nocomments

সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন নীতিমালা বা পেনশন সহজীকরণ নীতিমালা ২০২০ pdf

Table of Contents

সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন নীতিমালা ২০২৪ ?

সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন নীতিমালা ২০২৪ ?
সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন নীতিমালা ২০২৪ ?

পেনশন সহজীকরণ নীতিমালা সার-সংক্ষেপ নিম্নে বর্ণনা করা হলোঃ

  • আদেশের প্রয়োগ/প্রযোজ্যতা :
  • ২.০০ অবসরজনিত পেনশন:
  • ২.০১ কল্যাণ কর্মকর্তা মনোনয়ন ও দায়িত্ব:
  • ২.০২ নন-গেজেটেড কর্মচারীগণের সার্ভিস বুক ও চাকরি বৃত্তান্ত সংরক্ষণ:
  • ২.০৩ গেজেটেড কর্মকর্তাগণের চাকরি বৃত্তান্ত সংরক্ষণ :
  • ২.০৪ অবসরগ্রহণকারীগণের অগ্রিম তালিকা প্রণয়ন ও প্রেরণ:
  • ২.০৫ অবসরগ্রহণের পূর্বে প্রত্যাশিত শেষ বেতনপত্র (ইএলপিসি) (Expected Last Pay Certificate) জারি:
  • ২.০৬ অবসর-উত্তর ছুটি, ছুটি নগদায়ন (লাম্পগ্রান্ট), ভবিষ্য তহবিলের স্থিতি, আনুতোষিক ও পেনশনের আবেদন দাখিল এবং মঞ্জুরির সময়সীমা :
  • ২.০৭ ছুটি নগদায়ন (লাম্পগ্রান্ট), আনুতোষিক ও পেনশন প্রদান:
  • ২.০৮ প্রেষণে/লিয়েনে থাকাকালীন লীভ স্যালারি ও পেনশন কন্ট্রিবিউশন:
  • ২.০৯ বিতর্কিত চাকরিকাল :
  • ২.১০ পেনশন কেইস নিষ্পত্তির অগ্রগতি পরিদর্শন ও মনিটরিং:
  • ২.১১ সাময়িক (Provisional) পেনশন প্ৰদান :
  • ২.১২ পেনশন সমপর্ণ ও বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট :
  • ২.১৩ পেনশন পুনঃস্থাপন:
  • ৩.০০ পারিবারিক পেনশন:
  • ৩.০১ উত্তরাধিকারী মনোনয়ন :
  • ৩.০২ বিধবা স্ত্রী/বিপত্মীক স্বামী:
  • ৩.০৩ প্রতিবন্ধী সন্তান :
  • ৩.০৪ পুত্র ও বিবাহিতা কন্যা সন্তানের বয়সসীমা:
  • ৩.০৫ অবিবাহিতা/বিধবা/তালাকপ্রাপ্ত কন্যার বয়সসীমা :
  • ৩.০৬ অবসরগ্রহণের পরে মৃত্যুর ক্ষেত্রে পারিবারিক পেনশনের হার :
  • ৩.০৭ আত্মহত্যার ক্ষেত্রে পেনশন :

সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন নীতিমালা ২০২০ ?

সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন নীতিমালা ২০২০
সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন নীতিমালা ২০২০

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ

প্রবিধি অনুবিভাগ

প্রবিধি শাখা-১

www.mof.gov.bd

নং-০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০২.১৮-০৮   তারিখ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ খ্রিস্টাব্দ

প্রজ্ঞাপন

অবসরগ্রহণকারী সরকারি কর্মচারী ও সরকারি কর্মচারীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে তাহাদের পরিবারবর্গের অবসরজনিত সুবিধাদি সঠিক সময়ে প্রাপ্তি নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে অর্থ বিভাগ কর্তৃক ২৭-০১-২০০৯ খ্রিঃ তারিখের অম/অবি/প্ৰবি-১/৩পি- ২/২০০৫(অংশ-১)/৫ নং স্মারকে জারীকৃত “বেসামরিক সরকারি কর্মচারীদের পেনশন মঞ্জুরি ও পরিশোধ সংক্রান্ত বিধি/পদ্ধতি অধিকতর সহজীকরণ আদেশ, ২০০৯” নিম্নরূপ আদেশ দ্বারা প্রতিস্থাপন করিবার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে যাহা “সরকারি কর্মচারীগণের পেনশন সহজীকরণ আদেশ, ২০২০” নামে অভিহিত হইবে।

আদেশের প্রয়োগ/প্রযোজ্যতা :

(ক) সরকারি কর্মচারী, যাহারা সরকারি পেনশন স্কীমের আওতাভুক্ত তাহাদের জন্য এই আদেশ প্রযোজ্য হইবে।

(খ) সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য এই আদেশ প্রযোজ্য হইবে না।

২.০০ অবসরজনিত পেনশন:

২.০১ কল্যাণ কর্মকর্তা মনোনয়ন ও দায়িত্ব:

(ক) অবসরগমনকারী সরকারি কর্মচারীগণের পেনশন কেইস প্রক্রিয়াকরণে সহায়তা করিবার জন্য প্রত্যেক মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/দপ্তর পেনশন কেইস প্রক্রিয়াকরণে সরাসরি সম্পৃক্ত একজন কর্মকর্তাকে কল্যাণ কর্মকর্তা হিসাবে মনোনয়ন নিশ্চিত করিয়া অর্থ বিভাগকে অবহিত করিবে।

(খ) পেনশন কেইস নিষ্পত্তিতে পেনশন মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ ও প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা/হিসাবরক্ষণ অফিসের সাথে কল্যাণ কর্মকর্তা সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করিবেন। অর্থ বিভাগের ২০-১২-২০১৬ খ্রিঃ তারিখের ০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০৩.১৬-১৪১ নং স্মারকে (সংযোজনী-১৮) উল্লিখিত দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ কল্যাণ কর্মকর্তাকে যথাযথভাবে অনুসরণ করিতে হইবে।

২.০২ নন-গেজেটেড কর্মচারীগণের সার্ভিস বুক ও চাকরি বৃত্তান্ত সংরক্ষণ:

গুগল নিউজ হতে আপডেট নিউজ সংগ্রহ করে নিতে পারেন।

(ক) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/দপ্তর নন-গেজেটেড কর্মচারীগণের ২ (দুই) কপি সার্ভিস বুক যথাযথভাবে পূরণ করিয়া প্রতি বৎসর ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে হালনাগাদ করিবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে। সার্ভিস বুক-এ কোন ঘষামাজা/অস্পষ্টতা গ্রহণযোগ্য হইবে না, সকল তথ্য স্পষ্টভাবে লিখিত থাকিতে হইবে। সার্ভিস বুক-এ জন্ম তারিখ সংখ্যায় ও কথায় লিখিতে হইবে। সার্ভিস বুক এর দুই কপি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অফিসে রক্ষিত থাকিবে, তবে উক্ত কর্মচারী বদলি হইলে সার্ভিস বুক-এর দুই কপি সিলগালা অবস্থায় কর্মচারীর বদলিকৃত কর্মস্থলে প্রেরণ নিশ্চিত করিতে হইবে। প্রত্যেক কর্মস্থলে বদলিকৃত কর্মচারীর সার্ভিস বুক এর ফটোকপি যথাযথ কর্তৃপক্ষ/দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত করিয়া তাহার ব্যক্তিগত নথিতে সংরক্ষণ করিতে হইবে। কোন সঙ্গত কারণ ব্যতীত সার্ভিস বুক ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে হালানাগাদ না করিলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ দায়ী কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার দায়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।

(খ) সার্ভিস বুক-এর পাশাপাশি নন-গেজেটেড সরকারি কর্মচারীগণের ইলেকট্রনিক চাকরি (ই-চাকরি) বৃত্তান্ত নির্ধারিত ফরম্যাটে (সংযোজনী-৯) প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ ও নিয়মিতভাবে হালনাগাদ করিবেন। সরকারি কর্মচারীগণের চাকরি সংক্রান্ত সকল তথ্যাদি যথা: নিয়োগ, চাকরিতে স্থায়ীকরণ, পদোন্নতি, শাস্তি, ছুটি, টাইম স্কেল/সিলেকশন গ্রেড (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), উচ্চতর স্কেল, পিআরএল, অবসরগ্রহণ, মৃত্যু ইত্যাদি যাবতীয় তথ্য সার্ভিস বুক-এর মতই ধারাবাহিকভাবে ই-চাকরি বৃত্তান্তে অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে। ই-চাকরি বৃত্তান্তে সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অডিট আপত্তি ও বিভাগীয় মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যও যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে। ই-চাকরি বৃত্তান্তে সরকারি বাসায় বসবাস সংক্রান্ত তথ্য (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও সরকারি আদায়যোগ্য পাওনার বিষয় বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করিতে হইবে। সরকারি কর্মচারী বদলি হইলে বদলিকৃত কর্মস্থলে সার্ভিস বুকের সহিত প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বাক্ষরিত ই-চাকরি বৃত্তান্তের হার্ড ও সফট কপি সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধানের নিকট প্রেরণ নিশ্চিত করিতে হইবে এবং একই সাথে উক্ত ই-চাকরি বৃত্তান্তের হার্ড ও সফট কপি সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ অফিস ও বদলিকৃত কর্মচারীর নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।

আরও জানুনঃ টাইম স্কেল কি ? টাইম স্কেল পাওয়ার নিয়ম ? ২০১৫ পে স্কেল এর পরও কি বহাল রয়েছে ? টাইম স্কেলে বেতন নির্ধারণ পদ্ধতি ?

(গ) মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/দপ্তর সংশ্লিষ্ট সকল কর্মচারীর চাকরি বৃত্তান্ত IBAS++ এ এন্ট্রি দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে। ই-চাকরি বৃত্তান্তের হালনাগাদ তথ্যাদি নিয়মিতভাবে অর্থ বিভাগের IBAS++ এ প্রেরণ নিশ্চিত করিতে হইবে। অর্থ বিভাগ এই কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনের নিরিখে system develop করিবে।

(ঘ) সংশ্লিষ্ট নন-গেজেটেড কর্মচারীর বদলির সময় অডিট কোড-এর এপেনডিক্স-৩ এর ৫ম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ছুটির হিসাবসহ এলপিসি-র সকল ঘর উপযুক্ত তথ্য সহকারে যথাযথভাবে পূরণ করিতে হইবে। এলপিসি যথাযথভাবে পূরণ না করিবার কারণে সরকারি পাওনা সংক্রান্ত তথ্য অনুদঘাটিত থাকিলে এলপিসি জারিকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী হইবেন। বদলিকৃত কর্মচারীর কর্মস্থল হইতে অব্যাহতি প্রাপ্তির ০৩ (তিন) কর্মদিবসের মধ্যে এলপিসির হার্ড ও সফট কপি পরবর্তী কর্মস্থলের সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধান এবং উহার অনুলিপি হিসাবরক্ষণ অফিস ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর নিকট প্রেরণ নিশ্চিত করিতে হইবে।

২.০৩ গেজেটেড কর্মকর্তাগণের চাকরি বৃত্তান্ত সংরক্ষণ :

(ক) প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/দপ্তর গেজেটেড সরকারি কর্মকর্তাগণের চাকরি সংক্রান্ত সকল তথ্যাদি যথা- কর্মকর্তাদের নিয়োগ, চাকরিতে স্থায়ীকরণ, পদোন্নতি, শাস্তি, ছুটি, টাইম স্কেল/সিলেকশন গ্রেড (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), উচ্চতর স্কেল, পিআরএল, অবসরগ্রহণ, মৃত্যু ইত্যাদি তথ্য নির্ধারিত ফরম্যাট অনুযায়ী (সংযোজনী-১০) ধারাবাহিকভাবে ‘ই-চাকরি বৃত্তান্তে’ সংরক্ষণ করিবে। সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/দপ্তরকে কর্মরত কর্মকর্তাগণের ই-চাকরি বৃত্তান্তের তথ্যাদি IBAS++ এ অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে এবং নিয়মিত হালনাগাদ করিতে হইবে।

(খ) ই-চাকরি বৃত্তান্তে সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অডিট আপত্তি ও বিভাগীয় মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যও যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে। সরকারি বাসায় বসবাস সংক্রান্ত তথ্য (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও সরকারি আদায়যোগ্য পাওনার বিষয় বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করিতে হইবে।

আরও জানুনঃ কোন গ্রেডে কত পেনশন ? সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারিদের কোন গ্রেডে পেনশন কত ২০২৪ ?

(গ) কর্মকর্তার বদলির সময় অডিট কোড-এর এপেনডিক্স ৩ এর ৫ম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এলপিসি-র প্রয়োজনীয় সকল ঘর ছুটির হিসাবসহ উপযুক্ত তথ্য সহকারে যথাযথভাবে ইলেকট্রনিকেলি (Electronically) পূরণ করিতে হইবে। এলপিসি যথাযথভাবে পূরণ না করিবার কারণে সরকারি পাওনা সংক্রান্ত তথ্য অনুদঘাটিত থাকিলে এলপিসি জারিকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী হইবেন। বদলিকৃত কর্মকর্তার আবেদন প্রাপ্তির ০৩ (তিন) কর্ম দিবসের মধ্যে ইলেকট্রনিকেলি জেনারেটেড (Electronically Generated) এলপিসি পরবর্তী কর্মস্থলের সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ অফিস ও উহার অনুলিপি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট অনলাইনে প্রেরণ নিশ্চিত করিতে হইবে। ই-চাকরি বৃত্তান্ত সংরক্ষণকারী প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের অধিক্ষেত্র বহির্ভূত স্থানে কর্মকর্তার বদলির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বাক্ষরিত ই-চাকরি বৃত্তান্ত বদলিকৃত কর্মস্থলের প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণপূর্বক উহার অনুলিপি সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ অফিস এবং কর্মকর্তার নিকট একই সময়ে প্রেরণ করিতে হইবে।

২.০৪ অবসরগ্রহণকারীগণের অগ্রিম তালিকা প্রণয়ন ও প্রেরণ:

(ক) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/দপ্তরে কর্মরত সরকারি কর্মচারীগণের মধ্যে যাহারা পরবর্তী পঞ্জিকাবর্ষে অবসর-উত্তর ছুটিতে যাইবেন, কল্যাণ কর্মকর্তা তাহাদের তালিকা ফরম্যাট (সংযোজনী-১১) অনুযায়ী প্রস্তুত এবং ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে (প্রতি বৎসর জানুয়ারি, এপ্রিল, জুলাই ও অক্টোবর মাসে) হালনাগাদ করিয়া উহার অনুলিপি সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর দপ্তর প্রধান, হিসাবরক্ষণ অফিস ও আবাসন পরিদপ্তরে (সরকারি বাসায় বসবাসকারীদের ক্ষেত্রে) অবসর-উত্তর ছুটি আরম্ভের তারিখের কমপক্ষে এক বৎসর পূর্বে প্রেরণ নিশ্চিত করিবেন।

(খ) উক্ত তালিকার সঙ্গে অডিট আপত্তি ও বিভাগীয় মামলার তথ্যসহ হালনাগাদ ই-চাকরি বৃত্তান্তের (প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বাক্ষরিত) অনুলিপি সংযোজন করিতে হইবে।

আরও জানুনঃ পেনশন বই হারিয়ে গেলে কী করতে হবে ? বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত কন্যাগণ পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হবেন কি? পেনশনারগণ বাংলা নববর্ষ ভাতা পাবেন কি?

২.০৫ অবসরগ্রহণের পূর্বে প্রত্যাশিত শেষ বেতনপত্র (ইএলপিসি) (Expected Last Pay Certificate) জারি:

(ক) সরকারি কর্মচারী অবসর-উত্তর ছুটিতে গমনের ১১ (এগার) মাস পূর্বে সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ অফিস/আয়ন ও ব্যয়ন কর্মকর্তা তাহার “অবসর-উত্তর ছুটিতে যাওয়ার অব্যবহিত পূর্বের তারিখে” এবং “চূড়ান্ত অবসরগ্রহণের অব্যবহিত পূর্বের তারিখে” শেষ আহরণযোগ্য/নির্ধারণযোগ্য প্রত্যাশিত বেতন উল্লেখপূর্বক ইএলপিসি (Expected Last Pay Certificate) (সংযোজনী-১) জারি করিবেন। আয়ন ও ব্যয়ন কর্মকর্তা কর্তৃক জারীকৃত নন-গেজেটেড কর্মচারীর ইএলপিসি সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ০৭ (সাত) কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিস্বাক্ষর করিবেন। হিসাবরক্ষণ অফিসে প্রেরণকালে ইএলপিসি-এর সঙ্গে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বাক্ষরিত ই-চাকরি বৃত্তান্তের হালনাগাদ অনুলিপি সংযুক্ত করিতে হইবে। ই-চাকরি বৃত্তান্তে অনিষ্পত্তিকৃত অডিট আপত্তি ও বিভাগীয় মামলার তথ্য থাকিলে তাহা ইএলপিসি-তে ক্রমিক ৪(ঢ)-এ লাল কালিতে উল্লেখ করিতে হইবে।

(খ) পিআরএল কালীন কোন বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি থাকিলে তারিখসহ বর্ধিত বেতনের পরিমাণ উক্ত বেতনপত্রে উল্লেখ করিতে হইবে। অবসর-উত্তর ছুটিতে যাওয়ার অব্যবহিত পূর্বের তারিখে প্রাপ্য ছুটি, ভবিষ্য তহবিলের মুনাফাসহ জমা এবং সরকারের পাওনা সংক্রান্ত তথ্যাদি অগ্রিম হিসাব করিয়া ইএলপিসি-তে অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে। ইএলপিসি প্রাপ্তির পর চাকরি সংক্রান্ত কোন পরিবর্তন ঘটিলে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ হালনাগাদ ই-চাকরি বৃত্তান্ত হিসাবরক্ষণ অফিস ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর কাছে প্রেরণ নিশ্চিত করিবেন। ইএলপিসি-এর ৪ নং ক্রমিকে বর্ণিত তথ্য সম্পর্কে পরবর্তীতে আর কোন আপত্তি সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে দাবীকারী প্রতিষ্ঠান উত্থাপন করিতে পারিবে না ।

আরও জানুনঃ স্বামীর বা স্ত্রীর মৃত্যুর পর পেনশনের জন্য আবেদন করার উপায় ? মৃত ব্যক্তির পেনশন কে  পাবে ?স্বামীর মৃত্যুর পর পেনশন কে পাবে ?

২.০৬ অবসর-উত্তর ছুটি, ছুটি নগদায়ন (লাম্পগ্রান্ট), ভবিষ্য তহবিলের স্থিতি, আনুতোষিক ও পেনশনের আবেদন দাখিল এবং মঞ্জুরির সময়সীমা :

(ক) ইএলপিসি প্রাপ্তির ১ (এক) মাসের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট কর্মচারী প্রাপ্যতা সাপেক্ষে অবসর-উত্তর ছুটি, ছুটি নগদায়ন (লাম্পগ্রান্ট), ভবিষ্য তহবিলের স্থিতি ও পেনশন মঞ্জুরির আবেদন নির্ধারিত ফরমে (সংযোজনী-৪) যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিবেন । পেনশনের আবেদন প্রাপ্তির ৫(পাঁচ) মাসের মধ্যে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/পেনশন মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ উক্ত কর্মচারীর সার্ভিস বুক (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও ই-চাকরি বৃত্তান্ত হালনাগাদ করিবেন এবং ইএলপিসি ও পিআরএল-এ গমনের তারিখের পূর্বের ৩ (তিন) বৎসরের রেকর্ডের ভিত্তিতে তাহার নিকট সরকারের দেনা-পাওনা অগ্রিম হিসাব করিয়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে না-দাবী প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করিবেন। উক্ত ০৩ (তিন) বৎসরের পূর্বের কোন কাগজপত্র/রেকর্ড/না-দাবীপত্র চাওয়া যাইবে না। অর্জিত ছুটির হিসাব নিরূপণক্রমে পিআরএল ও নগদায়নের (লাম্পগ্রান্ট) জন্য প্রাপ্য ছুটির পরিমাণ নির্ধারণ করিতে হইবে। প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ সরকারের আদায়যোগ্য অর্থের হিসাব নিরূপণ করিয়া তাহা আদায়ের ব্যবস্থা করিবেন।

(খ) উপর্যুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ ৩ (তিন) মাসের মধ্যে সরকারি কর্মচারীর অবসর-উত্তর ছুটি, ছুটি নগদায়ন (লাম্পগ্রান্ট) ও পেনশন মঞ্জুরিপত্র যুগপৎ জারি করিবেন। কল্যাণ কর্মকর্তাকেও অনুরূপ জারির তথ্য অবহিত করিবেন।

(গ) পেনশন পরিশোধ আদেশ (পিপিও) জারির জন্য প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ পেনশন মঞ্জুরির কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ অফিসে প্রেরণ করিবেন।

(ঘ) কর্তৃপক্ষ (অফিস প্রধান) সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর আবেদনপত্রে তিনি যেই তারিখে (পিআরএল-এ গমনের ৬ (ছয়) মাসের ঊর্ধ্বে নহে) ভবিষ্য তহবিল বাবদ জমা ও মুনাফা উত্তোলনের ইচ্ছা প্রকাশ করিবেন সেই তারিখ পর্যন্ত মুনাফাসহ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ভবিষ্য তহবিল স্থিতি প্রদানের আদেশ জারি করিবেন। কল্যাণ কর্মকর্তাকে জারির তথ্য অবহিত করিতে হইবে।

(ঙ) কোন কর্মচারীর বিরুদ্ধে অডিট আপত্তি থাকিলে তাহার পেনশন কেইস এই পেনশন আদেশের ৪.১০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নিষ্পত্তি করিতে হইবে।

(চ) উপরোক্ত (ক) নং অনুচ্ছেদে যাহাই বলা থাকুক না কেন উন্নয়ন প্রকল্প হইতে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত, আত্মীকরণের মাধ্যমে যোগদানকৃত এবং এডহক ভিত্তিতে নিয়োগকৃত কর্মচারীগণকে পেনশন আবেদনের সাথে তাহার চাকরি স্থায়ীকরণের/নিয়মিতকরণের (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) আদেশ দাখিল করিতে হইবে।

আরও জানুনঃ অফিস সহায়ক পদের ইতিহাস ? অফিস সহায়ক এর কাজ কি ? ২০তম গ্রেডের বেতন কত অফিস সহায়ক এর সুযোগ সুবিধা ?

২.০৭ ছুটি নগদায়ন (লাম্পগ্রান্ট), আনুতোষিক ও পেনশন প্রদান:

(ক) ছুটি নগদায়ন (লাম্পগ্রান্ট) মঞ্জুরির আদেশ প্রাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট কর্মচারী বিল দাখিল করিবেন। ছুটি নগদায়ন (সর্বোচ্চ ১৮ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ) অর্থাৎ লাম্পগ্রান্টের অর্থের চেক/EFT হিসাবরক্ষণ অফিস বিল প্রাপ্তি সাপেক্ষে পিআরএল-এ গমনের পরবর্তী ০৩ (তিন) কর্মদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর নিকট/ব্যাংক একাউন্টে প্রেরণ নিশ্চিত করিবে।

(খ) পেনশন মঞ্জুরির কাগজপত্র প্রাপ্তির ১০ (দশ) কর্মদিবসের মধ্যে পেনশন নির্ণয় সংক্রান্ত হিসাব যথাযথভাবে যাচাইপূর্বক সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ অফিস পেনশন পরিশোধ আদেশ (পিপিও) জারি করিবে। পেনশন ও আনুতোষিক নির্ণয়ের জন্য অর্থ বিভাগের ১৪-১০-২০১৫ খ্রিঃ তারিখের ০৭.০0.0000.171.13.006.১৫-৮১ নং প্রজ্ঞাপন অনুসরণ করিতে হইবে (সংযোজনী- ১৯)। আনুতোষিকের টাকার চেক/EFT পিআরএল শেষ হওয়ার পর দিন/চূড়ান্ত অবসরগ্রহণের দিন সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর নিকট/ব্যাংক একাউন্টে প্রেরণ নিশ্চিত করিতে হইবে।

(গ) চূড়ান্ত অবসরগ্রহণের পর পেনশনারের মাসিক পেনশন EFT এর মাধ্যমে তাহার সংশ্লিষ্ট ব্যাংক একাউন্টে নিয়মিত প্রেরণ নিশ্চিত করিতে হইবে।

২.০৮ প্রেষণে/লিয়েনে থাকাকালীন লীভ স্যালারি ও পেনশন কন্ট্রিবিউশন:

দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্বায়ত্বশাসিত/আধা-স্বায়ত্বশাসিত/কর্পোরেশন/রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংক/অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠান/স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহে প্রেষণে নিয়োজিত থাকাকালীন সরকারি কর্মচারীগণের লীভ স্যালারি ও পেনশন কন্ট্রিবিউশন সরকারি খাতে জমা দেওয়ার প্রয়োজন হইবে না। এই সুবিধা পূর্বের প্রেষণে নিয়োজিত সরকারি কর্মচারীগণের জন্যও প্রযোজ্য হইবে। তবে দেশের অভ্যন্তরে কোন সংস্থা/প্রকল্পে এবং বিদেশী সরকার/সংস্থায় লিয়েনে কর্মরত সরকারি কর্মচারীগণের লীভ স্যালারি ও পেনশন কন্ট্রিবিউশন প্রদানের প্রথা প্রচলিত বিধান অনুযায়ী যথারীতি চালু থাকিবে।

আরও জানুনঃ পারিবারিক পেনশন মঞ্জুরির প্রয়োজনীয় ফরম, সনদ ও কাগজপত্রাদি | পারিবারিক পেনশন ফরম ২.২

২.০৯ বিতর্কিত চাকরিকাল :

বিতর্কিত চাকরিকাল বাদ দিয়া অবশিষ্ট পেনশনযোগ্য চাকরি ২৫ (পঁচিশ) বৎসর অথবা তদূর্ধ্যের ক্ষেত্রে পূর্ণ হারে পেনশন মঞ্জুর করিতে হইবে। বিতর্কিত চাকরিকালের কারণে পেনশন মঞ্জুরিতে বিলম্ব করা যাইবে না।

২.১০ পেনশন কেইস নিষ্পত্তির অগ্রগতি পরিদর্শন ও মনিটরিং:

নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী পেনশন মঞ্জুরি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হইতেছে কিনা তাহা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক/পেনশন মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ মনোনীত কল্যাণ কর্মকর্তার মাধ্যমে এবং যথাসময়ে পিপিও ইস্যু করা হইতেছে কিনা তাহা হিসাবরক্ষণ অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ নিয়মিত মনিটরিং করিয়া পরিদর্শন বহিতে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করিবেন।

২.১১ সাময়িক (Provisional) পেনশন প্ৰদান :

যে সকল পেনশন কেইস না-দাবী প্রত্যয়নপত্র অথবা অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদির অভাবে নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয় না সেই সকল ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর/উপযুক্ত উত্তরাধিকারীর আবেদনক্রমে প্রাপ্য আনুতোষিকের শতকরা ৮০ ভাগ এবং প্রাপ্য পূর্ণ নিট পেনশন সাময়িকভাবে প্রদান করিতে হইবে। পরবর্তীকালে কমপক্ষে ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অফিস প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি সংগ্রহ করিয়া পেনশন কেইসটি চূড়ান্ত করিবে। অন্যথায় উক্ত ৬ (ছয়) মাস অতিক্রান্ত হওয়ার অব্যবহিত পর সাময়িকভাবে প্রদত্ত নিট পেনশন, পেনশনারের নিজস্ব বিবরণীর ভিত্তিতে চূড়ান্ত করিতে হইবে এবং আনুতোষিকের বাকী অংশ পরিশোধ করিতে হইবে। তবে অডিট আপত্তি থাকিলে তাহা এই আদেশের ৪.১০ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নিষ্পত্তি করিতে হইবে। 2.12 পেনশন সমর্পণ ও বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট:

২.১২ পেনশন সমপর্ণ ও বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট :

অর্থ বিভাগ কর্তৃক ০৯-০১-২০১৭ খ্রিঃ তারিখে জারীকৃত ০৭.০০.০০০0.171.13.005.16-06 নং প্রজ্ঞাপন (সংযোজনী-১৭) অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীগণ গ্রস পেনশনের শতকরা ৫০ ভাগ বাধ্যতামূলক সমর্পণ করিবেন এবং অবশিষ্ট শতকরা ৫০ ভাগের জন্য নির্ধারিত হারে মাসিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন। ইহাছাড়া পেনশনারগণ/পারিবারিক পেনশনারগণ মাসিক পেনশনের উপর ৫% হারে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট প্রাপ্য হইবেন।

আরও জানুনঃ অনলাইনে জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করার উপায় ২০২৪ এবং জিপিএফ হিসাবের স্লিপ বের করার উপায় ?

২.১৩ পেনশন পুনঃস্থাপন:

(ক) অর্থ বিভাগের ০৮-১০-২০১৮ খ্রিঃ তারিখের ০৭.০০.০০০০.171.13.0 13.14-118 নং প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীগণের অবসরগ্রহণের তারিখ হইতে ১৫ বৎসর সময় অতিক্রান্তের পর তাহাদের পেনশন পুনঃস্থাপন করা হইবে। কর্মচারীর এলপিআর/পিআরএল যে তারিখে শেষ হইয়াছে তাহার পর দিন হইতে উক্ত ১৫ বৎসর সময় গণনা করা হইবে। আর যিনি পিআরএল ভোগ করেন নাই তাহার ক্ষেত্রে অবসরগ্রহণের তারিখ হইতে উক্ত ১৫ বৎসর সময় গণনাযোগ্য হইবে (সংযোজনী-১৫)।

(খ) শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীর পেনশন পুনঃস্থাপিত হইয়া থাকিলে তাহার মৃত্যুর পর তাহার বিধবা স্ত্রী/বিপত্মীক স্বামী ও প্রতিবন্ধী সন্তান (যদি থাকে) আজীবন পুনঃস্থাপিত পেনশন সুবিধা প্রাপ্য হইবেন (সংযোজনী-২২)। ২.১৪ চিকিৎসা ভাতা, উৎসব ভাতা ও বাংলা নববর্ষ ভাতা :

পেনশনার/শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী/পুনঃস্থাপিত পেনশনার/পরিবার (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) মাসিক পেনশনের পাশাপাশি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হারে চিকিৎসা ভাতা, উৎসব ভাতা ও বাংলা নববর্ষ ভাতা প্রাপ্য হইবেন।

৩.০০ পারিবারিক পেনশন:

৩.০১ উত্তরাধিকারী মনোনয়ন :

পারিবারিক পেনশনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী চাকরিতে থাকা অবস্থায় অথবা পরবর্তী যে কোন সময়ে তাহার পরিবারের যে কোন এক বা একাধিক সদস্যকে তাহার পারিবারিক পেনশনের সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষের উত্তরাধিকারী মনোনীত করিতে পারিবেন। মনোনয়নের অবর্তমানে পারিবারিক পেনশন ও আনুতোষিক প্রদানের ক্ষেত্রে তাহার সর্বশেষ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ তৎকালীন অর্থ ও রাজস্ব বিভাগের ১৬-০৪-১৯৫৯ তারিখের স্মারক নং ২৫৬৬ (৪০)-এফ (সংযোজনী-২১) এবং অর্থ বিভাগের ২৮-০৫-২০১২ খ্রিঃ তারিখের স্মারক নং-০৭.০০.০০০০.171.13.002.12(অংশ-১)-৫৭ (সংযোজনী-২০) অনুসরণে উত্তরাধিকারী নির্ণয় করিবেন। মৃত পেনশনারের স্ত্রী/স্বামী পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন নাই মর্মে স্থানীয় সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর/পৌরসভার মেয়র/ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে সর্বশেষ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত সার্টিফিকেট গ্রহণযোগ্য হইবে (সংযোজনী-৩)। কোর্ট হইতে সাকসেশন সার্টিফিকেট প্রদানের বাধ্যবাধকতা থাকিবে না।

আরও জানুনঃ অর্জিত ছুটি কাকে বলে ? অর্জিত ছুটি কত প্রকার ও কি কি ? গড় বেতনে অর্জিত ছুটির হিসাব ২০২৪ ?

৩.০২ বিধবা স্ত্রী/বিপত্মীক স্বামী:

(ক) পূর্বে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী যে সকল বিধবা স্ত্রী ০১-০৬-১৯৯৪ খ্রিঃ তারিখে পারিবারিক পেনশন প্রাপ্ত হইতেন অথবা পরবর্তী সময়ে প্রাপ্য হইবেন, তাহারা পুনঃ বিবাহ না করিবার শর্তে আজীবন পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন। তবে কর্মচারীর বিধবা স্ত্রীর পুনঃবিবাহ না করার অংগীকারনামা বা প্রত্যয়নপত্র দাখিলের শর্ত ৫০ বৎসরের ঊর্ধ্ব বয়সী বিধবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না (সংযোজনী-১৯)।

(খ) অর্থ বিভাগের ১৪-১১-২০১৮ খ্রিঃ তারিখের ০৭.০০.০০০0.171.13.003.18-১৩৮নং প্রজ্ঞাপন (সংযোজনী-১৪) অনুযায়ী মৃত মহিলা কর্মচারীর স্বামী পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ না হইলে বিধবা স্ত্রীর পারিবারিক পেনশন প্রাপ্যতার অনুরূপ হারে ও পদ্ধতিতে তিনি আজীবন পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন।

৩.০৩ প্রতিবন্ধী সন্তান :

(ক) কোন সরকারি কর্মচারীর প্রতিবন্ধী সন্তান যদি দৈহিক বা মানসিক অসামর্থ্যের কারণে স্হায়ীভাবে আংশিক বা সম্পূর্ণ কর্মক্ষমতাহীন হইয়া উপার্জনে অক্ষম হন তবে তিনি নিম্নবর্ণিত শর্তে আজীবন পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন:

আরও জানুনঃ কখন শ্রান্তি বিনোদন ভাতার জন্য আবেদন করবেন ও কোন কোন কর্মকর্তা/কর্মচারি rest and recreation leave প্রাপ্য হবেন না ?

শর্তাবলি :

(১) সরকারি কর্মচারীর প্রতিবন্ধী সন্তানের প্রতিবন্ধী হিসেবে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধন এবং পরিচয়পত্র থাকিতে হইবে; (২) কোন কর্মচারীর প্রতিবন্ধী সন্তান থাকিলে তিনি চাকরিরত অবস্হায় কিংবা পেনশন ভোগরত অবস্হায় উক্ত প্রতিবন্ধী সন্তানের বিষয়ে উপযুক্ত দলিল-দস্তাবেজসহ তাহার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করিবেন; (৩) কর্মচারীর প্রতিবন্ধী সন্তান দৈহিক বা মানসিক অসামর্থ্যের কারণে স্থায়ীভাবে আংশিক বা সম্পূর্ণ কর্মক্ষমতাহীন ও উপার্জনে অক্ষম মর্মে ‘খ’ উপ-অনুচ্ছেদে উল্লিখিত সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে গঠিত মেডিকেল বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত সনদপত্র দাখিল করিতে হইবে; (৪) পেনশনারের প্রতিবন্ধী সন্তান/সন্তানগণ প্রতিবন্ধী কোটায় সরকারি চাকরি করিলে পিতা/মাতার উত্তরাধিকারী হিসাবে তিনি/তাহারা আজীবন পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন না; (৫) কর্মচারীর মৃত্যুর পর তাহার প্রতিবন্ধী সন্তান আজীবন পারিবারিক পেনশন ভোগের অধিকারী হইলে উক্ত সন্তান নিজে বা তাহার পক্ষে তাহার পরিবারের কোন সদস্য বা আত্মীয়কে তাহার পিতা/মাতার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রতিবন্ধিতার নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র, উত্তরাধিকার সনদপত্র, তাহার পিতা/মাতার পেনশন মঞ্জুরির আদেশ এবং পিপিওসহ আবেদন করিতে হইবে; (৬) কর্মচারীর পারিবারিক পেনশন ভোগের যোগ্য সদস্যের মৃত্যুর পর একবার পারিবারিক পেনশন বন্ধ হইলে পরবর্তীতে শুধুমাত্র প্রতিবন্ধিতার দাবীতে উক্ত পারিবারিক পেনশন পুনরায় চালু করা যাইবে না; এবং (৭) কর্মচারীর প্রতিবন্ধী সন্তানের পেনশন প্রাপ্যতার বিষয়ে উক্ত কর্মচারীর নিয়োগকারী কর্তৃক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।

আরও জানুনঃ মেয়েদের ডিম্বাণু কি ? আপনার মাসিকের কত দিন পরে আপনি গর্ভবতী থেকে পারেন ? ৫০ বছর বয়সে কি গর্ভবতী হওয়া যায় ?

(খ) সরকারি কর্মচারীর প্রতিবন্ধী সন্তানের দৈহিক বা মানসিক অসামর্থ্যের কারণে স্থায়ীভাবে আংশিক বা সম্পূর্ণ কর্মক্ষমতাহীনতা ও উপার্জনে অক্ষমতা নির্ণয়ে কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ে নিম্নরূপ স্থায়ী মেডিকেল বোর্ড থাকিবে :

(১) কেন্দ্রীয় পর্যায়ে:

১.পরিচালক, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, ঢাকা    সভাপতি

২. দৈহিক বা মানসিক অসামর্থ্যের বিষয়ে সরকারি হাসপাতালে কর্মরত একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক (পরিচালক কর্তৃক মনোনীত )            সদস্য

(৩) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/দপ্তর/সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত কল্যাণ কর্মকর্তা   সদস্য-সচিব

(২)

জেলা পর্যায়ে :

১. সিভিল সার্জন              সভাপতি

২. দৈহিক বা মানসিক অসামর্থ্যের বিষয়ে সরকারি হাসপাতালে

কর্মরত একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক (সিভিল সার্জন কর্তৃক মনোনীত )   সদস্য

৩. সংশ্লিষ্ট বিভাগ/দপ্তরের অফিস প্রধান/সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত কল্যাণ কর্মকর্তা  সদস্য-সচিব

মেডিকেল বোর্ডের কার্যপরিধি :

১. মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং অধীনস্থ অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সংস্থা/সংশ্লিষ্ট বিভাগ/দপ্তর/প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকারি কর্মচারীর প্রতিবন্ধী সন্তানের স্থায়ীভাবে আংশিক বা সম্পূর্ণ কর্মক্ষমতাহীনতা ও উপার্জনে অক্ষমতার বিষয়টি পরীক্ষাপূর্বক প্রত্যয়ন প্রদান; ২. আবেদনপত্রসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র সদস্য-সচিব কর্তৃক মেডিকেল বোর্ডে উপস্থাপন করা এবং উক্ত কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট সদস্য-সচিবের দপ্তরে সংরক্ষণ করা; এবং ৩. সদস্য-সচিব কর্তৃক মেডিকেল বোর্ডের সভাপতির সাথে পরামর্শক্রমে মেডিকেল পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীর প্রতিবন্ধী সন্তানকে বোর্ডে উপস্হিত হইবার জন্য অবহিতকরণ।

আরও জানুনঃ শুক্রাণু কি ? পুরুষের বন্ধ্যাত্বের লক্ষণ এবং পুরুষের বন্ধ্যাত্ব দূর করার উপায় ? শুক্রাণু বৃদ্ধির উপায় বা বীর্যে শুক্রাণু বৃদ্ধির খাবার ?

৩.০৪ পুত্র ও বিবাহিতা কন্যা সন্তানের বয়সসীমা:

পারিবারিক পেনশনের ক্ষেত্রে পুত্র সন্তানের বয়সসীমা হইবে ২৫ বৎসর। প্রচলিত বিধানের যেই সকল ক্ষেত্রে পুত্র সন্তানের কোন বয়সসীমা বর্তমানে উল্লেখ নাই, সেই সকল ক্ষেত্রে বয়স নির্বিশেষে সকল পুত্র সন্তান পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন। পারিবারিক পেনশন প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে তৎকালীন অর্থ ও রাজস্ব বিভাগের ১৬-০৪-১৯৫৯ তারিখের স্মারক নং ২৫৬৬ (৪০)-এফ এর অনুচ্ছেদ ৫(২)(এ)(ii)-এর অনুসরণে ১৫ বৎসরের মেয়াদকাল পূর্তির কোন সময় অবশিষ্ট থাকিলে শুধু উক্ত সময় পূর্তি পর্যন্ত তিনি পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন। ২৫ বৎসরের ঊর্ধ্বে পুত্র সন্তানের প্রাপ্যতার অনুরূপ শর্তে মৃত সরকারি কর্মচারীর বিবাহিতা কন্যা/কন্যাগণ প্রচলিত বিধিগত পদ্ধতিতে ও হারে পেনশন/আনুতোষিক প্রাপ্য হইবেন।

আরও জানুনঃ what is life verification । পেনশন নীতিমালা ২০২১।পারিবারিক পেনশন কখন থেকে চালু হয়?।সাময়িক পেনশন বলতে কি বোঝায় ?

৩.০৫ অবিবাহিতা/বিধবা/তালাকপ্রাপ্ত কন্যার বয়সসীমা :

পেনশনারের অবসরগ্রহণের তারিখ হইতে মোট ১৫ বৎসর মেয়াদকাল পূর্তির কোন সময় অবশিষ্ট থাকিলে উক্ত অবশিষ্ট সময়ের জন্য অবিবাহিতা/বিধবা/তালাকপ্রাপ্ত কন্যা বয়স নির্বিশেষে পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন।

৩.০৬ অবসরগ্রহণের পরে মৃত্যুর ক্ষেত্রে পারিবারিক পেনশনের হার :

একজন সরকারি কর্মচারী অবসরগ্রহণের পর মৃত্যুবরণ করিলে তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় যে হারে পেনশন প্রাপ্য হইতেন, তাহার মৃত্যুর পর তাহার পরিবার/মনোনীত উত্তরাধিকারী একই হারে পরিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন।

৩.০৭ আত্মহত্যার ক্ষেত্রে পেনশন :

আত্মহত্যার কারণে মৃত কর্মচারীর পরিবারকে (যদি থাকে) স্বাভাবিক মৃত্যুর ন্যায় প্রচলিত বিধি অনুযায়ী পারিবারিক পেনশন ও আনুতোষিক প্রদান করিতে হইবে।

পেনশন সহজীকরণ নীতিমালা ২০২০ pdf এখান হতে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

পোস্ট রিলেটেড ট্যাগঃ পেনশন সহজীকরণ নীতিমালা ২০২০ pdf, সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন নীতিমালা, সরকারি চাকরির পেনশন বিধিমালা, পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ২০২০

Reply

error: Content is protected !!