কিভাবে বুঝবেন আপনার বাচ্চা সুস্থ আছে ? ৩ মাসের গর্ভবতী বাচ্চা কতবার নড়াচড়া করে ?পেটে বাচ্চা নড়াচড়া না করলে করনীয় ?
পোস্ট সামারীঃ
- কিভাবে বুঝবেন আপনার বাচ্চা সুস্থ আছে ?
- ৩ মাসের গর্ভবতী বাচ্চা কতবার নড়াচড়া করে ?
- পেটে বাচ্চা নড়াচড়া না করলে করনীয় ?
- আপনার পেটের সন্তান সুস্থ আছে কিনা আপনাকে কি কি পরীক্ষা করতে হয় ?
- গর্ভাবস্থার সাধারণ উপসর্গ ?
৩ মাসের গর্ভবতী বাচ্চা কতবার নড়াচড়া করে ?
- ৩ মাসের গর্ভবতী বাচ্চার নড়াচড়া: গর্ভধারণের ১৮-২০ সপ্তাহ পর হতে একজন মা সন্তানের নড়াচড়া বুঝতে পারেন।
- পেটে বাচ্চার নড়াচড়া বাচ্চার সুস্থতা সম্বন্ধে ধারণা দিয়ে থাকে ।
- একটি সুস্থ বাচ্চা স্বাভাবিক পরিমাণ নড়াচড়া করে থাকে । এই নড়াচড়ার সংখ্যা হলো ১২ ঘণ্টায় ১০ বার ।
- আপনি ১২ ঘণ্টায় ১০ বার নড়াচড়া পেয়ে থাকলে আপনার বাচ্চা সুস্থ আছে মনে করতে পারেন ।
- আপনি যদি ১২ ঘণ্টায় দশবার না পেয়ে ৬-৮ বার নড়াচড়া পেয়ে থাকেন, তবে পরদিন অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সাথে দেখা করবেন।
আরও জানুনঃ গর্ভাবস্থায় যে সব ভিটামিন খাওয়া যাবে না এবং কোন ভিটামিন খাওয়া যাবে ?
পেটে বাচ্চা নড়াচড়া না করলে করনীয় ?
- আর যদি আপনি ১০ বারের স্থলে ২-৪ বার নড়াচড়া পেয়ে থাকেন, তবে ঐ দিনই আপনার ডাক্তারের সাথে দেখা করবেন ।
- নড়াচড়া সম্বন্ধে একটা কথা মনে রাখতে হবে তা হলো, বাচ্চা যদি একসাথে পেটের বিভিন্ন জায়গায় নড়ে ওঠে তবে এটা একটি নড়াচড়া হিসেবেই গুনতে হবে।
- আর যদি বাচ্চা কিছুক্ষণ পরপর পেটের বিভিন্ন জায়গায় নড়ে ওঠে, তবে তার প্রত্যেকটিকে একটি ভিন্ন নড়াচড়া হিসেবে গুনতে হবে ।
- অক্সিজেন কমে গেলে বাচ্চার নড়াচড়া কমে যায় ।
- মায়ের রক্তশূন্যতা কারণে বাচ্চার নড়াচড়া কমে যায়।
গুগল নিউজ হতে আপডেট ” নিউজ হতে আইবাস++ ও সরকারি নিউজের আপডেট সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
পেটে বাচ্চা নড়াচড়া না করলে বা বাচ্চা কম নড়াচড়া করলে দ্রুত ডাক্তারের পরমর্শ করা উচিত।
আপনার পেটের সন্তান সুস্থ আছে কিনা আপনাকে কি কি পরীক্ষা করতে হয় ?
সিটিজি (CTG) :
- এ মেশিনদ্বারা বাচ্চার হার্টের ক্রিয়াকলাপ রেকর্ড করা হয় ।
- এছাড়া জরায়ুর সংকোচন (Contraction)ও রেকর্ড করা হয় ।
- একটি গ্রাফিক কাগজের ওপর এগুলো রেকর্ড করা হয়।
- সিটিজি করার সময় আপনার হাতে একটি ছোট যন্ত্র দেওয়া হবে ।
- আপনি যখনই বাচ্চার নড়াচড়া পাবেন, তখনই ঐ যন্ত্রটির বোতামে চাপ দেবেন আর তখনই বাচ্চার নড়াচড়া এই গ্রাফে রেকর্ড হয়ে যাবে ।
- এভাবে তৈরি গ্রাফটি দেখে আপনার সন্তানের অবস্থা নির্ণয় করা যায় ।
- সিটিজি ভালো হলে বলা যায় যে আপনার সন্তান অন্তত আগামী ২৪ ঘণ্টা ভালো থাকবে ।
বায়োফিজিক্যাল প্রোফাইল (Biophysical profile):
- বায়োফিজিক্যাল প্রোফাইল পদ্ধতির অংশ হিসাবে আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিন দ্বারা বাচ্চার চারিদিকের পানির পরিমাণ নির্ণয় ছাড়াও বাচ্চার শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় নির্ণয় ও বাচ্চা বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গের নড়াচড়া রেকর্ড করা হয়।
- সিটিজি এবং আল্ট্রাসনোগ্রাফি পরীক্ষার ফলাফলের যোগফলই হলো বায়োফিজিক্যাল প্রোফাইল ।
গর্ভাবস্থার সাধারণ উপসর্গ ?
গর্ভাবস্থায় মহিলাদের কতগুলো সাধারণ উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এখন আমি এগুলোর ওপর আলোকপাত করতে চাই :
গর্ভাবস্থার সাধারণ উপসর্গ :
অতিরিক্ত থুতু বের হওয়া : গর্ভাবস্থায় প্রথম দিকে কারো কারো মুখে অতিরিক্ত থুতু তৈরি হতে পারে। সময়ের সাথে সাথে এই সমস্যা কমতে থাকে এবং এক সময় স্বাভাবিক হয়ে যায় ।
প্রস্রাবের অসুবিধা : ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া পুরো গর্ভাবস্থারই একটা উপসর্গ । তবে এটা গর্ভাবস্থায় প্রথম ও শেষের দিকেই বেশি হয়ে থাকে । প্রস্রাব পরীক্ষা করার পর যদি কোন অসুবিধা না পাওয়া যায়, তবে চিন্তা করার কোন কারণ নেই ।
পায়ে পানি আসা : শরীরের নিম্নাংশে যেমন পায়ের পাতা, গোড়ালী ও পায়ের মধ্যে একটু পানি জমা গর্ভকালীন সময়ে একটি সাধারণ ব্যাপার । কিন্তু এই পানি জমা যদি খুব দ্রুত হয় অর্থাৎ যদি ১-২ দিনের মধ্যেই শরীরে বেশ পানি দেখা দেয় ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ফুলে যায়। তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। শরীরে পানি জমা দেখা দিলে অবশ্যই আপনার রক্তচাপ দেখে নেবেন। মনে রাখবেন, রক্তচাপ ঠিক থাকলে পায়ে পানি আসলে সাধারণত কোন অসুবিধা হয় না ।
আরও জানুনঃ গর্ভাবস্থায় বা প্রেগনেন্ট হলে নারীর শরীরের পরিবর্তন বা লক্ষণ দেখা যায় ?
রিলেটেড ট্যাগঃ কিভাবে বুঝবেন বাচ্চা সুস্থ আছে,৩ মাসের গর্ভবতী বাচ্চার নড়াচড়া, ৫ মাসের গর্ভবতী বাচ্চার নড়াচড়া, ৪ মাসের গর্ভবতী বাচ্চার নড়াচড়া, ৬ মাসের গর্ভবতী বাচ্চার নড়াচড়া, সুস্থ প্রেগন্যান্সির লক্ষণ, গর্ভাবস্থা ভালো হচ্ছে কিভাবে বুঝবেন, কোমর ব্যথা কি প্রেগন্যান্সির লক্ষণ, সাদা স্রাব কি প্রেগন্যান্সির লক্ষণ, প্রেগন্যান্সির লক্ষণ প্রথম সপ্তাহের, পিরিয়ডের লক্ষণ বনাম গর্ভাবস্থার লক্ষণ, প্রেগন্যান্সির সময় পেট ব্যাথা
আমি বাংলাদেশ সরকারের অডিট এন্ড একাউন্টস বিভাগের একজন কর্মচারি। প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে কর্মরত থাকায় বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ার করে থাকি। তারপরও যে কোন ভুল ত্রুটি হলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কোন পরামর্শ থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।