২৩৮০- ২৩৫০০-২৪৬৮০

  • ১তম গ্রেডে তার বর্তমান বেতন ১৫৮৮০/- টাকা।
  • তার বেতন বৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ১০ টাকা।

আরও জানুনঃ পারিবারিক পেনশন কে কে পাবে ? বিস্তারিত জানুন ?

টাইমস্কেল এবং সিলেকশন গ্রেড পুনারায় চালু করা ?

  • পূর্বের ন্যায় টাইমস্কেল এবং সিলেকশন গ্রেড পুনরায় চালু করতে হবে।
  • বেতন স্কেল এর সর্বশেষ ধাপে পৌঁছে গেলে পরবর্তী ধাপে ইনক্রিমেন্ট এর ব্যবস্থা করা ?

পদোন্নতির ব্যবস্থা চালু করতে হবে ?

১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের ক্ষেত্রে অনেকেরই চাকরি থাকলেও বেতনস্কেলের সর্বশেষ ধাপে পৌঁছে যাওয়ার কারণে তাদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি থমকে গেছে। তাদের বেতন স্কেল এর সর্বশেষ ধাপে পৌঁছে গেলে পরবর্তী ধাপে ইনক্রিমেন্ট এর ব্যবস্থা করতে হবে।

সব ডিপার্টমেন্টের কর্মচারীদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে। পদোন্নতি না হলে পাঁচ বছর পর উচ্চ গ্রেড প্রদান করা উচিত। বর্তমানে কর্মচারীরা মাসিক ২০০ টাকা টিফিন ভাতা পাচ্ছেন, যা একেবারেই পর্যাপ্ত নয়। প্রশ্ন রয়ে গেল নীতিনির্ধারকদের কাছে, ২০০ টাকায় কতদিন টিফিন খাওয়া সম্ভব? নবম জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণা করে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনরায় কার্যকর করা অত্যন্ত জরুরি। সচিবালয়ের মতো সব বিভাগে পদোন্নতির সুযোগ এবং পেনশন ১০০% বহাল রাখতে হবে। পেনশনের গ্রাচুইটি হার ৫০০ টাকা করা প্রয়োজন।

৯ম পে স্কেল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার ?

সরকারি কর্মচারীদের জন্য নবম পে-স্কেল অত্যন্ত জরুরি, কারণ শুধু বেতন বৃদ্ধি নয়, বেতন বৈষম্যও দূর করতে হবে। নতুন চাকরিজীবীদের মধ্যে কেউ কেউ বেতন বৈষম্যের কারণে চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন, কারণ তারা সংসার চালাতে পারছেন না। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার নবম পে-স্কেল ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছে। সম্প্রতি প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে, এবং কর্মসূচির ঘোষণাও হয়েছে। বিশেষ করে ১১ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। সবকিছু বিবিচনা করে ২০২৫ সালে ৯ম পে স্কেল ঘোষণা দিতে পারে।

ফোরামের দাবিসমূহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে ৫০% মহার্ঘ ভাতা প্রদান। এছাড়াও, বঙ্গবন্ধুর ১৯৭৩ সালের ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপের বেতন স্কেল এবং টাইম স্কেল পুনর্বহাল করতে হবে। সকল বিভাগের কর্মচারীদের জন্য পেনশন, বেতন স্কেল, এবং গ্রাচুইটি পুনর্বিন্যাস করতে হবে। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর এবং অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করা উচিত।

প্রস্তাবিত ৯ম পে স্কেল কেমন হওয়া উচিত ?

  • প্রতি ৮ বছর পর পর সকল চাকরিজীবির বেতন গ্রেড পরিবর্তন করতে হবে, যাতে তাদের চাকরিজীবনে ন্যূনতম ৩ বার গ্রেড উন্নীত হওয়ার সুযোগ থাকে। এতে প্রমোশনবিহীন পদগুলোর কর্মীরা হতাশ হবে না।
  • ২০ গ্রেডের পরিবর্তে ১৬ গ্রেড নির্ধারণ করলে এটি কার্যকর হতে পারে।
  • ১৬ গ্রেডের কাঠামো ৪ শ্রেণিতে ভাগ করে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা উচিত। ১ম শ্রেণির নিয়োগ ৪র্থ গ্রেডে, ২য় শ্রেণির নিয়োগ ৮ম গ্রেডে করা হলে শ্রেণির মধ্যে সুষমতা বজায় থাকবে।
  • চাকরিজীবিদের জন্য ন্যূনতম ৩ বার গ্রেড উন্নীত হওয়ার সুযোগ রাখা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, ৩য় শ্রেণির কর্মীরা ১২তম গ্রেডে শুরু করবে এবং প্রতি ৮ বছর পর ৯ম গ্রেড পর্যন্ত উন্নীত হবে। ১ম শ্রেণির কর্মীরা ৪র্থ গ্রেড থেকে শুরু করবে এবং প্রতি ৮ বছর পর ১ম গ্রেডে পৌঁছাবে।
  • সর্বনিম্ন গ্রেড ৮৫০০ টাকা থেকে শুরু করে প্রতি ধাপে ২০০০/২৫০০/৩০০০ টাকা বেতন ব্যবধান রাখা উচিত। এতে চাকরিজীবিদের মধ্যে সমতা আসবে।
  • ২টি গ্রেড পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত বাড়ি ভাড়া কমানো উচিত নয়।

৯ম পে স্কেল বেতন ভাতা বৃদ্ধির অতিরিক্ত প্রস্তাবনা ?

  • বাজারমূল্য ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সকল ভাতাদি পুনঃনির্ধারণ করা উচিত। ১১-২০ গ্রেডের চাকরিজীবিদের জন্য রেশন ব্যবস্থা বা ন্যায্যমূল্যে পণ্য সরবরাহ করা উচিত।
  • সকল সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কাজের ধরন অনুযায়ি পদনাম ও গ্রেড পরিবর্তন সহ অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করা উচিত। গ্রাচ্যুয়িটির পরিবর্তে পেনশন চালু এবং গ্রাচ্যুয়িটি ৯০% এর পরিবর্তে ১০০% নির্ধারণ করা উচিত।

আরও জানুনঃ কোন গ্রেডে কত বেতন ? সরকারি চাকরিতে কোন গ্রেডে কত বেতন ২০২৪ ?

৯ম পে স্কেল ও অন্যান্য দাবি ?

অন্যান্য দাবি:

  • ৯ম পে স্কেল মুল বেতন এর প্রতি বছর ১০% ইনক্রিমেন্ট প্রদান করতে হবে।
  • ৫ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড দিতে হবে এবং বেতন বৃদ্ধি ২০% হতে হবে।
  • বাড়ি ভাড়া মূল বেতনের ৬০% করতে হবে, গ্রাম ও শহরে একই শতাংশ।
  • ভ্রমণ ভাতা ৩০০০ টাকা, টিফিন ও লাঞ্চ ভাতা ৬০০০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৭০০০ টাকা (পরিবারের ৭ জনের জন্য), শিক্ষা ভাতা ৫০০০ টাকা (১ সন্তানের জন্য) এবং ১০০০০ টাকা (২ সন্তানের জন্য) চাই।
  • উৎসব ভাতা বছরে ৪টি মূল বেতন চাই, নববর্ষ ভাতা ৫০% মূল বেতন, শ্রান্তি বিনোদন ভাতা ৩টি মূল বেতন।
  • বিদ্যুৎ বিল ১৫০০ টাকা, গ্যাস বিল ২০০০ টাকা, পিতা-মাতার ভাতা ৫০০০ টাকা।
  • দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেলে বেতন সমন্বয় করা উচিত।
  • দুর্নীতির প্রমাণ পেলে চাকরিচ্যুতি, জেল বা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা উচিত।
  • সব মিলিয়ে, পে-স্কেলের বিষয়ে সরকারের ইতিবাচক মনোভাব দেখা যাচ্ছে। ২০২৫ সালের মধ্যে নবম পে-স্কেল ঘোষিত হতে পারে বলে কর্মচারীরা আশা করছেন।

আইবাস++ ও সরকারি নিউজের আপডেট জানতে আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন।

Reply

error: Content is protected !!