nocomments

নতুন ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর যে সব কোডে ব্যয় করা যাবে না এবং যে সব খাতে ব্যয় সংকোচন করার নির্দেশনা রয়েছে ?

গত অর্থবছরের মতো  নতুন অর্থবছরও শুরু হচ্ছে ব্যয় সংকোচন নীতির  মাধ্যমে। গত ২ জুলাই রবিবার নতুন ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রথম কার্যদিবসে পরিচালন ও উন্নতি বরাদ্দের কয়েকটি ব্যয় সাময়িকভাবে বন্ধ এবং কিছু ক্ষেত্রে ব্যয় সংকোচন করে পরিপত্র জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ বাজেট অনুবিভাগ-১, অধিশাখা-১ হতে।

চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে সব ধরনের গাড়ি, উড়োজাহাজ ও জাহাজ কেনাকাটায় বন্ধ রাখার আদেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত প্রকল্পের অর্থ কমিশন পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। সব ধরনের আবাসিক, অনাবাসিক, অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা খাতে নতুন করে বাজেট দেওয়া অর্থ ব্যয়ও অফ থাকবে। বৈদেশিক ভ্রমণ, কর্মশালা, সেমিনারে অংশগ্রহণ এবং জমি খাতের অধিগ্রহণ বাবদ বরাদ্দ সীমিত রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

পারিবারিক-পেনশন-ফরম-২-২ ” নিউজ হতে আইবাস++ ও সরকারি নিউজের আপডেট সংগ্রহ করে নিতে পারেন।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পরিচালন বাজেটের আওতায় নিম্নবর্ণিত অর্থনৈতিক কোডসমূহে বরাদ্দকৃত অর্থ নিম্নোক্তভাবে ব্যয় করা যাবে:

  •  মোটরযান’,জলযান’ ও আকাশযান’ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে। তবে, ১০ বছরের অধিক পুরোনো মোটরযান প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদনক্রমে ব্যয় নির্বাহ করা যাবে; এবং
  • ভূমি অধিগ্রহণ’ খাতে বরাদ্দকৃত করা যাবে না।

উন্নয়ন বাজেটের   ক্ষেত্রে

  • ‘3211113-বিদ্যুৎ’ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৭৫%;
  • ‘3243101-পেট্রোল, ওয়েল ও লুব্রিকেন্ট’ ও ‘৩২৪৩১০২-গ্যাস ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৮০%; (৩) সকল প্রকার যানবাহন ক্রয় (‘৪১১২১০১-মোটরযান’, ‘4112102-জলযান’, ‘৪১১২১০৩-আকাশযান’) বন্ধ থাকবে; এবং
  •  ‘4141101-ভূমি অধিগ্রহণ’ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সকল আনুষ্ঠানিকতা প্রতিপালনপূর্বক অর্থ বিভাগের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে।

প্রকার বৈদেশিক ভ্রমণ/ ওয়ার্কশপ/সেমিনারের ক্ষেত্রে:

 চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সকল প্রকার বৈদেশিক ভ্রমণ/ ওয়ার্কশপ/সেমিনারে অংশগ্রহণ বন্ধ থাকবে।

আরও জানুনঃ দেশের  ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ? ই-নামজারি কি ? ভূমি মালিকদের আধুনিক কার্ড ?

ব্যয় সংকোচন নীতি ? যে  শর্তে বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে ?

  • পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতাধীন সরকারি অর্থে  ও  উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা অথবা বিশ্ববিদ্যালয় অথবা দেশ কর্তৃক প্রদত্ত স্কলারশীপ অথবা ফেলোশীপ-এর আওতায় বৈদেশিক অর্থায়নে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়ন বা স্টাডির  ক্ষেত্রে;
  • সরবরাহকারী/ঠিকাদার/পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তাগণ কর্তৃক সেবা/পণ্যের গুনগত মান নিরীক্ষা/পরিদর্শন।

অর্থ বিভাগ থেকে জারি করা পরিপত্র সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক ইন্সটিটিউটের পরিচালন ও অগ্রগতি বাজেটে কয়েকটি খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে গভর্নমেন্ট এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

অর্থ বিভাগের উপসচিব আনিসুজ্জামান স্বাক্ষরিত এই পরিপত্রে জানানো হয়, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সরকারী ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের লক্ষ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অন্যান্য ইন্সটিটিউট এবং আওতাধীন অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত/আধাস্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক বিভাগ করপোরেশন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালন ও উন্নতি বাজেটে কয়েকটি খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে রাষ্ট্রশাসক বিভাগ কতিপয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

আরও জানুনঃ  বদলি জনিত ভাতা,দৈনিক ভাতা এবং ভ্রমন বিল দাখিল করার নির্দেশনা ২০২৩ ?

এর মধ্যে আছে তড়িৎ খাতে বরাদ্দকৃত টাকার সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ, পেট্রোল, অয়েল ও লুব্রিকেন্ট এবং গ্যাস ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের মেক্সিমাম ৮০ শতাংশ প্রয়োগ করা যাবে। সব আবাসিক ভবন, অনাবাসিক ভবন তার সাথে অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে। সব ধরনের মোটরযান, জলযান ও বিমান খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় অফ থাকবে। কিন্তু ১০ বর্ষের বহু পুরোনো মোটরযান প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদনক্রমে খরচ নির্বাহ করা যাবে এবং কৃষিখেত অধিগ্রহণ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় অফ থাকবে। তবে কতিপয় ক্ষেত্রে প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কৃষিখেত খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ খরচ করা যাবে। এক্ষেত্রে সব আনুষ্ঠানিকতা সমাপ্ত করে অর্থ বিভাগের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করার জন্য হবে। নির্দেশনায় জানানো হয়েছে, এক খাতের বরাদ্দকৃত অর্থ অন্য খাতে প্রয়োগ করা যাবে না।

রিলেটেড ট্যাগ: ব্যয় সংকোচন নীতি

Reply

error: Content is protected !!