বর্ধিত ইনক্রিমেন্ট ২০২৩? ২০২৩-২০২৪ সালের সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারিদের জন্য থাকছে বর্ধিত ইনক্রিমেন্ট ?
বর্ধিত ইনক্রিমেন্ট ২০২৩?
২০২৩-২৪ অর্থ বছরের সরকারি কর্মকর্ত/কর্মচারিদের জন্য মহার্ঘ ভাতা শেষ পর্যন্ত হচ্ছে না। তবে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি বা ইনক্রিমেন্ট অনুযায়ী বেতন প্রতিবছর যতটা বাড়ার কথা, এই সময়ে তার চেয়ে বেশি বাড়বে। কিছুটা বেতন বৃদ্ধির আভাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই। সপ্তাহখানেক প্রথমে সংঘটিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মূল্যস্ফীতির সাথে সমন্বয় করে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি করা হবে।
আরও জানুন: সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি সর্বনিম্ন এক হাজার এবং পেনশনারদের পাঁচশত টাকা ?
পারিবারিক-পেনশন-ফরম-২-২ ” নিউজ হতে আইবাস++ ও সরকারি নিউজের আপডেট সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
সরকারি সূত্রগুলো জানাচ্ছে, বেতন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির হার কোন বিষয়টি ধরা হবে—আগামী ১ জুন বাজেট ঘোষণার পর তা নিয়ে কাজ করবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর থেকেই এ ব্যাপারে নতুন করে চিন্তা-ভাবনা আরম্ভ করেছে অর্থ বিভাগ। প্রথমে তারা এইরকম মেজারমেন্ট কষে রেখেছিল যে ১০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতায় ৪ হাজার কোটি, ১৫ শতাংশে ৬ হাজার কোটি তার সাথে ২০ শতাংশে ৮ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত চাই হবে।
আরও জানুনঃ প্রশাসনিক ও ব্যাক্তিগত কর্মকর্তারা মহার্ঘ ভাতা নয় চান অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট ?
অর্থ বিভাগের সূত্রগুলো বলছে, সম্প্রতি সংখ্যার চেয়ে প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে মনোযোগী অর্থ বিভাগ। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল যে ভা্ষণ দেবেন, তাতে এ বিষয়ে কোনো ঘোষণা থাকবে না বলে এ পর্যন্ত জানা যাচ্ছে। তবে শেষ সময় পর্যন্ত নতুন কিছু যোগ করা হলেও এক লাইনে বলা থেকে পারে।
২০১৫ সালের বেতন কমিশনেই বলা ছিল যে প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) হবে সরকারী কর্মচারীদের। সে অনুযায়ী তা হয়েও আসছে। জানা গেছে, ২০১৫ সালে মূল্যস্ফীতির হার গড়ে ৫ শতাংশের মতো ছিল বলেই ইনক্রিমেন্ট সেই হারে বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছিল। আজকাল মূল্যস্ফীতি অধিক বলেই ইনক্রিমেন্টের হার বৃদ্ধির আলোচনাটি চলছে।
আরও জানুনঃ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারিদের জন্য মহার্ঘ ভাতা থাকছে না বিশেষ ইনক্রিমেন্ট ২০২৩ ?
তবে মুদ্রাস্ফীতি হার কত হবে সেটি নিয়ে আলোচনা চলছে। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে মুদ্রাস্ফীতি ধরা হয়েছে ৬.৫ শতাংশ। এটিও হতে পারে বেতন বৃদ্ধির বেইজ ধরা হতে পারে।
আবার বাজেট ঘোষণার পর জুন বা জুলাই শেষে মূল্যস্ফীতির হার কত থাকে, সেটাও থেকে পারে আরেকটা ভিত্তি। উভয় বিকল্প হাতে নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে অর্থ বিভাগ। যে সময়ই প্রজ্ঞাপন জারি করা হোক না কেন তা ১জুলাই হতে কার্যকর হবে।
অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৫ বছরের বেতন কাঠামোর সুপারিশ গভর্নমেন্ট না মানার কারণেই বেতন বৃদ্ধির ব্যাপারটা সাম্পপ্রতিককালে নতুন করে সামনে এসেছে। বেতন কাঠামোতে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় কর্মচারীদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি ৫ শতাংশ হবে। তবে মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশের বেশি হলে বেতন বৃদ্ধির হারও সে অনুসারে হবে। কিন্তু বাস্তবে তা মানা হচ্ছিল না।
আরও জানুনঃ ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ৯ম পে স্কেল এবং মহার্ঘ ভাতা সহ ১১ দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের ?
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, গত এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। আর গত সালের আগস্টে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছিল।
,জিনিসপত্রের দামের যে অবস্থা, তা বিবেচনায় নিলে মহার্ঘ ভাতা দেওয়াই কর্তব্য ছিল। বর্তমান যেহেতু মূল্যস্ফীতির সাথে সংগতি রেখে কিছু একটা করা হচ্ছে, তা–ও এক শ্রেনীভেদ মন্দের ভালো। তা সত্ত্বেও এর ভিতরে অবসরে যাওয়া কর্মকর্ত/কর্মচারিদের রাখা উচিত।’
চলতি অর্থবছরের নিমিত্ত বাজেটে রাষ্ট্রীয় কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ ৭৪ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। আগামী অর্থবছরের বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৭৭ হাজার কোটি টাকা। মূল্যস্ফীতির সাথে মিল রেখে বেতন বৃদ্ধি করা হলে আগামী অর্থ
বছরে সরকারী কর্মকর্ত/কর্মচারিদের বেতন-ভাতা বাবদ বরাদ্দ কয়েক হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধিতে পারে।
চাকরিজীবীদের জীবনযাত্রার সমন্বয় করার জন্য হবে—এটা হচ্ছে খুবই সাধারণ বিষয়। কিন্তু সরকার তো প্রচুর একটা স্বীকারই করতে চায় না যে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে তার সাথে কান্ট্রিতে বেকারত্বের হারও বাড়তি।
রিলেটেড ট্যাগঃ বর্ধিত ইনক্রিমেন্ট ২০২৩?
আমি বাংলাদেশ সরকারের অডিট এন্ড একাউন্টস বিভাগের একজন কর্মচারি। প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে কর্মরত থাকায় বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ার করে থাকি। তারপরও যে কোন ভুল ত্রুটি হলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কোন পরামর্শ থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।