রমজানের চাঁদ দেখার নিয়ম এবং সেহরী ও ইফতার সূচী ২০২৩ ?

রমজানের সেহরী খাওয়ার নিয়ম ২০২৩

ঢাকা জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩
ঢাকা জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩
  • রোযা রাখিবার উদ্দেশ্যে শেষ রাত যাহাকিছু খাওয়া হয়, তাহাকে সেহ্রী বলে। সেহরী খাওয়া সুন্নত। ক্ষুধা না থাকিলে অন্ততঃ ২/১টি খোরমা বা অন্য কোন জিনিস খাইবে। কিছু না হইলে একটু পানি পান করিবে। (ইহাতেও সুন্নত আদায় হইবে।
  • সেহরীর সময় যদি কেহ সেহ্রী না খাইয়া মাত্র (এক মুষ্টি চাউল পানি দিয়া খায় বা) একটি পান খায়, তাহাতেও সেহরী খাওয়ার সওয়াব হাছেল হইয়া যাইবে।
  • সেহ্রী যথাসম্ভব দেরী করিয়া খাওয়া ভাল, এত দেরী করা উচিত নহে যাহাতে ছোবহে ছাদেক হইবার আশংকা হয় এবং রোযার মধ্যে সন্দেহ আসিতে পারে। অনেকক্ষণ পর্যন্ত খাইতে থাকে, ছোব্‌হে ছাদেক হওয়ার অল্প পূর্বে কুল্লি করিয়া ফেলে, তবুও দেরী। করিয়া খাওয়ার সওয়াব পাইবে। ইহার হুকুমও দেরী করিয়া খাওয়ার হুকুম। (সেহ্রী খাওয়ার আসল সময় সূর্যাস্ত হইতে ছোব্‌হে ছাদেক পর্যন্ত যে কয় ঘণ্টা হয় তাহার ছয় ভাগের শেষ ষষ্ঠ ভাগ। যদি কেহ ইহার পূর্বে ভাত ইত্যাদি খায়, কিন্তু চা, পান ইত্যাদি এই শেষ ষষ্ঠাংশে করে তবে তাহাতেও মুস্তাহাবের সওয়াব হাছেল হইবে।)

আরও জানুুনঃ

সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা কি ? সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার আইন ২০২৩ ?

  • যদি রাত্রে ঘুম না ভাঙ্গে এবং সেই জন্য সেহরী খাইতে না পারে, তবে সেহরী পা না খাইয়া রোযা রাখিবে। সেহরী না খাওয়ার কারণে রোযা ছাড়িয়া দেওয়া বড়ই কাপুরুষতার লক্ষণ এবং বড়ই গোনাহ্র কাজ।
  • যে পর্যন্ত ছোব্‌হে ছাদেক না হয় অর্থাৎ, পূর্বদিকে সাদা বর্ণ না দেখা যায়, সে পর্যন্ত সেহ্রী খাওয়া দুরুস্ত আছে। ছোব্‌হে ছাদেক হইয়া গেলে তারপর আর কিছুই খাওয়া-দাওয়া দুরুস্ত নহে।
  • যদি কেহ দেরীতে ঘুম হইতে উঠিয়া ‘এখনও রাত আছে, ছোব্‌হে ছাদেক হয় নাই,’ এই মনে করিয়া সেহরী খায়, পরে জানিতে পারে যে, ঐ সময় রাত ছিল না, তবে ঐ রোযা ছহীহ্ হইবে না, ঐ রোযার পরিবর্তে আর একটি রোযা ক্বাযা করিতে হইবে; কাফ্ফারা দিতে হইবে না। কিন্তু ঐ দিনেও কিছু পানাহার করিতে পারিবে না। এইরূপে যদি সূর্য ডুবিয়া গিয়াছে, এই মনে করিয়া ইফতার করিয়া ফেলে এবং পরে জানেত পারে যে, সূর্য ডুবে নাই, তবে ঐ রোযা ছহীহ্ হইবে না।

আরও জানুনঃ

ই-নামজারি কি ? ই-নামজারি আবেদন বা ই-নামজারি সিস্টেম নাগরিকের আবেদন করার উপায় ?

  • দেরী করিয়া উঠিয়া যদি সন্দেহ হয় যে, হয়ত ছোব্‌হে ছাদেক হইয়া গিয়াছে, তবে ঐ সময় কিছু খাওয়া-দাওয়া মাহ্। ঐরূপ সন্দেহের সময় কিছু খাইলে গোনাগার হইবে এবং রোযার ক্বাযা করিতে হইবে। কিন্তু যদি এক্বিনীভাবে জানিতে পারে যে, ছোবহে ছাদেক হয় নাই, তবে রোযার ক্বাযা করিতে হইবে না। আর যদি কিছু ঠিক করিতে না পারে সন্দেহই থাকিয়া যায়, তবে ক্বাযা ওয়াজিব নহে, কিন্তু ক্বাযা রাখা ভাল।
  • যখন নিশ্চিতরূপে জানা যায় যে, সূর্য অস্ত গিয়াছে তখন আর দেরী না করিয়া শীঘ্রই ইফতার করা মুস্তাহাব। দেরী করিয়া ইফতার করা মকরূহ্।
  • আবরের (মেঘের) দিনে কিছু দেরী করিয়া ইফতার করা ভাল। শুধু ঘড়ি-ঘণ্টার উপর নির্ভর করা ভাল নয়। কারণ, ঘড়ি-ঘণ্টাও প্রায় সময় ভুল হয়। অতএব, আবরের দিনে যতক্ষণ ঈমানদার ব্যক্তির দিলে সূর্য অস্ত গিয়াছে বলিয়া সাক্ষ্য না দেয়, ততক্ষণ ইফতার করিবে না। কাহারও আযানের উপরও পূর্ণ নির্ভর করা উচিত নহে। কারণ, মোয়াযেনেরও ভুল হইতে পারে। কাজেই ঈমানদারের দিলে গাওয়াহী না দেওয়া পর্যন্ত ছবর করাই ভাল। ওয়াক্ত হইল কি না সন্দেহ হইলে ইফতার করা দুরুস্ত নাই।
  • খোরমার দ্বারা ইফতার করা সবচেয়ে উত্তম। খোরমার অভাবে অন্য কোন মিষ্টি জিনিস দ্বারা এবং তদভাবে পানি দ্বারা ইফতার করা ভাল। কেহ কেহ লবণ দিয়া ইতার করাকে সওয়াব মনে করে। এই আকীদা ভুল।
  • যে পর্যন্ত সূর্যাস্ত সম্বন্ধে কিছুমাত্র সন্দেহ থাকে, সে পর্যন্ত ইফতার করা জায়েজ নহে।

ঢাকা জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ?

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়ম অনুযায়ী সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ প্রকাশ করা হয়েছে।

সেহরী ও ইফতার সূচী

ঢাকা জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ?
সেহরী ও ইফতার সূচী

বিভাগীয় ও জেলা শহরের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩

বিভাগীয় ও জেলা শহরের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ?

ঢাকা জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ?
ঢাকা জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ?

রমজানের চাঁদ দেখার নিয়ম ২০২৩

  • আকাশে যদি মেঘ বা ধূলি থাকে, তবে মাত্র একজন পুরুষ বা স্ত্রী সত্যবাদী দ্বীনদার লোকের সাক্ষ্যতেই রমযানের চাঁদ প্রমাণিত ও সাব্যস্ত হইবে।
  •  ২৯শে রমযান যদি আকাশে মেঘ থাকে, তবে ঈদের চাঁদ প্রমাণিত হইবার জন্য অন্ততঃ দুইজন বিশ্বস্ত দ্বীনদার পুরুষ অথবা দ্বীনদার একজন পুরুষ এবং দ্বীনদার দুইজন স্ত্রীলোকের সাক্ষ্য আবশ্যক, অন্যথায় ঈদের চাঁদ প্রমাণিত হইবে না। যদি একজন অতি বিশ্বস্ত, অতি ধার্মিক পুরুষেও সাক্ষ্য দেয়, অথবা শুধু চারি জন স্ত্রীলোক সাক্ষ্য দেয়, পুরুষ কেহই সাক্ষ্য না দেয়, তবে তাহাতে ঈদের চাঁদ প্রমাণিত হবে না ও  রোযা রাখতে হবে।

গুগল নিউজ হতে আপডেট ” নিউজ হতে আইবাস++ ও সরকারি নিউজের আপডেট সংগ্রহ করে নিতে পারেন।

  •  যে লোক শরীঅতের হুকুম মত চলে না, অনবরত শরা’র বরখেলাফ কাজ করিতে থাকে ; যেমন, হয়ত নামায পড়ে না, রোযা রাখে না, মিথ্যা কথা বলে, (অথবা সুদ খায়) অথবা এইরূপ অন্য কোন গোনাহ্ কাজে লিপ্ত থাকে, শরীআতের পাবন্দী করে না। শরীআতে এইরূপ লোকের কথার কোনই মূল্য নাই। এই রকমের লোক যদি শত শত কসম খাইয়াও বয়ান করে, তবুও তাহার কথা বিশ্বাস করা যাইবে না। এমন কি, যদি এই ধরনের দুই তিন জন। লোকেরও বর্ণনা দেয়, তবুও তাহা দ্বারা কিছুই প্রমাণিত হইবে না।
  • মশহুর আছে, যে দিন রজব মাসের ৪ তারিখ হইবে, সেদিন রমযানের প্রথম তারিখ হইবে। শরীঅতে ইহার কোন মূল্য নাই। চাঁদ না দেখিলে রোযা রাখিবে না।
  • হাদীস শরীফে আছে, চাঁদ দেখিয়া এইরূপ বলা যে, চাঁদ অনেক বড়। ইহা আজকার চাঁদ নয় কালকার চাঁদ, এইরূপ বলা বড়ই খারাপ। ইহা কিয়ামতের একটি আলামত। সারকথা, চাঁদ বড় ছোট হওয়ার কথার কোন মূল্য নাই। হিন্দুদের কথা বিশ্বাস করিও না যে, আজ দ্বিতীয়া, আজ অবশ্য চাঁদ উঠিবে। শরীআতে এ সব কথার কোন মূল্য নাই।
  • আকাশ যদি সম্পূর্ণ পরিষ্কার থাকে এবং তা সত্ত্বেও চাঁদ দেখা না যায়, তবে দুই চারিজনের বলাতে এবং সাক্ষ্য দেওয়াতে চাঁদ প্রমাণিত হইবে না। রমযানের চাঁদ হউক বা ঈদের চাঁদ হউক। অবশ্য যদি এত লোকে চাঁদ দেখার প্রমাণ দেয়, যাহাতে মনে দৃঢ় ধারণা হয় যে, এত লোক কিছুতেই মিথ্যা কথা বানাইয়া বলিতে পারে না, তবে চাঁদ প্রমাণিত হইয়া যাইবে।

আরও জানুুনঃ

দৈনিক ভাতা কি ? আইবাস++এ অনলাইনে ভ্রমণ বিল ও দৈনিক ভাতা সংক্রান্ত নীতিমালা ২০২৩ ?

  • অনেক সময় এরকম হয় যে, দেশ ব্যাপিয়া মহূর হইয়া যায় যে, কাল চাঁদ দেখা গিয়াছে ; কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে সমস্ত দেশ খুঁজিয়া একজনেও দেখিয়াছে বলিয়া প্রমাণ পাওয়া গেল না ; শরীঅতে এইরূপ ভিত্তিহীন গুজবের কোনই মূল্য নাই।
  • রমযান শরীফের চাঁদ মাত্র একজন লোকে দেখিল, অন্য কেহই দেখিল না ; কিন্তু সে লোক শরীআতের পাবন্দ না হওয়ার কারণে অন্য লোকে রোযা রাখিবে না। কিন্তু তাহার নিজের রোযা রাখিতে হইবে। কিন্তু যদি এই লোকের প্রমাণের হিসাবে ৩০ রোযা হইয়া যাওয়া সত্ত্বেও ঈদের চাঁদ দেখা না যায়, তবে তাহার ৩১ রোযা রাখা ওয়াজিব হইবে, ঈদ তাহাকে সকলের সঙ্গেই করিতে হইবে।
  • ঈদের চাঁদ যদি কেহ একা একা দেখে, অন্য কেহ না দেখে, তবে অন্যেরা ত তাহার কথা গ্রহণ করিবেই না, সে নিজেরও একা ঈদ করা দুরুস্ত নাই। পরদিন তাহারও রোযা রাখিতে হইবে, রোযা ভাঙ্গিতে পারিবে না ।
  • ৩০শে রমযান যদি দিনের বেলায় চাঁদ দেখা যায়, দুপুরের পরে দেখা যাউক বা পূর্বে দেখা যাউক, কিছুতেই রোযা ভাঙ্গা যাইবে না, সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোযা রাখিতে হইবে সূর্যাস্তের পর নিয়ম মত ইফতার করিতে হইবে, ঐ চাঁদকে সামনের রাত্রের চাঁদ ধরিতে হইবে গত রাত্রের ধরা যাইবে না। যদি কেহ দিনের বেলায় চাঁদ দেখিয়া রোযা ভাঙ্গিয়া ফেলে, তবে তাহার কাফ্ফারা দিতে হইবে। —বেঃ গাওহার

রিলেটেড ট্যাগঃ আজকের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি, সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ঢাকা, সেহরির শেষ সময় ২০২৩, আজকের ইফতারের সময়সূচি,সেহরী ও ইফতার সূচী

Reply

error: Content is protected !!