ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম ? ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৩ ?
ই-পাসপোর্ট আবেদনের ৫(পাঁচ) টি ধাপ
ই-পাসপোর্ট আবেদনের জন্য ৫টি সরল ধাপ রয়েছে।
ধাপগুলো হলো:
ধাপ-১ : যিনি পাসপোর্ট করবেন তিনি বর্তমানে বাস করেন সেই এলাকায E passport শুরু হয়েছে কি না সেটি প্রথমে যাচাই করে নিতে হবে।
• চালুকৃত ই-পাসপোর্ট অফিসগুলির তালিকা
গুগল নিউজ হতে আপডেট ” নিউজ হতে আইবাস++ ও সরকারি নিউজের আপডেট সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
ধাপ-২ : ইন্টারনেটে ই-পাসপোর্ট আপিল ফরম পূর্ণ করুন।
• আপনাকে অনলাইন আবেদন করতে হবে।
ধাপ-৩ : পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করতে হবে।
ধাপ-৪ : ছবি এবং হাতের ফিঙ্গার প্রিন্টে নেওয়ার জন্য পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ ।
• ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য পাসপোর্ট কাজের জায়গায় যাওয়ার প্রথমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে নিয়েছেন কি না নিশ্চিত হোন।
ধাপ-৫ : পাসপোর্ট কার্যালয় হতে ই-পাসপোর্ট সংগ্রহ ।
আরও জানুনঃ ২০২৩-২৪ অর্থবছর হতে শুরু হতে যাচ্ছে ভুমি ক্রয় বিক্রয়ে ই রেজিস্ট্রেশন বা ই দলিল ? কমবে হয়রানি ?
ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৩ ? ই-পাসপোর্ট ফরম পূরণের নির্দেশাবলী:
১। E passport এর Application অনলাইনে পূর্ণ করা যাবে।
২। E passport এর আপিলের জন্য কোন প্রকার নথিপত্র সত্যায়িত করার দরকার হবে না।
৩। E passport এর ফরম পূরণ করার সময় কোন প্রকার সত্যায়িত ছবি লাগানো দরকার হবে না।
৪। জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) কিংবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) অনুযায়ী আপিল পত্র পূর্ণ করার জন্য হবে।
৫। অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ সালের কম) আবেদনকারী যার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নাই, তার জন্মদাতা অথবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর নিশ্চয়ই উল্লেখ করার জন্য হবে।
৬। NID কিংবা Online Birth Registration (BRC English Version) নিম্নলিখিত বয়স অনুসারে দাখিল করার জন্য হবে-
আরও জানুনঃ দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ? ই-নামজারি কি ? ভূমি মালিকদের আধুনিক কার্ড ?
(ক) ১৮ সালের নিচে হলে Online Birth Registration সনদ (BRC English Version).
(খ) ১৮-২০ বছর হলে NID অথবা Online Birth Registration (BRC English Version)
(গ) ২০ সালের উর্ধে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) আবশ্যক । তবে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন থেকে আপিলের ক্ষেত্রে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) গ্রাহ্য হবে।
৭। Star মার্ক ক্রমিক নম্বরগুলো নিশ্চয়ই পূরণীয়।
৮। দত্তক/অভিভাবকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে পাসপোর্টের আবেদনের সঙ্গে Department of Security Services, Ministry of Home Affairs হতে জারিকৃত আদেশ প্রয়োজ্য হবে।
৯। অ্যাপ্লাই বর্তমান ঠিকানা সংশ্লিষ্ঠ বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস/আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস/বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে দাখিল করতে হবে।
১০। যদি আপনার বয়স আঠার বছরের নিচে ও ৬৫ বছরের উপরে হয় তাহলে সকল আবেদনে E passport মেয়াদ হবে ০৫ বছর এবং ৪৮ পৃষ্ঠার।
১১। পেশাগত সনদসমূহ (যেমন: Doctor, Engineer, Driver ইত্যাদি) আপলোড/সংযোজন করতে হবে।
১২। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক জিও (GO)/এনওসি (NOC)/ প্রত্যয়নপত্র/ অবসরোত্তর ছুটির আদেশ (PRL Order)/ পেনশন বই আপলোড/সংযোজন করার জন্য হবে যা ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষের নিজ নিজ Website এ upload থাকতে হবে।
আরও জানুনঃ ডিজিটাল ভুমি ব্যবস্থাপনায় ১ বৈশাখ ১৪৩০ হতে ভুমি উন্নয়ন কর শতভাগ অনলাইনে
১৩। ক্ষেত্র বিশেষে বিয়ে সনদ বা নিকাহনামা & বিবাহ বিরহের ক্ষেত্রে তালাকনামা সাবমিট করতে হবে।
১৪। রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োগ-যোগ্য ফি এর ওপর নির্ধারিত হারে ভ্যাট (VAT) সহ আদার্স চার্জ (যদি থাকে) এক্সট্রা সংখ্যায় প্রদেয় হবে। বিদেশে আপিলের ক্ষেত্রেও রাষ্ট্রশাসক বিভাগ কর্তৃক নির্ধারিত ফি প্রদেয় হবে।
১৫। কূটনৈতিক পাসপোর্টের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও ওয়েলফেয়ার উইং (Consular and Welfare Wing) পক্ষান্তরে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সেরা কার্যালয় বরাবর আবেদনপত্র পেশ করতে হবে।
১৬। বৈদেশিক মিশন হতে নতুন পাসপোর্টের জন্য অ্যাপ্লাই করা হলে স্থায়ী ঠিকানার কলামে বাংলাদেশের যোগাযোগের ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
১৭। একান্ত জরুরী পাসপোর্টের আপিলের ক্ষেত্রে (নতুন ইস্যু) নিজ চেষ্টায় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ কালেক্ট পূর্বক আবশ্যিকভাবে আবেদনের সঙ্গে পেশ করতে হবে।
১৮। (ক) দেশের অভ্যন্তরে একান্ত জরুরী পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সঙ্গে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে আদার্স সকল তথ্য নির্ভুল থাকা সাপেক্ষে ২ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।
(খ) দেশের অভ্যন্তরে জরুরী পাসপোর্ট প্রাপ্তির টার্গেটে আপিলের সঙ্গে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে আদার্স সকল ইনফরমেশন নির্ভুল থাকা সাপেক্ষে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।
(গ) রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে নিয়মিত পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সঙ্গে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে আদার্স সকল তথ্য নির্ভুল থাকা সাপেক্ষে ১৫ কর্মদিবসের ভিতরে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।
১৯। আপিলের সময় হেতু জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) এবং প্রয়োগ-যোগ্য ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল সনদ, সরকারী আদেশ (GO)/অনাপত্তি (NOC) প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে।
২০। পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে মূল পাসপোর্ট শো করতে হবে।
২১। যদি passport হারিয়ে যায় তাহলে হারানো passport এর ক্ষেত্রে Original GD copy প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে।
আরও জানুনঃ বদলি জনিত ভাতা,দৈনিক ভাতা এবং ভ্রমন বিল দাখিল করার নির্দেশনা ২০২৩ ?
২২। ০৬ বছর বয়সের নিম্নের আবেদনের ক্ষেত্রে ৩ আর (3R Size) সাইজের ( ল্যাব প্রিন্ট গ্রে ব্যাকগ্রউন্ড ) ফটো পেশ করার জন্য হবে।
২৩। পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে পক্ষান্তরে চুরি হলে দ্রুত নিকটস্থ থানায় জিডি করতে হবে। পুনরায় পাসপোর্টের জন্য আবেদনের সময় পুরাতন পাসপোর্টের ফটোকপি তার সাথে জিডি কপিসহ আবেদনপত্র পেশ করতে হবে ।
রিলেটেড ট্যাগঃ ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম ?, ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৩ ?১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট, ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম, ই-পাসপোর্ট ফি, ই-পাসপোর্ট ছবি, ই-পাসপোর্ট আবেদন, ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে, ই- পাসপোর্ট, ই-পাসপোর্ট করতে যা লাগবে, ই-পাসপোর্ট ফরম পূরণের নির্দেশাবলী, ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট, ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ফি, ই-পাসপোর্ট খরচ, ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম ?
আমি বাংলাদেশ সরকারের অডিট এন্ড একাউন্টস বিভাগের একজন কর্মচারি। প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে কর্মরত থাকায় বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ার করে থাকি। তারপরও যে কোন ভুল ত্রুটি হলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কোন পরামর্শ থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।