মানবদেহের আকৃতি এবং প্রতিদিনের কাজ সম্পাদনের জন্য বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন ও খনিজ লবণের প্রয়োজন । বয়সভেদে ভিটামিনের চাহিদার ভিন্নতা ঘটে। যা ডেইলি খাবার থেকে সেটি পূরণ হয় না, তখন প্রয়োজন হয় পরিপূরক। যেমন গর্ভাবস্থায় দেহে বিভিন্ন ভিটামিনের ডিমান্ড বেড়ে যায়। আবার কিছু ভিটামিন আছে, যা এ সময়ে সেবন করলে মা তার সাথে গর্ভের সন্তানের লস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সুতরাং এসব সম্পর্কে অনুমান থাকা জরুরি।
গুগল নিউজ হতে আপডেট ” নিউজ হতে আইবাস++ ও সরকারি নিউজের আপডেট সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
ডিএনএ উৎপাদন, রক্ত তৈরি, ভ্রূণের বৃদ্ধি, ভ্রূণের স্নায়ু ভ্রান্তি ও আবির্ভাব ত্রুটি প্রতিহত করতে ফলিক অ্যাসিডের প্রয়োজনীয়তা অসীম। ডেইলি প্রায় ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক অ্যাসিড খাওয়া উচিত।
নবজাতকের হাড় ও দাঁতের গঠনের জন্য ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘনত্ব সন্তপর্ণে সন্তপর্ণে কমতে থাকে। এজন্য এ সময় ক্যালসিয়ামের চাহিদা বেড়ে যায়। গর্ভাবস্থায় দিনে ২০০ হতে ৩০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। যেহেতু নবজাতকের হাড়ের আকৃতি ১২ সপ্তাহ পর থেকে চালু হয়, এইজন্য ক্যালসিয়াম ১২ সপ্তাহ পর থেকে সেবন করতে হবে।
আয়রন নবজাতেকের কাছে অক্সিজেন পৌঁছাতে সাহায্যে করে । প্রতিদিন গর্ভাবস্থায় ১৭ মিলিগ্রাম আয়রন প্রয়োজন হয়। এছাড়াও নবজাতক ও মায়ের রক্ত শূন্যতা তৈরী করে। আয়রনের অভাবে ছোট্ট শিশু ও মা দুজনের রক্তস্বল্পতা হতে পারে। এ ছাড়া এর অভাবে অপরিণত ছোট্ট শিশু জন্মদান, মায়ের মানসিক অবসন্নতা ও নানারকম জটিলতা প্রস্তুত হতে পারে। আয়রনের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়, যার হতে গর্ভপাত পর্যন্ত হতে পারে। সুতরাং আয়রন ১২ সপ্তাহের পর হতে খাওয়া যেতে পারে।
আরও জানুনঃ গর্ভাবস্থায় বা প্রেগনেন্ট হলে নারীর শরীরের পরিবর্তন বা লক্ষণ দেখা যায় ?
গর্ভাবস্থায় আর ১টি প্রয়োজনীয় উপাদান হলো আয়োডিন। এর অনটনে গর্ভপাত, মৃত নবজাতক প্রসব, বাচ্চার খর্বাকৃতি গঠন তার সাথে নবজাতকের মানসিক প্রবলেম দেখা দিতে পারে। এ জন্য এই সিচুয়েশনে প্রতি দিন ১৫০ মিলিগ্রাম আয়োডিন খেতে হবে।
Vitamin D গর্ভাবস্থায় প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। শিমু হাড়, দাঁত, স্কিন এবং চোখের জন্য Vitamin D দরকার।
গর্ভাবস্থায় দৈনিক ৬৫০ মিলিগ্রাম ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড দরকার। এর দারিদ্রে অপরিণত ও কম ওজনসমৃদ্ধ ছোট্ট শিশু জন্ম নিতে পারে।
জিংক: গর্ভাবস্থায় জিংক অনেক দরকারী উপাদান। এ সময় দৈনিক ১১ মিলিগ্রাম জিংক খেতে হবে। এটা অপরিণত ও কম ওজনের ছোট বাচ্চা জন্মদান প্রতিরোধ করে।
গর্ভাবস্থায় আরেকটি দরকারী উপকরণ ভিটামিন সি। এটি আয়রন হজমে সাহায্য করে। দৈনিক ৭০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি দরকার।
ভিটামিন এর হিসাব দরকারের চেয়ে বেশি হয়ে গেলে শিশু জন্মত্রুটি নিয়ে জন্ম নিতে পারে। মায়ের লিভার বিকৃত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যদিও নবজাতকের দৃষ্টিশক্তি ও রোগ প্রতিরোধে ভিটামিন এ দরকার, কিন্তু সন্তান ও মায়ের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকায় এটা হতে বিরত থাকতে হবে। এ সময় যতটুকু ভিটামিন এ দরকার, আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় আহার থেকেই এর ডিমান্ড পূরণ হয়।
Vitamin E খাওয়া জন্য পেটের ব্যাথা হতে পারে। ফলে মিসকারেজ হতে পারে । সুতরাং এটি খাওয়া যাবে
প্রেগনেন্সির প্রথম ১২ মাস ভমিটিং টেনডেনসি থাকে। সে জন্য কিছু ভিটামিন ১২ সপ্তাহের পরে হতে খাওয়া ভাল।
• গর্ভাবস্থায় ভিটামিনের চাহিদা অধিক থাকে।
• খাবারে অরুচি।
• তীব্র বমি ভাব।
• গর্ভাবস্থায় সাধারণ সময়ের চেয়ে বহু সচেতনতা অবলম্বন করতে হয়। একারণে ভিটামিনসহ যেকোনো ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক নিয়মে সাবধানতার সাথে সেবন করতে হবে।
রিলেটেড ট্যাগঃ গর্ভাবস্থায় যে ভিটামিন,
আমি বাংলাদেশ সরকারের অডিট এন্ড একাউন্টস বিভাগের একজন কর্মচারি। প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে কর্মরত থাকায় বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ার করে থাকি। তারপরও যে কোন ভুল ত্রুটি হলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কোন পরামর্শ থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।
এটিও/টিও এবং উপজেলা/থানা রিসোর্স সেন্টারের সহকারী ইন্সট্রাক্টরগণের ভ্রমন বিল বৃদ্ধির ভ্রমণ ভাতা গেজেট ২০২৪ ?…
দ্রব্যমূল্যে উর্ধগতির কারণে জীবনযত্রার ব্যয় বৃদ্ধির ফলে সরকারি কর্মকর্ত/কর্মচারিদের বেতন বৃদ্ধির দাবি দীর্ঘ দিনের ।…
রাজস্বখাতভুক্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের “সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩” এর তৃতীয় ধাপরে লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ২০২৪…
সারা দেশে অসংখ্য বেসরকারি এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। এসব বেসরকারি এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক,…
বাংলাদেশে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা কত ? বাংলাদেশে শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী…
পোস্ট সামারীঃ কতদিন থাকছে ঈদুল ফিতর ২০২৪ সালে সরকারি ছুটি ? ঈদুল ফিতর ২০২৪ সরকারি…