nocomments

দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর উপায় এবং দৃষ্টিভঙ্গি বদলান জীবন বদলে যাবে ?

আলোকিত জীবনের পথে যাত্রা শুরুর জন্যে কোনো বড় প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই। শুরু করলেই হলো। একবারে অনেক কিছু করতে পারবেন না। কিন্তু কিছু একটাতো করতে পারবেন। এই একটা কিছু দিয়েই শুরু করতে হবে। আজ থেকেই নেমে পড়ুন। রাস্তায় নেমে পড়লেই খুঁজে পাবেন পরবর্তী ধাপে যাওয়ার পথ। 

দৃষ্টি ভঙ্গি বদলানোর উপায় ?

প্রথম চিন্তা করুন কী কী আছে আপনার। আপনার হাত আছে, পা আছে, মুখ আছে, মাথা আছে । আপনি কথা বলতে পারেন, আপনি দেখতে পারেন । আপনি শুনতে পারেন। আপনি খেতে পারেন। খারাপ -ভালো ভাবতে পারেন । এটিই শুরু করার জন্যে এটুকুই enough।

গুগল নিউজ হতে আপডেট ” নিউজ হতে আইবাস++ ও সরকারি নিউজের আপডেট সংগ্রহ করে নিতে পারেন।

আপনি ভাবতে পারেন এর মানে হচ্ছে আপনি আপনার মস্তিষ্ককে কিছুটা হলেও ব্যবহার করতে পারেন। আর মস্তিষ্ককে ব্যবহার করেই মানুষ গুহা থেকে যাত্রা শুরু করে পৃথিবীর সর্বোচ্চ ভবন বানিয়েছে মরুভূমিতে, মহাকাশের পথ পার হয়ে মহাকাশে  পাড়ি জমিয়েছে । ব্রেনের ১০০ billions of neurons প্রতিটি ১ হাজার থেকে ৫ লাখ neuron এর সাথে সংযুক্ত ।

আরও জানুনঃ স্টাডি লিভ বা অধ্যয়ন ছুটি কি অথবা শিক্ষা ছুটি কি ? শিক্ষা ছুটিকালীন বেতন কি হারে বেতন প্রাপ্য হবে এবং সবোচ্চ কত দিন পাওয়া যায় ?

মস্তিষ্কের কোষ বা নিউরোনগুলোকে যত বেশি ব্যবহার করবেন তত আপনার কলাকৌশল, সৃজনশীলতা ও দক্ষতা বাড়বে। যত উদ্যোগী ও সাহসী পদক্ষেপের কথা ভাববেন, নিউরোনগুলো তত একটা আরেকটার সাথে সংযুক্ত হবে, তত তাদের connectivity বাড়বে।  যা আপনাকে  সামনে যাওয়ার শক্তি যোগাবে।

মস্তিষ্কের নিউরোনে কত সংখ্যক সংযুক্তি সম্ভব? হার্ভার্ডের মাইন্ড বডি ইনস্টিটিউটের প্রধান Dr. Herbert Benson said, ‘The number will be : 25,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000. এটাকে আরেকভাবে দেখতে পারেন- টেবিলে একটার ওপর একটা টাইপ করার কাগজ রাখুন। রাখতে থাকুন। এটা উঁচু হতে থাকবে। আপনি যদি আপনার মস্তিষ্কের সম্ভাব্য নিউরোন সংযোগ-সংখ্যার কোয়ান্টাম কণিকা

সমসংখ্যক কাগজ রাখতে যান, তাহলে কাগজের ঢিবি উঁচু হতে হতে চাঁদ পার হয়ে সৌরজগৎ পার হয়ে গ্যালাক্সি পার হয়ে যাবে। এমনকি আমাদের জানা মহাবিশ্বের সীমানা (১৬ বিলিয়ন আলোকবর্ষ) পার হয়ে যাবে । এরপরেও কাগজ থেকে যাবে।’ অতএব বুঝতেই পারছেন, কত অফুরন্ত সম্ভাবনার আধার আপনার ব্রেন।

মস্তিষ্কের এ অফুরন্ত শক্তি কী কাজে লাগাবেন, কতটা ভালোভাবে লাগাতে পারবেন তা নির্ভর করবে আপনার দৃষ্টিভঙ্গির ওপর। সঠিক জীবনদৃষ্টি সবসময় আপনাকে রক্ষা করবে চলার পথে হোঁচট খাওয়া থেকে। আপনি বেঁচে যাবেন ভুল পথে যেয়ে নষ্ট হওয়া থেকে। মনে প্রশান্তি থাকবে, সুখ থাকবে, শুকরিয়া থাকবে। আর এই সঠিক জীবনদৃষ্টি গড়তে সাহায্য করবে প্রশান্তি অধ্যায়।

আরও জানুনঃ মধুর উপকারিতা এবং খাঁটি মধু চেনার উপায় ? মধু খাওয়ার নিয়ম ও সময় ?

শরীর ঠিক না থাকলে মেজাজ ঠিক রাখা মুশকিল । আর শরীর ঠিক রাখার জন্যে সঠিক জীবনদৃষ্টির পাশাপাশি প্রয়োজন বৈজ্ঞানিক খাদ্যাভ্যাস ও শরীরের পরিচর্যা। এই তিনটি বিষয়ের সমন্বয়ে কাজ করে মনোদৈহিক নিরাময় প্রক্রিয়া যা ৭৫ ভাগ রোগ নিরাময় করতে পারে। ডা. হার্বার্ট বেনসনের মতে এ প্রক্রিয়ায় হৃদরোগ, স্কিন এলার্জি, দুশ্চিন্তা, বিষণ্ণতা, ব্রংকিয়াল এজমা, কফ, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, আলসার, ঝিমানি, অবসাদ, হাইপারটেনশন, বন্ধ্যাত্ব, অনিদ্রা, বমিভাব, নার্ভাসনেস, সব ধরনের ব্যথা (মাথাব্যথা, মেরুদণ্ডে ব্যথা, পেটে ব্যথা, পেশিতে ব্যথা, গিঁটে গিঁটে ব্যথা, অপারেশন পরবর্তী ব্যথা, ঘাড়, হাত ও পায়ে ব্যথা), পিরিয়ড পূর্ব যন্ত্রণা, রিউমেটয়েড আর্থাইটিস থেকে নিরাময় পাওয়া সম্ভব। এজন্যেই যুক্তরাষ্ট্রের ৬৬ শতাংশ ডাক্তার এখন রোগীদের শিথিলায়ন ও মনোদৈহিক নিরাময় প্রক্রিয়া অনুসরণের পরামর্শ দেন।

প্রশান্তি ও সুস্বাস্থ্যের পরিপূরক শক্তি হচ্ছে সাফল্য । সাফল্য কোনো গন্তব্য নয়। সাফল্য হচ্ছে ক্রমাগত এগিয়ে চলা। প্রতিটি অর্জনই হচ্ছে নতুন শুরু, নতুন যাত্রার প্রস্তুতি। সাফল্যের সূত্র প্রয়োগ করে আপনি আপনার জীবনকে নিয়ে যাবেন এক শিখর থেকে আরেক শিখরে। সূত্রগুলোকে যদি আপনার জীবনাচারের সাথে মিশিয়ে ফেলতে পারেন তাহলে জীবনে আপনি সবসময়ই থাকবেন ১ম সারিতে।

সফল শিক্ষার্থী অধ্যায়ে শিক্ষার্থী জীবনের নানা ফাঁকফোঁকর ও চোরাবালির বর্ণনার সাথে সাথে রয়েছে ক্লাসে ১ম হওয়ার টিপস। ক্লাসে ১ম হওয়ার জন্যে বিশেষ মেধার প্রয়োজন নেই। সাধারণ মেধাসম্পন্ন যেকোনো শিক্ষার্থী এই সূত্রগুলো প্রয়োগ করে সফল হতে পারেন।

আরও জানুনঃ টেস্ট টিউব বেবি কি ? টেস্ট টিউব বেবি কিভাবে হয় ? এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি কাকে বলে এবং এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি কেন হয় ?

সফল ক্যারিয়ার অধ্যায়ে পেশাগত জীবনের বিভিন্ন দিক উঠে এসেছে সুস্পষ্টভাবে। কর্মজীবনে ব্যর্থতা ও অতৃপ্তির কারণ উদঘাটনের পাশাপাশি সফল ক্যারিয়ার নির্মাণের কলাকৌশলের কথাও বলা হয়েছে খোলামেলাভাবে। বাস্তবতা হচ্ছে মেধাবীদের চেয়ে সাধারণ মেধার মানুষরাই ক্যারিয়ার নির্মাণে সফল হন বেশি।

পারিবারিক ও দাম্পত্য অশান্তির মূল কারণ অলীক প্রত্যাশা ও ক্ষুদ্র স্বার্থপরতা। বিয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে আর পারিবারিক সুসম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে সুখী পরিবার অধ্যায়ের বাস্তবসম্মত ছোট ছোট পরামর্শ কাজে লাগবে সবারই। দাম্পত্য সুখের সাথে বাড়বে পারিবারিক প্রশান্তি । সন্তানকে গড়ে তুলতে পারবেন জীবন যুদ্ধে বিজয়ী বীররূপে ।

আপনি কতটা চৌকস আর কতটা পরিশীলিত তা বলে দেয় আপনার বচন ও আচরণ। কথা আর ভাবভঙ্গি থেকেই আপনার সম্পর্কে অন্যদের ধারণা গড়ে ওঠে। সুবচন আর শিষ্টাচারের অনুশীলনে আপনি হয়ে উঠবেন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। আপনার ব্যাক্তিত্ব হবে সুবিন্যস্ত ও গতিশীল ।

আরও জানুনঃ ইউরিক অ্যাসিড বেশী থাকলে আমে খাওয়ার অপকারিতা কি ? আম খেলে কি ইউরিক এসিড বেশি হয় ?

পার্থিব সব প্রাপ্তির পরও কোথায় যেন ফাঁক থেকে যায়, থেকে যায় শূন্যতা। অন্তরতম সত্তা এমন কাউকে খুঁজে বেড়ায় যার কাছে সে সমর্পিত হতে চায়— সমর্পিত হয়ে পরম তৃপ্তি পেতে চায়। মানুষ হিসেবে আপনি পৃথিবীতে এসেছেন, কিছুদিন থাকবেন, তারপর আবার পৃথিবী থেকে চলে যাবেন। আপনার পূর্ব পুরুষরাও পৃথিবীতে এসেছিলেন, তারাও চলে গেছেন । আপনার উত্তরসূরিরা আসবেন, তারাও চলে যাবেন। কোত্থেকে এসেছেন, কোথায় যাবেন তা জানেন না । এই না জানা থেকেই সৃষ্টি হয় শূন্যতা ।

জীবনের এই শূন্যতাই দূর করেছে ধর্ম। ধর্ম বলে তুমি এসেছো স্রষ্টার কাছ থেকে। কিছুকাল পৃথিবীতে থাকবে। আবার তাঁর কাছেই ফিরে যাবে ।

পৃথিবী হচ্ছে কর্মস্থল। যেমন কাজ করবে তার কর্মফল তুমি পাবে। আসলে সকল ধর্মের মূল শিক্ষাই এক। সকল ধর্ম একই উৎস থেকে উৎসারিত। ধর্মের মূল শিক্ষা হচ্ছে এক স্রষ্টার উপাসনা কর, সবার সাথে সদাচরণ কর আর সৃষ্টির সেবা কর । তাহলেই তুমি পরিত্রাণ পাবে।

আরও জানুনঃ কারেন্ট শক বা বৈদ্যুতিক শক কি ? ইলেকট্রিক শক এর পর করণীয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা ?

পবিত্র ধর্মবাণীগুলোকে আমরা বিন্যস্ত করেছি সময়কাল অনুসারে। বেদ, ভগবদ্‌গীতা, ধম্মপদ, বাইবেল এবং কোরআন ও হাদীসের মর্মবাণীর মূল সুরের ঐক্য আপনাকে মুগ্ধ ও বিস্মিত করবে। ধর্মাচারে ব্যাপক পার্থক্য থাকলেও আপনি অনুভব করবেন স্রষ্টার একত্বের সাথে সাথে মানবজাতির একত্।ে স্রষ্টায় সমর্পিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষার সাথে সাথে আপনার হৃদয় প্লাবিত হয়ে উঠবে বিশ্বজনীন মমতায়। আপনি নিমগ্ন হবেন একাগ্র প্রার্থনায় । নিজের নৈতিক ও মানবিক গুণাবলি বিকাশের তাড়নার পাশাপাশি উপলব্ধি করবেন সৃষ্টির সেবার গুরুত্ব। নতুনভাবে অনুভব করবেন আপনার অফুরন্ত মনোদৈহিক পুনরুজ্জীবনী শক্তিকে । এ শক্তি আপনাকে বদলে দেবে, আপনার উত্তরণ ঘটবে প্রশান্ত সফল নতুন আমি’তে।

রিলেটেড ট্যাগঃ দৃষ্টিভঙ্গি বদলান আমরা সমাজকে বদলে দেবো, দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর উপায়, দৃষ্টিভঙ্গি বদলান জীবন বদলে যাবে ?,দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর উপায় ?

Reply

error: Content is protected !!