nocomments

ইউরিক অ্যাসিড বেশী থাকলে আমে খাওয়ার অপকারিতা কি ? আম খেলে কি ইউরিক এসিড বেশি হয় ?

গ্রীষ্মকাল মানেই আমের মৌসুম। এই ঋতুতে সকলেই প্রচুর হিসাবে আম খান। এই ফলটি শুধুমাত্র সুস্বাদুই নয়, শরীরের জন্যও উপকারী। অথচ কারও শরীরে যদি বেশি ইউরিক অ্যাসিড থাকে তাহলে আম খাওয়া কি ঠিক বা আম খেলে ইউরিক এসিড বেশি হয়?

আরও জানুনঃ মধুর উপকারিতা এবং খাঁটি মধু চেনার উপায় ? মধু খাওয়ার নিয়ম ও সময় ?

অনেকের মতে, আমে সুন্দর হিসাবে ফাইবার রয়েছে। আর ইউরিক অ্যাসিড থাকলে বিপাকক্রিয়া Slow হয়ে পড়ে। এ কারণে ইউরিক অ্যাসিড থাকলেও আম খাওয়া উপকারী। আবার অনেকের মতে, আমে থাকা অন্যান্য উপকরণ ইউরিক অ্যাসিড রোগীদের জন্য মঙ্গলময় নাও হতে পারে। পুষ্টিবিদের মতে বেশী ইউরিক অ্যাসিড থাকে তাহলে আম খাওয়া উচিত কিনা ?

আম খেলে কি ইউরিক এসিড বেশি হয় ?

পুষ্টিবিদের মতে, আমে চিনির হিসাব বেশি তার সাথে এজন্য এটি রক্তে শর্করার হিসাব বাড়িয়ে তুলতে পারে। এ কারণে যখন প্রচুর আম খাওয়া হয়, সেই সময় এতে উপস্থিত ফ্রুক্টোজ কেবলমাত্র রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না বরং ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও বাড়ায়। যার ফলে লিভারের প্রবলেম তার সাথেগেঁটে বাত বেদনা আরও বৃদ্ধিতে পারে।

আরও জানুনঃ খালি পেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা ? লেবু পাতার উপকারিতা ? ক্যান্সার প্রতিরোধে লেবু

তিনি জানান, একজন গেঁটে বাত রোগীর শরীরে ফ্রুক্টোজ বাড়লে তা বিপজ্জনক হতে পারে, কারণ দেহ যখন ফ্রুক্টোজ ভেঙে দেয় সেই সময় পিউরিন নিঃসৃত হয়। পিউরিন বেড়ে গেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ে। ফলে শরীরের প্রদাহ তার সাথে বেদনা আরও বেড়ে যায়।

পুষ্টিবিদের জানান, আম একটি মৌসুমি ফল তার সাথে এটা খাওয়াও কতিপয় দিক হতে উপকারী। কিন্তু কারও যদি ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকে, তাহলে সীমিত সংখ্যায় আম খাওয়া উচিত। সপ্তাহে মাত্র ২ বার তবুও নগণ্য পরিমাণে ভোজন করা উচিত। ইউরিক অ্যাসিডের প্রবলেম থাকলে প্রতিদিন পর্যাপ্ত সংখ্যায় আম খাওয়া ক্ষতিকারক। এতেগেঁটে বাত প্রবলেম আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

গুগল নিউজ হতে আপডেট ” নিউজ হতে আইবাস++ ও সরকারি নিউজের আপডেট সংগ্রহ করে নিতে পারেন।

রিলেটেড ট্যাগঃ ইউরিক অ্যাসিড বেশী থাকলে আমে খাওয়ার অপকারিতা কি ? আম খেলে কি ইউরিক এসিড বেশি হয় ?আম খেলে ইউরিক এসিড,

Reply

error: Content is protected !!