সরকারি চাকরিতে অবসরের নতুন নিয়ম ?
সরকারি চাকরিতে অবসরের নতুন নিয়ম ? সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৫% বেতন বৃদ্ধি ও প্রশাসনিক সংস্কারের সুপারিশ ?
সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৫% বেতন বৃদ্ধি ও প্রশাসনিক সংস্কারের সুপারিশ:
সরকারি কর্মচারীদের জন্য বার্ষিক ৫% বেতন বৃদ্ধি ও প্রশাসনিক কাঠামোয় পরিবর্তন আনতে একটি স্থায়ী বেতন কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
প্রতি বছর ৫% বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশের মুদ্রাস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বিশ্লেষণ করে সরকারি কর্মচারীদের মূল বেতন প্রতি বছর ৫% হারে বৃদ্ধি করা যেতে পারে। তবে, এই বৃদ্ধির হার ৫%-এর বেশি হবে না। এজন্য একটি স্থায়ী বেতন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
১৫ বছর চাকরির পর অবসরের সুযোগ
সরকারি চাকরিতে অবসরের নতুন নিয়ম ? বর্তমানে চাকরিজীবীরা ২৫ বছর চাকরি করার পর পেনশন সুবিধাসহ অবসর গ্রহণের সুযোগ পান। নতুন সুপারিশ অনুযায়ী, ১৫ বছর চাকরির পরই পেনশন সুবিধাসহ অবসরের অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে কর্মজীবন পরিবর্তনের ইচ্ছা থাকা কর্মচারীরা সহজেই চাকরি ছাড়ার সুযোগ পাবেন।
আরও জানুনঃপ্রশাসনিক ও ব্যাক্তিগত কর্মকর্তারা মহার্ঘ ভাতা নয় চান অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট ?
প্রশাসনিক কাঠামোর পরিবর্তন: নতুন ‘এসইএস’ ব্যবস্থা
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারকে ‘বাংলাদেশ প্রশাসনিক সার্ভিস’ হিসেবে পুনর্গঠনের প্রস্তাব করেছে। এতে মাঠ প্রশাসনের পদগুলো প্রশাসন সার্ভিসের জন্য সংরক্ষিত থাকবে, আর সচিবালয় পরিচালিত হবে সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস (SES) এর কর্মকর্তাদের মাধ্যমে। SES-এ উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে।
বিভিন্ন ক্যাডারের নতুন পদ ও গ্রেড
সুপারিশ অনুযায়ী, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের শুরুর পদ থাকবে সহকারী কমিশনার, আর মাঠ পর্যায়ে শীর্ষ পদ হবে বিভাগীয় কমিশনার, যার গ্রেড হবে ১।
অন্যান্য ক্যাডারগুলোর জন্য আলাদা পদ নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সহকারী পরিচালক, উপজেলা প্রধান, পরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও মহাপরিচালক। প্রতিটি ক্যাডারের জন্য একটি শীর্ষ পদ নির্ধারিত থাকবে, যেমন ‘চিফ অব হেলথ সার্ভিস’।
আরও জানুনঃ অফিস সহায়ক পদের ইতিহাস ? অফিস সহায়ক এর কাজ কি ২০২৪ ?
নতুন নিয়োগ ও পদোন্নতির ব্যবস্থা
সকল সরকারি সার্ভিসের কর্মকর্তাদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে ‘সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস (SES)’ এ যোগ দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। যারা পরীক্ষা দেবেন না বা অকৃতকার্য হবেন, তারা নিজ নিজ সার্ভিসের পদোন্নতির সুযোগ পাবেন।
উপসংহার
এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত হলে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি, অবসরের সুযোগ ও প্রশাসনিক কাঠামোর উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। এটি দেশের সরকারি কর্মসংস্থান ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর ও আধুনিক করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।
আইবাস++ ও সরকারি নিউজের আপডেট জানতে আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন।
আমি বাংলাদেশ সরকারের অডিট এন্ড একাউন্টস বিভাগের একজন কর্মচারি। প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে কর্মরত থাকায় বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ার করে থাকি। তারপরও যে কোন ভুল ত্রুটি হলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কোন পরামর্শ থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।