সরকারি চাকরিজীবির ২৫ বছরের বেশি সন্তান ও নাতি-নাতনিরাও পাবে আনুতোষিক ও পারিবারিক পেনশন সুবিধা ?
সরকারি চাকরিজীবির ২৫ বছরের বেশি সন্তান এবং নাতি-নাতনিরাও পাবে আনুতোষিক ও পারিবারিক পেনশন সুবিধা ? gratuity rules in bangladesh 2024 ?
সরকারি চাকরিজীবির ২৫ বছরের বেশি সন্তানের আনুতোষিক পূর্বের সিন্ধান্ত ?
হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে ২৮-০৩-২০২৩ খ্রিঃ তারিখে অডিটর মরহুম মো জহিরুল ইসলাম এর ২৫ বছরের বেশি সন্তানের পারিবারিক আনুতোষিক ও পেনশন মঞ্জুরীর জন্য অর্থমন্ত্রালয় বরাবর পত্র লিখা হলে নিম্নরুপ সিন্ধান্ত প্রদান করে :
সিজিএ কার্যালয়ের আওতাধীন প্রাক্তন অডিটর মরহুম মো. জহিরুল ইসলাম ২৫ মে ২০১৫ খ্রিঃ তারিখে মৃত্যুবরণ করেন। তার দুই সন্তানেরই বয়স ২৫ বছরের বেশি হওয়ায়, তাঁরা আনুতোষিক ও পারিবারিক পেনশন সুবিধার জন্য প্রাপ্য হবে না। এই সিন্ধান্তের ফলে সারা বাংলাদেশ হতে ২৫ বছরের সন্তানদের পারিবারিক পেনশন বন্ধ হয়ে যায়।
আরও জানুনঃ জেলা প্রশাসক বা ডি সি এর পূর্ণরূপ কি ? ডিসির বেতন কত ? ডিসি হতে কি লাগে ?
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত সচিব সানজিদা সোবহানের মৃত্যুর পর, তাঁর ছেলে বা মেয়ে কেউই পেনশন সুবিধার পাওয়ার জন্য যোগ্য উত্তোরিধাকারী ছিলেন না। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে, পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রাপ্য পারিবারিক পেনশন সুবিধা কে পাবেন, সেই প্রশ্নটি সামনে আসে। সানজিদা সোবহানের নাতি-নাতনিরা যেন অবশিষ্ট মেয়াদকালে পারিবারিক পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধা পেতে পারে, সেই লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় ‘পেনশন রুলস অ্যান্ড রিটায়ারমেন্ট বেনিফিটস’১৯৫৯ সংশোধন করেছে এবং পরিবারের সংজ্ঞায় মৃত ছেলে বা মেয়ের সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
২৫ বছরের বেশি অনুতোষিক ও পেনশন সুবিধা ?
সংশোধনীর ফলে, ছেলে সন্তানের বয়স যদি ২৫ বছরের বেশি হয় তাহলেও পেনশন ও অনুতোষিক সুবিধা প্রাপ্য হবে। এখন থেকে যে কোনো সরকারি চাকরিজীবীর স্বামী বা স্ত্রী এবং পুত্র-কন্যা জীবিত না থাকলে, অথবা, তবে সেই চাকরিজীবীর মৃত ছেলে বা মেয়ের পুত্র, কন্যা বা তৃতীয় লিঙ্গের নাতি-নাতনিরা পেনশন সুবিধা পাবেন প্রাপ্য হবেন।
gratuity rules in bangladesh ?
- তবে ১৮ বছরের বেশি নাতি-নাতনিগণ আনুতোষিক প্রাপ্য হবে না।
- মৃত ছেলে বিবাহিত কন্য যার স্বামী জীবিত আছে, তারা আনুতোষিক প্রাপ্য হবে না।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের মৃত্যুর পর তাঁর পেনশন ও গ্রাচুইটি সুবিধা প্রদান নিয়ে সৃষ্ট আইনি জটিলতা নিরশন করতে ‘পেনশন রুলস অ্যান্ড রিটায়ারমেন্ট বেনিফিটস’ সংশোধন করেছে সরকার। সংশোধনের মাধ্যমে, সরকারি চাকরিজীবী যদি তাঁর পেনশনের জন্য কোনো মনোনীত ব্যক্তি উল্লেখ না করে যান, তবে তাঁর পরিবারের সকল সদস্য সমান হারে প্রাপ্য আনুতোষিক সুবিধা প্রাপ্য হবেন। তবে, নাতি-নাতনির বয়স ১৮ বছর পার হলে তাঁরা আর এ সুবিধা প্রাপ্য হবে না।
পেনশনারের মৃত ছেলের বিবাহিত বোন বা জীবিত স্বামী থাকা কোনো বোনও আনুতোষিক সুবিধা পাবেন না। এ ক্ষেত্রে, যদি চাকরিজীবীর ছেলে বা মেয়ে জীবিত থাকত, তবে যেভাবে পেনশন পেতেন, তাঁদের সন্তানেরাও সেই অনুপাতে পেনশন বা আনুতোষিক সুবিধা পাবেন।
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, পরিবারিক পেনশন সর্বনিম্ন ১৫ বছরের জন্য পাওয়া যায়। দ্য ফ্যামিলি পেনশন রুলস, ১৯৫৯ অনুযায়ী, মনোনয়ন প্রদান বাধ্যতামূলক করা হলেও এর কার্যকর প্রয়োগ না থাকায় চাকরিজীবীর ছেলে সন্তানের বয়স ২৫ বছরের বেশি হলে তাঁরা পেনশন সুবিধা পাবেন না। অন্যদিকে, মেয়ে সন্তান বিবাহিত হলে তারাও এ সুবিধা পান না।
আরও জানুনঃ আনুতোষিক কি ( what is gratuity)? আনুতোষিক শব্দের অর্থ কি ? আনুতোষিকের হার পুনঃ নির্ধারণ ?
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত সচিব সানজিদা সোবহানের মৃত্যুর পর, তাঁর ছেলে বা মেয়ে কেউই পেনশন সুবিধার যোগ্য ছিলেন না। এই প্রেক্ষিতে, পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রাপ্য পারিবারিক পেনশন সুবিধা কে পাবেন, সেই প্রশ্নটি জোরালো হয়। অবশিষ্ট মেয়াদকালে পারিবারিক পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধা সানজিদা সোবহানের নাতি-নাতনিরাও পায়, সেই জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় ‘Pension Rules and Retirement Benefits’ 1959 সংশোধন করেছে এবং পরিবারের সংজ্ঞায় মৃত ছেলে বা মেয়ের সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত করেছে।
২৫ বছরের বেশি অনুতোষিক ও পেনশন সুবিধার আদেশঃ ডাউনলোড
আইবাস++ ও সরকারি নিউজের আপডেট জানতে আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন।
আমি বাংলাদেশ সরকারের অডিট এন্ড একাউন্টস বিভাগের একজন কর্মচারি। প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে কর্মরত থাকায় বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ার করে থাকি। তারপরও যে কোন ভুল ত্রুটি হলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কোন পরামর্শ থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।