nocomments

সহবাসের কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা যায় ? প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট ব্যবহারের নিয়ম ? রক্ত টেস্ট এর মাধ্যমে প্রেগন্যান্সি নিশ্চিত করার উপায় ?

প্রেগন্যান্সি টেস্ট, মিলনের কত দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়, কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়, ঘরে বসে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার উপায়, প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট ব্যবহারের নিয়ম

পোস্ট সামারীঃ

  • মিলনের কত দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয় বা সহবাসের কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা যায় ?
  • প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট ব্যবহারের নিয়ম ?
  • রক্ত টেস্ট এর মাধ্যমে প্রেগন্যান্সি নিশ্চিত করার উপায় ?
  • গর্ভাবস্থায় সাধারণত রক্ত কি কি পরীক্ষাগুলো করাতে হয়?
  • স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ কেমন হওয়া উচিত অথবা স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ সম্পর্কিত সতর্কবার্তা জেনে নিন।
  • রক্তের গ্রুপ এক হলে কি কি সমস্যা বিয়ের আগে জেনে নেওয়া উচিত
  •   গর্ভাবস্থায় রক্ত পরীক্ষা
  • গর্ভাবস্থায় আয়রনের অভাবজনিত রক্তশূন্যতা ?
  • গর্ভাবস্থায় হেপাটাইটিস বি পরীক্ষা
  • গর্ভাবস্থায় সিফিলিস পরীক্ষা
  • রক্তের সুগার পরীক্ষা
  • গর্ভাবস্থায়  থাইরয়েড পরীক্ষা
  • গর্ভাবস্থায়  কখন রক্ত পরীক্ষা করা হয়
  • গর্ভধারণের পর ‍কি কি টেস্ট করা জরুরী ?
  • গর্ভাবস্থার ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহের ভেতর
  • গর্ভাবস্থার ৩২ সপ্তাহ কি কি টেস্ট করা প্রয়োজন ?
  • গর্ভাবস্থার ৩৬ থেকে ৩৮ সপ্তাহের ভেতর কি কি টেস্ট করা প্রয়োজন ?
  •  গর্ভাবস্থায় জটিলতা

মিলনের কত দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয় বা সহবাসের কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা যায় ?

মাসিক বন্ধ হওয়ার ৭ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করা ভাল। মাসিক বন্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা না করতে চান তাহলে মিলনের ১ বা ২ সপ্তাহ পর পরীক্ষা করা যেতে পারে।

প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট ব্যবহারের নিয়ম ?

ব্যবহারবিধি

  • একটি পরিস্কার কাঁচের পাত্রে সকালের প্রথম প্রস্রাব সংগ্রহ করুন।
  • কোনভাবেই সাবান অথবা ডিটার্জেন্ট দিয়ে পাত্রটি পরিস্কার করা যাবে না।
  • এবার প্যাকেটের ভিতর থেকে ফয়েল প্যাকেটটি বের করুন। ফয়েল যে মাথায় কাঁটা চিহ্ন আছে সে মাথাটি ছিড়ে টেষ্ট কার্ড ও ড্রপার বের করুন এবং সমতল জায়গায় রেখে পাত্র থেকে ড্রপার দিয়ে চার ফোঁটা প্রস্রবা নিন এবং সঠিক ফলাফলের জন্য ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।
  • ৫ মিনিটের অধিক সময় গ্রহণযোগ্য নহে।
প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট ব্যবহারের নিয়ম ?
  • নিচের চিত্র অনুযায় C (কন্ট্রোল ব্যান্ড) এ একটি বেগুনী রং আসে তাহলে বুঝে নিবেন আপনি গর্ভবতী নন। আর যদি C (কন্ট্রোল ব্যান্ড) ও T (টেস্ট ব্যান্ড) দুটি বেগুনী রং আসে তাহলে বুঝে নিবেন আপনি গর্ভবতী। (কন্ট্রোল ব্যান্ড) কোন দাগ না আসে অথবা শুধুমাত্র T (টেস্ট ব্যান্ড) একটি দাগ আসে তাহলে এর দুটি থেকে কোন ফলাফল নেয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে আর একটি নতুন কার্ড নিয়ে পরিক্ষা করতে হবে।
  • Do not interpet Results after 10 Minutes পরীক্ষণের ১০ (দশ) মিনিট পর ফলাফল ব্যাখ্যা করবেন না।

রক্ত টেস্ট এর মাধ্যমে প্রেগন্যান্সি নিশ্চিত করার উপায় ?

  • আপনার যদি মাসিক নিয়মিত হয় তবে আপনার শেষ মাসিকের প্রথম দিন হতে হিসাব করে ৫-৬ সপ্তাহ পরে সকাল বেলার প্রথম প্রস্রাব দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট (Pregnancy Test) করাতে পারেন।
  • এ ছাড়া আপনি রক্তেরও একটি পরীক্ষা করাতে পারেন। এর নাম হলো ‘বিটা এইচসিজি (Beta HCG)।
  • এই পরীক্ষা দ্বারা কারও মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার কয়েকদিন আগেই বলে দেওয়া যায় তিনি গর্ভবতী কিনা । উপরে উল্লেখিত পরীক্ষাগুলো গর্ভাবস্থার (Pregnancy) পরোক্ষ প্রমাণ ।
  • গর্ভাবস্থার প্রত্যক্ষ (Direct) প্রমাণ হলো আল্ট্রা সাউন্ড (Ultra Sound) পরীক্ষার মাধ্যমে জরায়ুতে বাচ্চা দেখা। যাদের মাসিক নিয়মিত হয় তাদের বেলায় ৭ম সপ্তাহে আলট্রাসনোগ্রাফি করলেই গর্ভবতী কিনা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
  • গর্ভবতী নারীর শারীরিক অবস্থার সঠিক ও বিশদ ধারণা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে আছে কতিপয় রক্ত পরীক্ষা, যেগুলো গর্ভাবস্থায় অতিমাত্রা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। সাধারণ ১টি রক্ত পরীক্ষা থেকেই আপনার ও আপনার গর্ভের সন্তানের সুস্বাস্থ্যের জন্য দরকারী অনেক ইনফরমেশন পাওয়া যায়। পরীক্ষাগুলো বিভিন্ন রোগ নির্ণয় এবং যথাসময়ে সেবা আরম্ভ করতে সাহায্য করতে পারে।

আরও জানুনঃ স্বামী এবং স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ সম্পর্কিত সতর্কবার্তা ?গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ বা কি করে বুঝবেন যে আপনি গর্ভবতী ?


গর্ভাবস্থায় সাধারণত রক্ত কি কি পরীক্ষাগুলো করাতে হয়—

  • স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ;
  • রক্তের হিমোগ্লোবিন ও নানারকম রক্ত কণিকার সংখ্যা;
  • ইনফেকশনের অস্তিত্ব। যেমন: হেপাটাইটিস বি ও সিফিলিস;
  • রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা;
  • থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা;
  • রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা,
  • রক্তের গ্রুপ সাধারণত এ (A), বি (B), এবি (AB) অথবা ও (O)—এই ৪টি গ্রুপের ভিতরে যেকোনো ১টি হয়। গ্রুপ পরীক্ষা করার সাহায্যে আপনার রক্তের গ্রুপ কোন বিষয়টি এবং তা ইতিবাচক নাকি নেগেটিভ, সেটা নির্ণয় করা যায়।
  • সময়মতো সঠিক সেবা দেওয়ার জন্য আপনার রক্তের সঠিক গ্রুপ জানা থাকা জরুরি। কেননা গর্ভাবস্থায় অথবা প্রসবের টাইমে যেকোনো কারণে রক্তক্ষরণ হলে আপনাকে দ্রুত রক্তপ্রদানের প্রয়োজন হতে পারে।
  • জরুরি অবস্থায় রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করতে হলে আপনার চিকিৎসায় দেরি থেকে পারে, যার ফলাফল ভয়াবহ হতে পারে। একারণে আগে হতে রক্তের গ্রুপিং করে রাখুন এবং এর রিপোর্ট প্রীতি সহকারে সংরক্ষণ করুন। প্রতি চেকআপে ও ডেলিভারির সময়ে কাগজটি মনে করে নিয়ে যাবেন।
  • উল্লেখ্য, কয়েকটি বিরল ক্ষেত্রে রক্তের গ্রুপ পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে। এজন্য সতর্কতাবশত ডেলিভারির সম্ভাব্য তারিখের ২-৩ সপ্তাহ আগে রক্তের গ্রুপ আবারও পরীক্ষা করিয়ে নিন।

আরও পড়ুনঃ খালি পেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা ? লেবু পাতার উপকারিতা ? ক্যান্সার প্রতিরোধে লেবু

স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ কেমন হওয়া উচিত অথবা স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ সম্পর্কিত সতর্কবার্তা জেনে নিন।


রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার টাইমে যদি আপনার রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ দেখা যায়, অর্থাৎ নিচের যেকোনো গ্রুপের হয়, তাহলে বিশেষ সতর্কতা নির্ভর করতে হবে—

এ নেগেটিভ (A -ve)
বি নেগেটিভ (B -ve)
এবি নেগেটিভ (AB -ve)
ও নেতিবাচক (O -ve)
এর কারণ হলো, শিশুর রক্তের গ্রুপ মা ও বাবার রক্তের গ্রুপের ওপর অবলম্বন করে ইতিবাচক অথবা নেগেটিভ হতে পারে।

রক্তের গ্রুপ এক হলে কি কি সমস্যা বিয়ের আগে জেনে নেওয়া উচিত

যদি গর্ভের সন্তানের রক্ত পজিটিভ গ্রুপের হয় (যেমন: এ পজিটিভ) তবুও মায়ের রক্ত নেতিবাচক গ্রুপের হয় (যেমন: এ নেগেটিভ), সেই সময় গর্ভের শিশুর মারাত্মক দেহ জটিলতার—এমনকি মৃত্যুবরণ করার আশংকা থাকে। ডাক্তারি ভাষায় একে ‘আরএইচ (Rh) ইনকম্প্যাটিবিলিটি’ বলা হয়।

এক্ষেত্রে গর্ভের শিশুর ‘পজিটিভ’ গ্রুপের রক্ত মায়ের দেহের নিকট হয়ে থাকে। এর ফলে মায়ের রক্তে শিশুর অচিন রক্তের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি সৃষ্টি হয়। এই অ্যান্টিবডি ‘পজিটিভ’ রক্তকে দেহ হতে দূর করার জন্য শিশুর রক্ত কণিকা বিনাশ করে।

আগে গর্ভপাত না হলে পক্ষান্তরে গর্ভাবস্থায় জরায়ুর ভেতরে রক্তপাত না হলে, সাধারণত গর্ভের প্রথম শিশুর ওপর আরএইচ ইনকম্প্যাটিবিলিটি এর কোনো ইফেক্ট পড়ে না। কিন্তু পরবর্তীতে ইতিবাচক রক্তের অধিকারী ছোট্ট শিশু গর্ভে আসলে, শিশুর নানান দেহ জটিলতা নোটিশ দেওয়ার জন্য পারে।

এক্ষেত্রে গর্ভের শিশুর রক্তশূন্যতা থেকে পারে, যা থেকে শিশুর অক্সিজেনের সাংঘাতিক অভাব তৈরি থেকে পারে। আরও কিছু জটিলতা (যেমন: সৃষ্টির পর সন্তানের রক্ত কণিকা ভেঙ্গে রক্তশূন্যতা হওয়া, নবজাতক শিশুর জন্ডিস হওয়া) দেখা দিতে পারে। কয়েকটি ক্ষেত্রে ছোট্ট শিশু গর্ভেই পক্ষান্তরে জন্মগ্রহণের পর পরই মারা যায়।

আরও পড়ুনঃ দেশের  ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ? ই-নামজারি কি ? ভূমি মালিকদের আধুনিক কার্ড ?

আরএইচ ইনকম্প্যাটিবিলিটি প্রতিরোধ করতে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত মায়ের রক্তের গ্রুপ নেতিবাচক হলে ১ম সন্তান গর্ভে থাকাকালেই মাকে ‘অ্যান্টি ডি’ ইনজেকশন বা আরএইচ ইমিউনোগ্লোবিউলিন দেওয়া হবে। এটা সাধারণত গর্ভাবস্থার ২৮তম সপ্তাহে দেওয়া হয়।[১] অনেকসময় ৩৪তম সপ্তাহেও আরেকবার ইনজেকশন দেওয়া হয়।

সেই সাথে প্রতিবার ইতিবাচক রক্তের গ্রুপের সন্তান ডেলিভারির ১ম ৭২ ঘন্টার ভিতরে আরেকবার ‘অ্যান্টি ডি’ ইনজেকশন নিতে হবে। গর্ভবতীর যদি কোনো রক্তক্ষরণ, পেটে প্রহার লাগা কিংবা গর্ভপাতের ঘটনা ঘটে থাকে, সেক্ষেত্রেও ‘অ্যান্টি ডি’ ইনজেকশন নিতে হবে।

  গর্ভাবস্থায় রক্ত পরীক্ষা

সিবিসি


সিবিসি (CBC) পরীক্ষায় মূলত রক্তে হিমোগ্লোবিনের সংখ্যা লক্ষ্য হয়। এই পরিমাণ দেখে আপনার রক্তশূন্যতা বিদ্যমান কি না সেটি নির্ণয় করা যায়। সিবিসিতে হিমোগ্লোবিনের একসাথে রক্তের লোহিত কণিকার হিসাব ও আকার সামঞ্জস্যপূর্ণ তথ্যও উঠে আসে। এসব তথ্য থেকে আপনার রক্তশূন্যতার পেছনে কী কারণ থাকতে পারে সেটা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে—আয়রনের অভাব, ভিটামিনের অভাব ও থ্যালাসেমিয়া নামক বংশগত রোগ।

রক্তশূন্যতা ধরা পড়লে তার পেছনের রিজন নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসক এইরকম কতিপয় পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিবেন। যেমন: আয়রন প্রোফাইল, পিবিএফ (PBF), হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফোরেসিস, ভিটামিন বি১২

ও ফোলেট লেভেল। এরপর রেজাল্ট অনুযায়ী সেবা সংক্রান্ত উপদেশ দিবেন।

এমন উপদেশের ভিতরে থাকতে পারে আহার তালিকায় নির্দিষ্ট কতিপয় খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া, বাড়তি আয়রনযুক্ত ট্যাবলেট সেবন করা, শিশুর ব্রেইনের ত্রুটি প্রতিরোধে বেশি ডোজে ফলিক এসিড এবং ক্ষেত্রবিশেষে গর্ভবতীকে রক্তপ্রদান করা।

গুগল নিউজ হতে আপডেট ” নিউজ হতে আইবাস++ ও সরকারি নিউজের আপডেট সংগ্রহ করে নিতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় আয়রনের অভাবজনিত রক্তশূন্যতা ?


গর্ভকালীন টাইমে আপনার দেহে আয়রনের ডিমান্ড অনেকটা বেড়ে যায়। গর্ভের শিশুর ঠিক বিকাশ ও সুস্থ প্রসবের জন্য গর্ভবতীর আয়রনের চাহিদা মেটানো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই ডিমান্ড ঠিকভাবে পূরণ করার জন্য না পারলে গর্ভবতী মায়ের আয়রনের অভাবজনিত রক্তশূন্যতা হতে পারে। সেই সাথে গর্ভের শিশুর রকমারি শরীর জটিলতা তৈরি হতে পারে।

উল্লেখ্য, সিবিসি এক্সামে রক্তের অন্যান্য কণিকা (যেমন: ধলা রক্তকণিকা ও প্লেইটলেট) সম্পর্কিত তথ্যও উঠে আসে। ধবল রক্তকণিকার পরিমান ইনফেকশন মার্ক করতে তার সাথে প্লেটলেটের পরিমান রক্ত জমাটের সমস্যা চিহ্নিত করার জন্য সহযোগিতা করে।

আরও জানুনঃ পে-স্কেল বাস্তবায়নের আগে সরকারি কর্মচারিদের জন্য ৫০% মহার্ঘ্য ভাতা সহ অন্যান্য দাবি সমূহ ?

গর্ভাবস্থায় হেপাটাইটিস বি পরীক্ষা


এই পরীক্ষাটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে HBsAg নামে পরিচিত। এর মাধ্যমে শরীরে হেপাটাইটিস বি ইনফেকশনের উপস্থিতি নির্ণয় করা যায়। HBsAg যদি পজিটিভ আসে, তার অর্থ আপনি হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত।

হেপাটাইটিস বি ভাইরাস লিভারের প্রদাহ থেকে চালু করে বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা, এমনকি লিভার ক্যান্সার ঘটাতে পারে। এই ইনফেকশন আপনার কাছ থেকে গর্ভের সন্তানে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমন শিশুদের সারাজীবন এই ইনফেকশনে ভোগার সম্ভাবনা অনেক বেশি।[২] তবুও শিশুকে যদি সঠিকভাবে প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন দেওয়া হয়, তাহলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ঘটনা প্রতিরোধ করা যায়।[৩]

আপনার হেপাটাইটিস বি এক্সামের ফলাফল যদি ইতিবাচক আসে, তাহলে আপনাকে গর্ভাবস্থায় বিশেষ তত্ত্বাবধানে রাখা হবে। প্রসবের সময়েও বিশেষ সতর্কতা নির্ভর করা হবে। আপনার শিশুকে আবির্ভাবের পর পর হেপাটাইটিস বি এর মুল্যবান ভ্যাকসিন ও ইনজেকশন দেওয়া হবে। এতে শিশুর হেপাটাইটিস বি জনিত দীর্ঘমেয়াদি জটিলতায় ভোগার সম্ভাবনা হ্রাস পায় আসবে।

গর্ভাবস্থায় সিফিলিস পরীক্ষা


এই এক্সামের নাম ভিডিআরএল টেস্ট। এই এক্সামে আপনার সিফিলিস নামক রোগ রয়েছে কি না তা পরীক্ষা করা হয়। গর্ভবতী নারী সিফিলিসে আক্রান্ত হলে এর জীবাণু তার গর্ভের সন্তানে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা থাকে।

সিফিলিস একটি যৌনবাহিত রোগ। এটি অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি দেহ জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। শিশুর শরীরে ছড়িয়ে পড়লে তা থেকে নানান মারাত্মক স্বাস্থ্য জটিলতা থেকে পারে। এমনকি গর্ভপাত কিংবা শিশুর মরণ পর্যন্ত হতে পারে।

পেনিসিলিন নামক ১টি সহজলভ্য অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশনের সাহায্যে গর্ভের শিশুর সিফিলিসের প্রতিরোধ করা যায়। যত তাড়াতাড়ি এর সেবা চালু করা হবে, গর্ভের শিশুর মাঝে এটি ছড়িয়ে পড়ার আশংকা তত কমবে। এইজন্য সময়মতো পরীক্ষা করে ডাক্তারের উপদেশ অনুযায়ী শিশুর সেবা চালু করা প্রয়োজন।

আরও জানুন : প্রধানমন্ত্রীর বেতন কত বা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেতন কত ?

রক্তের সুগার পরীক্ষা


রক্তের সুগার পরীক্ষা করার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। আমাদের কান্ট্রিতে ওজিটিটি (OGTT) বা ‘ওরাল গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট’ নামক বিশেষ পরীক্ষার সাহায্যে গর্ভবতীর রক্তে সুগারের লেভেল পরিমাপ করা হয়। এই পরীক্ষার সাহায্যে গর্ভবতীর diabetes  রয়েছে কি না তা জানা যাবে।

গর্ভাবস্থায় প্রথমবারের মতো ডায়াবেটিস ধরা পড়লে একে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস বলে। এটা প্রধারনত প্রসবের পর নিজেই সেরে যায়। এই এক্সামের সাহায্যে একদিকে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস নির্ণয় করা যায়, অন্যদিকে গর্ভধারণের আগে হতে ডায়াবেটিক—এমন নারীদের রক্তের সুগারের লেভেল সম্পর্কেও জানা যায়।[৪]

গর্ভবতীর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকে তাহলে মা ও শিশুর গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসব-পরবর্তী নানারকম গুরুতর জটিলতায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি প্রচুর বেড়ে যায়। এজন্য প্রথমে থেকে ডায়াবেটিস থাকে তাহলে অথবা গর্ভাবস্থায় প্রথমবারের মতো ডায়াবেটিস ধরা পড়লে, উভয় ক্ষেত্রেই ডাক্তারের উপদেশ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে। এসময়ে ডাক্তারের উপদেশ অনুযায়ী খাওয়াদাওয়া, ব্যায়াম ও ডায়াবেটিসের রোগের প্রতিকারক সম্পর্কিত নির্দেশনা মেনে চলা তার সাথে নিয়মিত রক্তের সুগার পরিদর্শনে রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশে সাধারণত কমপক্ষে দুইবার ওজিটিটি পরীক্ষা করানোর উপদেশ দেওয়া হয়। প্রথম ওজিটিটি পরীক্ষা ১ম গর্ভকালীন চেকআপের টাইমে অন্যান্য রক্ত পরীক্ষার সঙ্গে একাধার করে ফেলা হয়। তারপর গর্ভাবস্থার ২৪তম–২৮তম সপ্তাহের ভেতরে আরেকবার ওজিটিটি পরীক্ষা করাতে হয়। এ ব্যতীত গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অধিক থাকে তাহলে ২৪তম–২৮তম সপ্তাহের পূর্বেই ওজিটিটি করানোর পরামর্শ দেওয়া হতে পারে। উল্লেখ্য, ওজিটিটি পরীক্ষার বিশেষ ধারা রয়েছে। একারণে পরীক্ষার আগে সেই অনুসারে পরিকল্পনা নিয়ে যেতে হবে।

আরও জানুনঃ

সরকারি কর্মচারীদের দৈনিক ভাতার ও ভ্রমণ ভাতার নতুন হার ২০২৩ ?

গর্ভাবস্থায়  থাইরয়েড পরীক্ষা


থাইরয়েড আমাদের গলায় থাকা একটি গ্রন্থি, যা কিছু জরুরি হরমোন প্রস্তুত করে। এই হরমোনগুলো আমাদের দেহের প্রায় সব কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান পালন করে।

থাইরয়েডের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে টিএসএইচ (TSH) বা ‘থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন’। রক্তে এর পরিমাণ বেশি হলে ডাক্তারি ল্যাংগুয়েজে তাকে ‘হাইপোথাইরয়েডিজম’ বলে। আর মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কম হলে তাকে ‘হাইপারথাইরয়েডিজম’ বলে।

চিকিৎসার অনটনে দুইটা রোগই শিশুর নানারকম স্বাস্থ্য জটিলতা তৈরি করতে পারে। তাই থাইরয়েড পরীক্ষা করে আগেভাগে রোগ ধরে ফেলে ঠিক চিকিৎসা শুরু করা যায়।

থাইরয়েডের সমস্যার ধরনের ওপর নির্ভর করে ডাক্তার আপনাকে রোগের প্রতিকারক সেবনের উপদেশ দিবেন। প্রথমে হতে থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে উনি ঔষধের ডোজ সংশোধন করে দিতে পারেন। কিছু ক্ষেত্রে আবার চলমান ঔষধের সাময়িকভাবে অফ করার জন্য পারেন।

এ ছাড়া তিনি গর্ভাবস্থায় ও প্রসবের পরে আপনাকে নির্দিষ্ট সময় পর পর থাইরয়েড হরমোনের পরীক্ষা করার পরামর্শ দিবেন। সেই সাথে শিশুর জন্মের পর তার রক্ত নিয়েও থাইরয়েড হরমোনের পরিমাণ কম-বেশি বিদ্যমান কি না নির্ণয়ের পরীক্ষা করা হবে।

আরও জানুনঃ ফায়ার সার্ভিস বেতন কত ? ফায়ার সার্ভিস বেতন স্কেল ? ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার কত গ্রেড ?

গর্ভাবস্থায়  কখন রক্ত পরীক্ষা করা হয়


গর্ভাবস্থার বিভিন্ন টাইমে রক্ত পরীক্ষা করে রক্তের নানারকম উপকরণ থেকে ইনফরমেশন সংগ্রহ করা হয়। প্রধারনত নিচের সময়কাল অনুসারে এসব রক্ত পরীক্ষা করানো হয়—

গর্ভধারণের পর ‍কি কি টেস্ট করা জরুরী ?


গর্ভধারণের পর ১ম সাক্ষাতেই চিকিৎসক আপনাকে রক্ত পরীক্ষা, প্রস্রাব পরীক্ষা ও আলট্রাসনোগ্রাফি করানোর পরামর্শ দিবেন। এসময়ে আপনার রক্ত নিয়ে এ পর্যন্ত আলোচনা করা সব রক্ত পরীক্ষাই করানো হবে। কোন পরীক্ষা কোন সময় ও কীভাবে করাতে হবে, সেই সম্পর্কিত ডেটাগুলো চেকআপের সময়ে ডাক্তারের কাছ হতে জেনে নিন।

গর্ভধারণের পর যত ফাস্ট পসিবল ১ম চেকআপে যাওয়া জরুরি। যত দ্রুত গর্ভকালীন চেকআপ চালু করবেন, তত দ্রুত আপনার ও গর্ভের শিশুর জন্য ঠিক পদক্ষেপগুলো নিতে পারবেন। কিন্তু প্রথম চেকআপে যেতে যেন গর্ভধারণের ১ম তিন মাসের বহু টাইম অতিক্রম হয়ে না যায় সেটা নিশ্চিত করার জন্য হবে।

গর্ভাবস্থার ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহের ভেতর

গর্ভাবস্থায় রক্তের হিমোগ্লোবিন  ও প্রসাব পরীক্ষা করা হয়।
কোন কোন ক্ষেত্রে  OGTT রেজাল্ট নরমাল  হলেও ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহের মধ্যে আবারও পরিক্ষা করা লাগতে পারে;

  • গর্ভাবস্থা সংক্রান্ত বাড়তি যদি ঝুঁকি থাকে
  • পূর্বের প্রেগনেনেসির কোন গর্ভকালীন ডায়াবেটিস  থাকার  ইতিহাঁস থাকলে;
  •  যদি পরিবারের কোন সদস্যের ডায়াবেটিস থাকার ইতিহাস থাকেলে;
  • অতিরিক্ত ওজন থাকলে

গর্ভাবস্থার ৩২ সপ্তাহে কি কি টেস্ট করা প্রয়োজন ?

  • রক্তের হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা করা হবে;
  • প্রস্রাবও পরীক্ষা করা হবে।

গর্ভাবস্থার ৩৬ থেকে ৩৮ সপ্তাহের ভেতর কি কি টেস্ট করা প্রয়োজন ?


সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে গর্ভাবস্থার এই টাইমে শেষবারের মতো আপনার রক্তের হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা করা হবে। গর্ভবতী নারীদের রক্তশূন্যতা নোটিশ দেওয়া প্রচণ্ড কমন বলে এই পরীক্ষাটি বার বার করা হয়ে থাকে। এই টাইমের ভিতরে আপনার প্রস্রাব পরীক্ষা ও আলট্রাসনোগ্রাফিও করানো হবে।

আরও জানুনঃ কোন গ্রেডে কত বেতন ? সরকারি চাকরিতে কোন গ্রেডে কত বেতন ২০২৩ ?



ব্যতিক্রম
কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তার আপনাকে এই সময়কালের বাইরে ভিন্ন শিডিউলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়ার জন্য পারেন। এমনকি কতিপয় পরীক্ষা পুনরায় করার পরামর্শও দিতে পারেন। এরূপ ক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে—

  • গর্ভকালীন কোনো এক্সামের রেজাল্ট অস্বাভাবিক আসা
  • গর্ভাবস্থায় নতুন করে কোনো রোগ ধরা পড়া
  • আগে হতে কোনো দেহ জটিলতা থাকা
  • এ ব্যতীত দরকার অনুযায়ী নানারকম সময়ে কতিপয় বিশেষ পরীক্ষা করা হতে পারে। যেমন: লিভারের রোগ নির্ণয়ের জন্য এসজিপিটি/এএলটি (SGPT/ALT), কিডনির রোগ নির্ণয়ের জন্য সিরাম ক্রিয়েটিনিন, এইচবিএ১সি (HbA1C) এবং রক্ত বাঁধার ব্লিডিং টাইম, ক্লটিং সময় ও প্রোথ্রমবিন সময় পরীক্ষা।
  • রক্ত এক্সামের প্রক্রিয়া
  • রক্ত পরীক্ষা করার আগে
  • রক্ত এক্সামের আগে কিছু পরিকল্পনা নিতে হয়। যেমন—
  • যদি ওজিটিটি আপনার রক্ত পরীক্ষার অংশ হয়ে থাকে তাহলে নিশ্চয়ই পরীক্ষার জন্য রক্ত দেওয়ার প্রথমে ৮–১৪ ঘণ্টা আপনাকে খালি পেটে থাকতে হবে। পানি ব্যতীত অন্য কোনো অন্ন বা পানীয় এই টাইমে যাবে না। এর রিজন হলো, এই এক্সামের একটি ভাগে খালি পেটে আপনার রক্তে সুগারের মাত্রা লক্ষ্য হয়।
  • যদি আপনি অ্যাসপিরিন অথবা রক্ত চিকন করার কোনো রোগের প্রতিকারক খেয়ে থাকেন, কিন্তু রক্ত সংগ্রহের আগে সেটা স্বাস্থ্যকর্মীকে জানাবেন। সুঁই ঢুকিয়ে রক্ত কালেক্টের পর বেশিক্ষণ যাবত রক্তক্ষরণ হয় কি না সেদিকে উনি নজর রাখতে পারবেন।
  • প্রচুর সংখ্যা জল পান করবেন। এটি আপনার রক্তের পরিমাণ বাড়াতে তার সাথে আপনার শিরা-উপশিরা স্পষ্ট করতে সাহায্য করার জন্য পারে। ফলে সহজেই রক্ত সংগ্রহ করা সম্ভব থেকে পারে।
  • ঢিলে হাতা বা ছোটো হাতার পোশাক পরে যাবেন। আপনি বোরখা পরলে হাতা সহজেই কনুইয়ের উপর পর্যন্ত ওঠানো যায় এরূপ বোরখা পরে যাবেন। এতে রক্ত কালেক্ট করা হবে এবং অযাচিত এড়ানো সোজা হবে।
  • রক্ত দেওয়া পক্ষান্তরে শরীরে সুঁই ফুটানো নিয়ে কোনো ভয় থাকে তাহলে পরিবারের কোনো সদস্যকে সাথে নিয়ে যান। লম্বা লম্বা শ্বাস নিয়ে নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। রক্ত কালেক্টের টাইম সুঁইয়ের দিকে না তাকানোর ট্রাই করতে পারেন।
  • রক্ত পরীক্ষার হেতু প্রক্রিয়া
  • রক্ত এক্সামে প্রধারনত হাতের শিরা থেকে রক্ত কালেক্ট করা হয়।

আর জানুনঃ

আইবাস++ কর্মচারিদের ভ্রমন বিল অনলাইনে সাবমিট করার পদ্ধতি ? ibas++ta da staff login ?


প্রথমে আপনার হাতের ওপরের ভাগে দড়ির মতো একটি টার্নিকেট শক্ত করে লাগানো হবে। এর ফলে টার্নিকেটের নিচের শিরায় রক্ত নির্ঝর সাময়িকভাবে বাধা পাবে এবং শিরাগুলো ফুলে স্পষ্ট হয়ে উঠবে। শিরা স্পষ্ট হলে সেখান হতে ইজিলি ও নির্ভুলভাবে রক্ত সংগ্রহ করা যাবে।
এবার যেই ভাগে সুঁই ঢুকানো হবে, সেই অংশ অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে ক্লিয়ার করে নেওয়া হবে। তারপর সিরিঞ্জের সঙ্গে সংযুক্ত ১টি সুঁই অথবা বাটারফ্লাই সুঁই ত্বকের ভেতর দিয়ে শিরায় ঢুকিয়ে রক্ত নেওয়া হবে। এসময়ে আপনি সামান্য খোঁচা অনুভব করার জন্য পারেন, কিন্তু অতিশয় বেশি বেদনা হওয়ার কথা না।
রক্ত কালেক্ট করা হয়ে গেলে টার্নিকেট খুলে দেওয়া হবে। এরপর এক টুকরা জীবাণুমুক্ত তুলা দিয়ে সুঁই ফুটানোর স্থানটি চেপে ধরে রাখতে হবে অল্পসংখ্যক মিনিট। এরপর এর উপর একটি সার্জিক্যাল টেপ অথবা ব্যান্ডএইড বসিয়ে দেওয়া হবে।
রক্ত সংগ্রহের পর

রক্ত কালেক্টের পর রক্তপাত প্রধারনত কয়েক মিনিটের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায়। অল্পসংখ্যক ঘণ্টা পর ব্যান্ডএইড বা তুলা নিজে নিজেই সরিয়ে ফেলতে পারেন।

রক্ত পরীক্ষার জন্য রক্ত দেওয়ার পর প্রধারনত রোগীদের কোনো প্রবলেম হয় না। কিন্তু কারও কারও মাথা ঘুরাতে পারে।

যদি আগে কখনও রক্ত পরীক্ষার পর আপনার মাথা ঘুরে থাকে তা পূর্বেই রক্ত সংগ্রহকারী স্বাস্থ্যকর্মীকে জানিয়ে দিন। তিনি আপনাকে আশ্বস্ত থাকতে সহযোগিতা করতে পারেন। রক্ত দেওয়ার জন্য যাওয়ার সময়ে সঙ্গে পানির বোতল রাখার জন্য পারেন। এক্সামের পর জল পান করলে আপনি ভালো অনুভব করার জন্য পারেন।

এ ব্যতীত সুঁই ঢুকানোর পর সেই স্থানে অল্প ক্ষত থেকে পারে। জায়গাটি নীলচে তার সাথে আশেপাশে নগণ্য লালচে আভা থাকতে পারে। এটা দুয়েকদিনের মাঝে নিজেই মিলিয়ে যাবে।

ফলাফল
রক্ত এক্সামের একেক উপকরণের ফলাফল আসতে একেক রকম টাইম লাগে। যেমন: সিবিসি টেস্টের রেজাল্ট ১ দিনের মধ্যেই তৈরি হয়ে যেতে পারে। আবার টিএসএইচ এর রেজাল্ট  পেতে ১ সপ্তাহ সময় লাগে।

বিপত্তি এড়াতে রক্ত এক্সামের পর রিপোর্ট কালেক্ট করতে কবে, কখন ও ক্লিনিকের কোন সেক্টরে যেতে হবে তা পরীক্ষা শেষেই কর্তৃপক্ষের কাছ হতে জেনে নিন।

 গর্ভাবস্থায় জটিলতা


রক্ত পরীক্ষা খুবই নিরাপদ একটি পরীক্ষা। শুধু গর্ভাবস্থাতেই নয়, সাধারণ সময়েও বিভিন্ন কারণে রক্ত পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। প্রধারনত রক্ত এক্সামের পর কারোরই তেমন কোনো প্রবলেম হয় না। কিন্তু নগণ্য কয়েকটি ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা নোটিশ দিতে পারে। যেমন—

আরও জানুনঃ

Ibas++ta da Bill entry by sdo | সেলফ ড্রয়িং অফিসারদের ভ্রমন আইবাসে বিল এন্টি করার উপায় ২০২৩?

  • সুঁই ফুটানোর স্থানে ব্যথা
  • মাথা ঘুরানো
  • অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ
  • সুঁই ফুটানোর স্থানে ইনফেকশন
  • এলার্জি
  • বিরল ক্ষেত্রে সুঁই, সিরিঞ্জ বা ল্যান্সেটের মাধ্যমে ম্যালওয়্যারের সংক্রমণ—এটি প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্যে অলটাইম স্টেরাইল সুঁই-সিরিঞ্জের ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য হবে। রক্ত কালেক্ট করার পদ্ধতি যথাসম্ভব জীবাণুমুক্ত রাখার জন্য হবে
  • রক্ত পরীক্ষা হতে যেসব তথ্য কালেক্ট করা হয় তা আপনার ও আপনার সন্তানের সুস্থতা শিওর করার জন্য খুবই ইম্পোর্টেন্ট অবদান রাখে। এইজন্য যথাসময়ে এসব পরীক্ষা করে ফেলাই ভালো।


গর্ভাবস্থায় প্রধারনত সর্বমোট ৪ বার রক্ত পরীক্ষা করার জন্য হয়। গর্ভধারণের পর যত ফাস্ট সম্ভব প্রথম ধাপের সবগুলো পরীক্ষা করতে হলে হয়। এরপর গর্ভাবস্থার ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহের ভেতর দ্বিতীয়বার, ৩২ সপ্তাহে তৃতীয়বার তার সাথে ৩৬–৩৮ সপ্তাহের ভেতর শেষবার রক্ত পরীক্ষা করা হয়।
তবে কতিপয় ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম হতে পারে। চেকআপের সময়ে চিকিৎসক আপনাকে এই সংক্রান্ত নির্দেশনা জানিয়ে দিবেন।

প্রেগনেন্ট হলে কত দিনের মধ্যে বোঝা যায়?

মাসিক বন্ধ হওয়ার আগের সপ্তাহ থেকেই বেশি ভাগ মহিলা বমি বমি ভাব হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে বমির সমস্যা নাও থাকতে পারে। স্তনে ব্যাথা হওয়া, ফুলে বা ভারী হওয়া ইত্যাদি প্রেগনেন্ট হওয়ার লক্ষণ হতে পারে।

,পিরিয়ড মিস না হলে কি গর্ভবতী হয়?

বেশিভাগ ক্ষেত্রে ,পিরিয়ড মিস না হলে গর্ভবতী হয় না। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে ,পিরিয়ড মিস না হলেও গর্ভবতী হতে পারে।

রিলেটেড ট্যাগঃ প্রেগনেন্ট হলে কত দিনের মধ্যে বোঝা যায়?,পিরিয়ড মিস না হলে কি গর্ভবতী হয়?,প্রেগনেন্ট হলে কি কি লক্ষণ দেখা যায়?




Reply

error: Content is protected !!