২০২৩ সালের সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারিদের মহার্ঘ ভাতা প্রস্তাব নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা হয়নি কিন্তু প্রস্ততি রেখেছে মন্ত্রণালয় ?
আগামী অর্থবছরের বাজেট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারিদের ২০২৩ সালের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে কোনো প্রস্তাব উত্থাপন করেননি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আর প্রধানমন্ত্রীও নিজ থেকে এ আলোচনা ওঠাননি। বৈঠকে অংশ নেওয়া কয়েকটি সূত্র হতে জানা গেছে ।
পারিবারিক-পেনশন-ফরম-২-২ ” নিউজ হতে আইবাস++ ও সরকারি নিউজের আপডেট সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
মানমীন প্রধানমন্ত্রীর সাথে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বরাদ্দের নানারকম দিক নিয়ে আলোচনা হয়, গণভবনে গতকাল ১০/০৫/২০২৩ রাতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সূত্রগুলো জানায়, প্রধানমন্ত্রী বার্ষিক উন্নতি কর্মসূচি বাস্তবায়নের হার বাড়াতে তদারকব্যবস্থায় জোর দেওয়া, বিদেশি কারেন্সির রির্জাভ ধরে রাখা, বৈধ রাস্তায় বিদেশি আয় বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়ে দিয়েছেন। বৈঠকে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বরাদ্দের সারসংক্ষেপ অ্যাপ্রুভ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও জানুনঃ সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারিদের মহার্ঘ ভাতার প্রস্তাব ২০২৩?
সূত্রগুলো জানিয়েছিল, বরাদ্দ প্রস্তুতিতে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারিদের জন্য মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার কোনো প্রস্তাব রাখা হয়নি। কিন্তু অর্থমন্ত্রী বা কেউ যদি আলোচনাটি উত্থাপন করেন তার সাথে প্রধানমন্ত্রী যদি তা আমলে নেন, তাহলে কত টাকা বাড়তি লাগতে পারে, সে প্রিপারেশন নিয়ে রেখেছে অর্থ বিভাগ। ২০২৩ সালের মহার্ঘ ভাতার সক্ষেত্রে তিনটি ভাবা বা বিকল্প চাওয়া হয়েছিল—১০, ১৫ বা ২০ শতাংশ।
সূত্রগুলো এইরকম জানিয়েছিল, আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য সম্ভাব্য ৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি অর্থের বাজেট থেকে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতার জন্য বাজেটের প্রস্তুতি হিসেবে ৭৭ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু মহার্ঘ ভাতা ১০ শতাংশ দেওয়া হলে ৪ হাজার কোটি, ১৫ শতাংশ দেওয়া হলে ৬ হাজার কোটি তার সাথে ২০ শতাংশ দেওয়া হলে ৮ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় যোগ হবে, এরূপ মেজারমেন্ট করা হয়েছে বলে সূত্রগুলো জানিয়েছিল।
আরও জানুনঃ Pay fixation increment bd 2023 & Pay fixation verification number বের করার উপায় ?
সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারি বর্তমানে ২০১৫ সালে গঠিত পে কমিশনের সিন্ধান্ত অনুযায়ী বেতন ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত কমিশনের সুপারিশ অনুসারে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ প্রণীক হয়। এ কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছিল, আর নিউ বেতন কমিশন গঠন করা হবে না, বরং প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট বা বেতনবৃদ্ধি হবে। সে অনুযায়ী তা হয়েও আসছে।
দেশে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারি ১৪ লাখ বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি মেজারমেন্ট রয়েছে। বিভিন্ন করপোরেশন তার সাথে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নিয়ে মেজারমেন্ট করলে এ সংখ্যা হবে প্রায় ২২ লাখের কাছাকাছি।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি অর্থের বাজেটের ভিতরে রাষ্ট্রীয় কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ বাজেট বিদ্যমান ৭৫ হাজার ১০ কোটি টাকা।
আমি বাংলাদেশ সরকারের অডিট এন্ড একাউন্টস বিভাগের একজন কর্মচারি। প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে কর্মরত থাকায় বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ার করে থাকি। তারপরও যে কোন ভুল ত্রুটি হলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কোন পরামর্শ থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।