nocomments

আমের বিচির উপকারিতা ? কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে আমের আঁটি ?

আমের বিচির উপকারিতা ?


আম খাওয়ার পর আমরা আঁটি ফেলে দেই। আমের আঁটি ফেলে না দিয়ে গুঁড়া করে যত্নে রাখুন, কারণ এটির রয়েছে নানা গুণাগুণ।


গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রতি ১০০ গ্রাম আমের আঁটিতে বিদ্যমান ৬ গ্রাম প্রোটিন, ২০ গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ৩২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেড, ৩ গ্রাম ডায়েটরি ফাইবার আর অনেক সংখ্যায় ভিটামিন বি-৬ ও বি-১২। এছাড়াও আমের আঁটিতে রয়েছে অনেক পরিমাণে Amino acids, minerals and antioxidants উপাদান।


আসুন জেনে নেই আমের আঁটির গুণাগুণ:

গুগল নিউজ হতে আপডেট ” নিউজ হতে আইবাস++ ও সরকারি নিউজের আপডেট সংগ্রহ করে নিতে পারেন।

খুশকি প্রবলেম দূর করে আমের বীজ :

আপনার যদি খুশকির প্রবলেম থাকে তাহলে আমের আঁটি প্রয়োগ করতে পারেন। এক চিমটি আমের আঁটির গুঁড়ার সঙ্গে ২-৩ চামচ সরিষার তেল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ভাল করে মালিশ করুন। এতে চুল দীপ্ত হবে একসাথে খুশকির প্রবলেম মুছে হবে।

চুল পড়া বন্ধ করে আমের বীজ:


মাথার ত্বককে শুষ্ক রাখতে আমের আঁটির পাউডার  অত্যন্ত কার্যকরী। মাথার চুল উঠার ওঠার প্রবলেম অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সাহায্য করবে।

Read More: Jackfruit Seeds Benefits & jackfruit seeds Precautions and Side Effects ?

অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে আমের বীজ:

ওবেসিটি বা এক্সট্রা ওজনের প্রবলেম থাকে তাহলে কাঁচা আমের আঁটি খেতে পারেন। ফ্যাট বার্ন ররতে আমের আঁটি অতি কার্যকরী।

শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বকের জন্য আমের বীজ :


শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বকের জন্য আমের আটির জুড়ি নেই। একারণে আমের আঁটির গুঁড়ার সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে ত্বকে মালিশ করুন। রেগুলার এটা ব্যবহার করলে ত্বক তেলতেলে ও আলোকিত হয়ে উঠবে।

দাঁতের যত্নে আঁটি :

দাঁতের যত্নেও আমের আঁটি প্রয়োগ করার জন্য পারেন। ঝকঝকে দাঁত আর সুস্থ মাড়ি পেতে আমের আঁটির গুঁড়া দিয়ে দাঁত মাজুন।

আরও জানুনঃ অ্যামনিওটিক ফ্লুইড কি ? অ্যামনিওটিক ফ্লুইড এর কাজ কি ? গর্ভফুল কি ? গর্ভবতী কত দিন পর সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় ?

জ্বালা-পোড়া মুছে করতে আমের আঁটি :

ভ্রমর, পিঁপড়া এবং অন্য কোন কীট পতঙ্গ কামড় দিলে আক্রান্ত স্থানে আমের আঁটির গুড়া লাগালে দ্রুত সাময়িক ভাবে জ্বালা-পোড়া বন্ধ হয়ে যায়।

আম আঁটির পুষ্টিগুণ ?


পুষ্টিগুণে আম যেমন অনন্য, তেমন আঁটিতেও আছে পুষ্টিকর নানা উপাদান। এতে বিদ্যমান ভিটামিন A, C, E, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, ফলেট। আমের আঁটির ম্যাঞ্জিফেরিন আছে যা অ্যান্টি–অক্সিডেন্টের খুব অনেক ভালো উৎস। এ বিশেষ ধরনের অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট সেলুলার ড্যামেজ কমিয়ে দেহে ক্যানসারের মতো গুরুতর রোগের ঝুঁকি অপব্যয় করে।
ডায়রিয়া নিরাময় করে

ডায়রিয়ার মতো সমস্যা এড়াতে আম আঁটির গুঁড়ো খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ জন্য আমের বীজ সুন্দর করে ধুয়ে এর পর শুকিয়ে নিয়ে গুঁড়ো করে পিষে নিন। এই পাউডারটি এক গ্লাস জলে মিশিয়ে তাতে অল্প মধু মিশিয়ে খেলে ফাস্ট সমস্যা মিটে যায়। তবে, একবারে ১ গ্রামের বহু পাউডার না নেওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও জানুনঃ ডায়াবেটিস কি ? ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় বা ডায়াবেটিস কমানোর উপায় ?

কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে আমের আঁটি :


কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও কাঁচা আমের বীজ খুবই কার্যকরী। নরম এই বীজ কামড়েই খেলে ভালো, তবে তা না পারলেও লস নেই। কাঁচা আমের বীজ শুকিয়ে গুঁড়ো করে দুধের সঙ্গে ব্যবহার করুন। এইভাবে, দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহযোগিতা করে। আমের বীজ গুঁড়ো করে খেলে পাউডার সেবন খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহযোগিতা করে তার সাথে রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।

রিলেটেড ট্যাগ: আমের বিচির উপকারিতা ?

Reply

error: Content is protected !!