পিআরএল বা এলপিআর কি ? আপনার পিআরএল শুরু কবে ?
পিআরএল এর অর্থ কি ?
পিআরএল বা PRL এর অর্থ :
- পোস্ট রিটারমেন্ট লিফ বা Post Retirement Leave (PRL) বা অবসর উত্তর ছুটি ।
- অবসর গ্রহণের পরে এক বছর ছুটি ভোগ করে করে।
- বর্তমানে এলপিআর এর পরিবর্তে পিআরএল চালু হয়েছে।
এলপিআর বা lpr কি ?
এলপিআর বা lpr :
- লিফ প্রিপাইটরি রিটারমেন্ট বা Leave Preparatory Retirement বা অবসর প্রস্তুতি মূলক ছুটি।
- অবসর গ্রহণের পর্বে এ ছুটিতে গমন করে।
- এক বছর ছুটিভোগ করে অবসরে গমন করে।
উপরের তথ্য হতে পিআরএল বা এলপিআর কি তা সহজেই অনুমেয়।
আরও জানুনঃ আরও জানুনঃ অনলাইনে জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করার উপায় ২০২৩ এবং জিপিএফ হিসাবের স্লিপ বের করার উপায় ?
এক কথায় পিআরএল হলো অবসর গ্রহণের পর ছুটি কাটানো আর এল পি আর হলো অবসর গ্রহণের পূর্বে ছুটি কাটানো।
এলপিআর এর অসুবিধা কি কি ?
এলপিআর এর অসুবিধাঃ
- এলপিআর ছুটি চলাকালীন অন্য চাকরি করার সুযোগ নেই।
- চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের সুযোগ ছিল না।
- বিদেশ ভ্রমনে সরকারের অনুমতির প্রয়োজন ছিল।
আপনার পিআরএল শুরু কবে ?
- আপনার জম্ম তারিখের সাথে ৫৯ বা ৬০ যোগ করবেন। যেমন আপনার জম্ম তারিখ যদি ১১/০১/১৯৮৪ খ্রিঃ তারিখ হয় তাহলে ৫৯ বছর পর পিআরএল শুরু হবে ১১/০১/২০৪৩ সালে। পিআরএল যাওয়ার জন্য প্রথম দরকার আপনার ইএলপিসি।
ইএলপিসি আবেদন করেছেন তো ? কত দিন আগে ইএলপিসির জন্য আবেদন করবেন?
- পেনশন সহজীকরণ আদেশ ২০২০ এর ২.০৫ অনুযায়ী পিআরএল শুরু হওয়ার ১১মাস পূর্বে এর ইএলপিসির জন্য আবেদন করতে হবে।
পিআরএল জন্য ১১ থেকে ২০ গ্রেডে কর্মরতদের জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন ?
- চাকরি স্থায়ীকরণ অথবা নিয়মিত করণের আদেশ
- সার্ভিস বই
- সারা চাকরি জীবনে বেতন নির্ধারণের কপি।
- ছুটির হিসাব।
- ডিডিও কর্তৃক স্বাক্ষরিত ইএলপিসি।
পিআরএল জন্য ১০ থেকে ০১ গ্রেডে কর্মরতদের জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন ?
- সমস্ত এলপিসির কপি।
- সার্ভিস স্টেটমেন্ট তৈরী করতে হবে।
- ইএলপিসি ফরম পূরণ করে হিসাবরক্ষণ অফিসে জমা প্রদান করবেন।
- হিসাবরক্ষণ অফিস কর্তৃক ইএলপিসি ইস্যু করা হলে আপনাকে আপনার অফিস বরাবর পিআরএল মঞ্জুরীর জন্য আবেদন করতে হবে।
আইবাস++ এ পিআরএল এন্টি ?
- আপনার দপ্তর হতে পিআরএল মঞ্জুর করা হলে আইবাস++ পিআরএল এন্টি করতে হবে।
- হিসাবরক্ষণ অফিস হতে আইবাস++ এ পিআরএল অনুমোদন করলে পিআরএলকালীন বেতন ভাতা সাবমিট করতে পারবেন
পিআরএল বা অবসর উত্তর ছুটির সুবিধা কি কি ?
পিআরএল বা অবসর উত্তর ছুটির সুবিধা:
- পিআরএল ছুটি চলাকালীন অন্য চাকরি করার সুযোগ আছে।
- চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের সুযোগ আছে।
- বিদেশ ভ্রমনে সরকারের অনুমতির প্রয়োজন নেই।
- এলপিআর বা পিআরএল উভয় প্দ্ধতিতেই সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারি ছুটি চলাকালনি ১২ মাসের মূল বেতন, বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা পেয়ে থাকে।
- ছুটি শেষে পেনশন নির্ধারণের জন্য একটি ইনক্রিমেন্ট প্রাপ্য হবেন।
আরও জানুনঃ
সরকারি কর্মচারীদের দৈনিক ভাতার ও ভ্রমণ ভাতার নতুন হার ২০২৩ ?
ছুটি নগদায়ন সুবিধা ?
ছুটি নগদায়ন :
অবসরকালে অর্জিত ছুটি পাওনা সাপেক্ষে ১২ (বার) মাসের ছুটি নগদায়নের বিধান পরিবর্তন করে ১৮ (আঠারো) মাসের ছুটি নগদায়ন অর্থাৎ ১৮ (আঠারো) মাসের মূলবেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রাপ্য হবেন।
পিআরএল ছুটির হিসাব ও অবসর উত্তর ছুটির হিসাব করার উপায় ?
- অবসর-উত্তর ছুটি (PRL) এবং ছুটি নগদায়নের ক্ষেত্রে ০২ (দুই) দিনের অর্ধগড় বেতনের ছুটিকে ০১ (এক) দিনের গড় বেতনে ছুটিতে রুপান্তর (Conversion) করা যাবে।
- অবসরকালীন মূলবেতনের ভিত্তিতে উক্ত নগদায়ন সুবিধা অবসর-উত্তর ছুটির শুরুতে প্রাপ্য। অবসর-উত্তর ছুটি ভোগ না করলেও এ আর্থিক সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
পিআরএল এর আবেদন কখন করবেন ?
- সরকারি কর্মচারী অবসর-উত্তর ছুটিতে গমনের ১১ (এগার) মাস পূর্বে সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ অফিস/আয়ন ও ব্যয়ন কর্মকর্তা তাহার “অবসর-উত্তর ছুটিতে যাওয়ার অব্যবহিত পূর্বের তারিখে” এবং “চূড়ান্ত অবসরগ্রহণের অব্যবহিত পূর্বের তারিখে” শেষ আহরণযোগ্য/নির্ধারণযোগ্য প্রত্যাশিত বেতন উল্লেখপূর্বক ইএলপিসি (Expected Last Pay Certificate) (সংযোজনী-১) জারি করিবেন।
- আয়ন ও ব্যয়ন কর্মকর্তা কর্তৃক জারীকৃত নন-গেজেটেড কর্মচারীর ইএলপিসি সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ০৭ (সাত) কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিস্বাক্ষর করিবেন। হিসাবরক্ষণ অফিসে প্রেরণকালে ইএলপিসি-এর সঙ্গে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বাক্ষরিত ই-চাকরি বৃত্তান্তের হালনাগাদ অনুলিপি সংযুক্ত করিতে হইবে।
- ই-চাকরি বৃত্তান্তে অনিষ্পত্তিকৃত অডিট আপত্তি ও বিভাগীয় মামলার তথ্য থাকিলে তাহা ইএলপিসি-তে ক্রমিক ৪(ঢ)-এ লাল কালিতে উল্লেখ করিতে হইবে।
পিআরএল শুরুর তারিখ হিসাব : ৫৯ বছর বয়স পূর্তি হবে । উদাহরণঃ ৩১-১২-২০২০ খ্রিঃ তারিখে এবং ৩১-১২-২০২০ খ্রিঃ তারিখ অপরাহ্নে তিনি অবসর গ্রহণ করবেন।
গুগল নিউজ হতে আপডেট ” নিউজ সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
পিআরএল প্রজ্ঞাপন ও ব্যাখা :
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ
প্রবিধি অনুবিভাগ
প্রবিধি-১ শাখা
www.mof.gov.bd
নং-০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০৬.১৩-২২ তারিখঃ ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ খ্রিস্টাব্দ
প্রজ্ঞাপন
অবসর-উত্তর ছুটি (পিআরএল) কাল পেনশনযোগ্য চাকরি কিনা, অবসর-উত্তর ছুটি কালে আর্থিক সুযোগ-সুবিধার প্রাপ্যতা এবং অবসরের তারিখ, এলপিআর শুরুর তারিখ, চূড়ান্ত অবসর শুরুর তারিখ ইত্যাদি বিষয়সমূহ নিম্নরূপভাবে স্পষ্টীকরণ করা হলো:
(১) অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিকে (এলপিআর) অবসর-উত্তর ছুটিতে (পিআরএল) রূপান্তর করায় অবসর-উত্তর ছুটি (পিআরএল) কাল পেনশনযোগ্য চাকরি হিসেবে গণনাযোগ্য হবে না। তবে, অবসর-প্রস্তুতিমূলক ছুটি (এলপিআর) কালীন প্রাপ্ত অন্যান্য সকল সুযোগ সুবিধা অবসর-উত্তর (পিআরএল) ছুটিকালীনও বহাল থাকবে।
(২) জনাব ‘ক’ এর জন্ম তারিখ ০১-০১-১৯৬২ খ্রিঃ। একটি উদাহরণের মাধ্যমে তার অবসরগ্রহণ, পিআরএল ও চূড়ান্ত অবসর গ্রহণের তারিখ নিম্নোক্তভাবে দেখানো হলো :
(ক) জনাব ‘ক’ এর ৫৯ বছর বয়স পূর্তি হবে ৩১-১২-২০২০ খ্রিঃ তারিখে এবং ৩১-১২-২০২০ খ্রিঃ তারিখ অপরাহ্নে তিনি অবসর গ্রহণ করবেন।
(খ) ছুটি পাওনা সাপেক্ষে মঞ্জুরীকৃত অবসর-উত্তর ছুটি (পিআরএল) আরম্ভ হবে তার অবসর গ্রহণের পরের দিন অর্থাৎ ০১-০১-২০২১ খ্রি: তারিখে। তিনি ১২ মাস অবসর-উত্তর ছুটি (পিআরএল) ভোগ করলে তার ছুটি শেষ হবে ৩১-১২-২০২১ খ্রিঃ তারিখে এবং তার চূড়ান্ত অবসর গ্রহণের তারিখ হবে ০১-০১-২০২২ খ্রিঃ।
(গ) অবসর-উত্তর ছুটি (পিআরএল) ভোগ না করলে তার চূড়ান্ত অবসর গ্রহণের তারিখ হবে ৩১-১২-২০২০ খ্রিঃ।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে
(খালেদা নাছরিন)
সিনিয়র সহকারী সচিব
আরও জানুন: ibas++registration form পূরণ করার পদ্ধতি ?
পোস্ট রিলেটেড ট্যাগঃ পিআরএল বা এলপিআর কি ?,পিআরএল শুরুর তারিখ হিসাব, পিআরএল বিধিমালা,পিআরএল এর আবেদন, পিআরএল প্রজ্ঞাপন, পিআরএল কি, পিআরএল ছুটির হিসাব,পিআরএল ও এলপিআর
আইবাস++ ও সরকারি নিউজের আপডেট পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন।
আমি বাংলাদেশ সরকারের অডিট এন্ড একাউন্টস বিভাগের একজন কর্মচারি। প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে কর্মরত থাকায় বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ার করে থাকি। তারপরও যে কোন ভুল ত্রুটি হলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কোন পরামর্শ থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।