স্বামীর বা স্ত্রীর মৃত্যুর পর পেনশনের জন্য আবেদন করার উপায় ? মৃত ব্যক্তির পেনশন কে পাবে ?স্বামীর মৃত্যুর পর পেনশন কে পাবে ?
এই পোস্ট থেকে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ জানা যাবে;
- স্বামীর মৃত্যুর পর পেনশনের জন্য আবেদন করা উপায়?
- স্বামীর মৃত্যুর পর পেনশন কে পাবে?
- স্ত্রীর পেনশন কি স্বামী পাবে?
- মৃত ব্যক্তির পেনশন কে পাবে?
- মৃত ব্যক্তির পেনশন ফরম পূরণ করার উপায় ?
- মৃত ব্যক্তির পেনশন হিসাব ?
- পারিবারিক পেনশন আবেদনের সাথে কি কি কাগজপত্র জমা দিতে হবে?
স্বামীর বা স্ত্রীর মৃত্যুর পর পেনশন জন্য আবেদন করার উপায় ?
মুল পেনশনার মারা যায় তাহলে;
- প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা বা সিটিকরপোরেশন হতে মৃত্যু সনদ নিতে হবে।
- তারপর হিসাবরক্ষণ অফিসে তার মৃত্যু সনদ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিতে হবে।
- হিসাবরক্ষণ তার পেনশন বন্ধ করার প্রয়োজনী ব্যবস্থা নিবে।
স্বামীর বা স্ত্রীর মৃত্যুর পর পেনশন জন্য আবেদন প্রক্রিয়াঃ
- মুল পেনশনার যে কার্যালয়ে হতে সর্বশেষ পেনশনে গমন করেছেন, সেই কার্যালয়ে পারিবারিক পেনশনের জন্য আবেদন করবেন । পারিবারিক পেনশন ফরম পূরণ করার উপায় জেনে নিতে পারেন।
- এর পর পেনশন মঞ্জুরকারি কর্তৃপক্ষ পারিবারিক পেনশন মঞ্জুর করে হিসাবরক্ষণ অফিসে প্রেরণ করবেন।
- হিসাবরক্ষণ অফিস উক্ত পারিবারিক পেনশন যাচাই-বাচাই শেষে পারিবারিক পেনশন মঞ্জুর করবেন।
স্বামীর মৃত্যুর পর পেনশন কে পাবে ?
উত্তরঃ স্বামীর মৃত্যুরপর অজীবন পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হবেন স্ত্রী। একাধিক স্ত্রী থাকলে স্ত্রীগণের পেনশন ভাগ করে দেওয়া হবে। স্ত্রী বেচেঁ না থাকলে ১৫ বছরের অবশিষ্ট অংশ পরিবারের অন্য সদস্য পাবেন।
স্ত্রীর পেনশন কি স্বামী পাবে ?
উত্তরঃ স্ত্রীর পেনশন স্বামী পারিবারিক পেনশন হিসেবে প্রাপ্য হবেন।
মৃত ব্যক্তির পেনশন হিসাব ?
উত্তরঃ মৃত ব্যক্তির সর্বশেষ প্রাপ্ত পেনশন তার ওয়ারিশগণ পারিবারিক পেনশন হিসেবে প্রাপ্য হবেন।
পারিবারিক পেনশন আবেদনের সাথে কি কি কাগজপত্র জমা দিতে হবে?
গুগল নিউজ হতে আপডেট ” নিউজ হতে আইবাস++ ও সরকারি নিউজের আপডেট সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
উত্তরঃ পারিবারিক পেনশন আবেদনের সাথে নিম্নবর্ণিত ফরম, সনদ ও কাগজপত্রাদি হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ে দাখিল করতে হবেঃ
(১) পেনশন মঞ্জুরির পূর্বেই সরকারি কর্মচারীর মৃত্যু হইলে
১. পারিবারিক পেনশন আবেদন ফরম ২.২ (সংযোজনী-৫)=১ কপি
২. নন-গেজেটেড কর্মচারীর ক্ষেত্রে সার্ভিস বুক/ গেজেটেড কর্মচারীর ক্ষেত্রে সর্বশেষ তিন বছরের সার্ভিস বিবরণী – ১ কপি।
আরও জানুনঃ পেনশন আবেদনের সাথে কি কি ফরম, সনদ ও কাগজপত্রাদি দাখিল করা প্রয়োজন ?
৩. অবসর ও পিআরএল গমনের মঞ্জুরিপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) = ১ কপি
৪. প্রত্যাশিত শেষ বেতন পত্র/ শেষ বেতন পত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) = ১ কপি
৫. সত্যায়িত ছবি (স্বামী/স্ত্রী/উত্তরাধিকারীগণের) = ৪ কপি
৬. জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন (উত্তরাধিকারী/উত্তরাধিকারীগণের বয়স ১৮ বছরের নিচে হলে জন্ম সনদ এবং বয়স ১৮ বছরের উপরে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র) =১ কপি
৭. উত্তরাধিকার সনদপত্র ও ননম্যারিজ সার্টিফিকেট (সংযোজনী-৩)= ১ কপি
৮. নমুনা স্বাক্ষর ও হাতের পাঁচ আঙ্গুলের ছাপ (সংযোজনী-৬) =৩ কপি
৯. অভিভাবক মনোনয়ন এবং অবসরভাতা ও আনুতোষিক উত্তোলন করার ক্ষমতা অর্পণ সনদ (সংযোজনী-৭)= ৩ কপি
১০. চিকিৎসক/সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর/পৌরসভার মেয়র/ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত মৃত্যু সনদপত্র =১ কপি
১১. না-দাবী প্রত্যয়নপত্র (সংযোজনী-৮) =১ কপি
১২. চাকুরি স্থায়ী করণের/নিয়মিত করণের আদেশ (উন্নয়ন প্রকল্প হতে রাজস্ব খাতে ১ কপি স্থানান্তরিত, আত্মীকৃত, এডহক ভিত্তিতে নিয়োগকৃতদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)= ১ কপি
১৩. প্রতিবন্ধী সন্তানের (যদি থাকে) নিবন্ধন, পরিচয়পত্র ও মেডিকেল বোর্ডের সনদপত্র = ৩ কপি
(২) অবসরভাতা ভোগরত অবস্থায় পেনশনভোগীর মৃত্যু হইলে:
১. পারিবারিক পেনশন আবেদন ফরম ২.২ (সংযোজনী-৫) – ১ কপি
২. সত্যায়িত ছবি (স্বামী/স্ত্রী ও সন্তানগণের) – ৪ কপি
৩. উত্তরাধিকার সনদপত্র ও নন ম্যারিজ সার্টিফিকেট (সংযোজনী-৩)- ৩কপি
৪. নমুনা স্বাক্ষর ও হাতের পাঁচ আঙ্গুলের ছাপ (সংযোজনী-৬)- ৩ কপি
৫. অভিভাবক মনোনয়ন এবং অবসর ভাতা ও আনুতোষিক উত্তোলন করিবার ক্ষমতা অর্পণ সনদ (সংযোজনী-৭)-৩কপি
৬. চিকিৎসক/সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর/পৌরসভার মেয়র/ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত মৃত্যুসনদপত্র-১ কপি
৭. অবসর ভাতার মঞ্জুরিপত্র- ১ কপি
৮. পিপিও এবং ডি-হাফ- ১ কপি
৯. প্রতিবন্ধী সন্তানের (যদি থাকে) নিবন্ধন, পরিচয়পত্র ও মেডিকেল বোর্ডের সনদপত্র-৩কপি
সরকারি চাকরিজীবী মারা গেলে পারিবারিক পেনশন কে কে পাবে ও পেনশনের উত্তরাধিকার কে কে ?
রিলেটেড ট্যাগঃ স্বামীর মৃত্যুর পর পেনশন জন্য আবেদন, স্বামীর মৃত্যুর পর পেনশন কে পাবে?,স্ত্রীর পেনশন কি স্বামী পাবে?,মৃত ব্যক্তির পেনশন কে পাবে?,মৃত ব্যক্তির পেনশন ফরম, মৃত ব্যক্তির পেনশন হিসাব
আমি বাংলাদেশ সরকারের অডিট এন্ড একাউন্টস বিভাগের একজন কর্মচারি। প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে কর্মরত থাকায় বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ার করে থাকি। তারপরও যে কোন ভুল ত্রুটি হলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কোন পরামর্শ থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।