nocomments

গর্ভবতী মায়ের যত্ন কি কি এবং গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা ? গর্ভবতী মায়ের কি কি চেকআপ করা দরকার ?

পোস্ট সামারীঃ

  • গর্ভবতী মায়ের যত্ন কি কি ?
  • গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা ?
  • ও গর্ভবতী মায়ের কি কি চেকআপ করা দরকার ?
  • গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করা কি ক্ষতিকর ?
  • গর্ভাবস্থায় কতবার ডাক্তার দেখানো উচিত ?
  • গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা ?

গর্ভবতী মায়ের যত্ন কি কি ? গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা ও গর্ভবতী মায়ের কি কি চেকআপ করা দরকার ?

গর্ভবতী মায়ের যত্ন কি কি এবং গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা ? গর্ভবতী মায়ের কি কি চেকআপ করা দরকার ?
গর্ভবতী-মায়ের-যত্ন-কি-কি

গর্ভকালীন যত্ন (Antinatal Care):

  • সন্তানধারণের সময় হতে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত সময়কালে মা ও শিশুর যত্নকে গর্ভকালীন যত্ন বা এ্যানটিনেটাল কেয়ার বলে। এই গর্ভকালীন যত্নের লক্ষ্য হলো গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা  এবং সমাজকে একটি সুস্থ শিশু উপহার দেওয়া ।
  • সাধারণত গর্ভধারণের পরপরই একজন গর্ভবতী মহিলার গর্ভকালীন যত্নের জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত ।
  • গর্ভকালীন যত্নের জন্য প্রথম সাক্ষাতকে বুকিং ভিজিট বলা হয়।
  • এই প্রথম সাক্ষাতে মায়ের দৈহিক পরীক্ষা ছাড়াও অন্যান্য পরীক্ষাও করা হয় ।
  • যেমন প্রস্রাব পরীক্ষাসহ রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা। ডাক্তার সাহেব মনে করলে গর্ভকালীন সময়ে একটা
  • আলট্রাসনোগ্রাফিও করাতে পারেন।

আরও জানুনঃ গর্ভাবস্থায় বা প্রেগনেন্ট হলে নারীর শরীরের পরিবর্তন বা লক্ষণ দেখা যায় ?

গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করা কি ক্ষতিকর ?

  • এই আলট্রাসোনোগ্রাফিতে শব্দের ঢেউকে ব্যবহার করা হয় । এটি অনেকদিন যাবৎই গর্ভকালীন সময়ে শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ব্যবহার হয়ে আসছে । এখন পর্যন্ত এর কোন ক্ষতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি । এ পরীক্ষা যন্ত্রের একটি অংশকে পেটের ওপর ধরলেই টেলিভিশনের মতো পর্দায় ছবি আসে । আর সে ছবি দেখেই পরীক্ষক শিশুর বিভিন্ন দিক সম্বন্ধে ধারণা করতে পারেন ।

আরও জানুনঃ অ্যামনিওটিক ফ্লুইড কি ? অ্যামনিওটিক ফ্লুইড এর কাজ কি ? গর্ভফুল কি ? গর্ভবতী কত দিন পর সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় ?

গর্ভাবস্থায় কতবার ডাক্তার দেখানো উচিত ?

  • প্রথম ভিজিটের পর একজন গর্ভবতীকে সাধারণত ২৮ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতিমাসে একবার, ৩৬ সপ্তাহ পর্যন্ত ১৫ দিনে এক বার এবং তারপর সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে একবার এই গর্ভকালীন যত্নের জন্য ডাক্তারের নিকট যেতে হয় । এ সুদীর্ঘ সময়ে ডাক্তারের তত্ত্ববধানকালে মা ও শিশুর কোন জটিলতা দেখা দিলে ডাক্তার সাহেব তার প্রতিকার বা চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন । আপনার বা আপনার স্বামীর মনে কোন প্রশ্ন থাকলে তা নির্দ্বিধায় ডাক্তার সাহেবকে বলতে পারেন। তিনি তখন আপনাদেরকে তার সুচিন্তিত পরামর্শ দেবেন ।

আরও জানুনঃ Pay fixation increment bd 2023 & Pay fixation verification number বের করার উপায় ?

গর্ভকালীন যত্ন কি কি ?

গর্ভকালীন যত্নের সুবিধাগুলো নিম্নরূপ :

আপনাকে ডাক্তার সঠিকভাবে বলে দিতে পারবেন যে, আপনি গর্ভধারণ করেছেন কিনা । তিনি আপনার সন্তানের বয়স সঠিকভাবে নির্ণয় করে আপনার সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ বলে দিতে পারবেন। ডাক্তার এসময়ে আপনার বিভিন্ন অসুবিধার চিকিৎসা দিতে পারবেন । যেমন: অতিরিক্ত বমি হওয়ার চিকিৎসা, রক্তশূন্যতার চিকিৎসা ইত্যাদি ।

এখান থেকে আপনি টিকা নিতে পারবেন । যেমন ধনুষ্টঙ্কারের টিকা । ডাক্তার আপনাকে সঠিক ও সুষম খাদ্যতালিকা দিতে পারবেন, যাতে আপনি একটি সুস্থ সন্তান লাভে সক্ষম হতে পারেন । মনে রাখবেন যে, গর্ভাবস্থা (Pregnancy) কোন অসুখ নয় যে এর চিকিৎসার প্রয়োজন হবে । সঠিক খাদ্যাভ্যাসই গর্ভাবস্থার সঠিক চিকিৎসা ।

এ সময় আপনি আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে সন্তান ভূমিষ্ঠ (Delivery place) হওয়ার স্থান নির্বাচন করতে পারবেন। এজন্য খরচাপাতি, যাতায়াত, রক্তের প্রয়োজনীয়তা, হাসপাতালে অবস্থানের সময়কাল ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করতে পারবেন ।

সন্তান প্রসবের সময়টি প্রতিটি মায়ের জন্য কষ্টকর সময় । এ সময় আপনি যে সব ডাক্তারদের সাথে পরিচিত হবেন তাদের কেউ হয়তো প্রসবের সময় আপনার পাশে থাকবে, আর পূর্বপরিচিত কাউকে আপনার পাশে পেলে আপনার সাহস অনেকগুণ বেড়ে যাবে ।

পুরো গর্ভাবস্থায় আপনার যদি কোন ঝুঁকিপূর্ণ সমস্যা দেখা দেয়, তা প্রথম থেকেই নির্ণয় করে আপনাকে সঠিক সেবা দিতে পারলে আপনার বিপদ কেটে যাবে ।

গুগল নিউজ হতে আপডেট ” নিউজ হতে আইবাস++ ও সরকারি নিউজের আপডেট সংগ্রহ করে নিতে পারেন।

গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা ?

যে সকল উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা প্রয়োজন তা নিম্নে দেওয়া হলো :

  • হঠাৎ করে সমস্ত শরীর ফুলে গেলে।
  • অসম্ভব মাথাব্যথার সাথে সাথে ঘুম কম ও বমি বমি ভাব হলে।
  • মাথাব্যথা ও চোখে ঝাপসা দেখলে ।
  • ১২ ঘণ্টায় ১০ বারের কম বাচ্চার নড়াচড়া হলে।
  • অত্যাধিক জ্বর হলে ।
  • খিঁচুনী হলে।
  • পানি ভেঙে গেলে ।

রিলেটেড ট্যাগঃ গর্ভবতী মায়ের যত্ন কি কি, গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা, গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে পেট ব্যাথা, গর্ভাবস্থায় পেটে ব্যথা সহ রক্ত পাত,গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা ?

Reply

error: Content is protected !!