প্রশাসনিক ও ব্যাক্তিগত কর্মকর্তারা মহার্ঘ ভাতা নয় চান অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট ?
মহার্ঘ ভাতা চান না বাংলাদেশ সচিবালয়ে কর্মরত প্রশাসনিক ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা। তারা চান সালের অন্তুত তিনটি ইনক্রিমেন্ট। তারা বলছে, রাষ্ট্রের দেওয়া পে-স্কেল এর সঙ্গে মহার্ঘ ভাতা সমন্বয় হওয়ায় তারা এর সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে মহার্ঘভাতা এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর কোনো উপকারে আসে না। এ কারণে ইনক্রিমেন্ট অ্যাডভান্টেজ চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সেক্টরে ২০১৯ ও ২০২১ সালে একাধিক আবেদন করেছে বাংলাদেশ সচিবালয় প্রশাসনিক অফিসার কল্যান সমিতি।
পারিবারিক-পেনশন-ফরম-২-২ ” নিউজ হতে আইবাস++ ও সরকারি নিউজের আপডেট সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারিদের দাবি, সরকার জীবনযাপনের মান, আয়-ব্যয় সাথে দ্রব্যমুল্যের সাথে সমন্বয় রেখে জাতীয় বেতন স্কেল প্রদানের এক বা দুই বছর আগে বিভিন্ন সময় মহার্ঘ প্রদান করলেও পে স্কেল ঘোষনার সাথে সাথে মহার্ঘ ভাতা বিলুপ্ত হয়ে যায়। ফলে সেই মহার্ঘভাতা কোনো কাজে আসতে চলেছে না। তা সত্ত্বেও এসব অফিসার জন্য তৈরিকৃত আবাসনগুলোতে ইতোমধ্যেসরকার বিদ্যুৎ, গ্যাস বিল, সাহায্য ফান্ড, যৌথবীমা, পরিবহণ খরচসহ আদার্স খরচের পরিমান কয়েকগুণ বৃদ্ধি করেছে। এর সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বেসরকারি বাসাভাড়া, পরিবহণ, ওষুধপত্রের দাম, সেবা খরচ, সন্তানাদির পড়াশোনার খরচসহ অন্যান্য প্রত্যহ দরকারী দ্রব্যের মূল্য। এ কারণে তাদের জীবনযাপন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
সুবিধাবঞ্চিত এসব কর্মচারি ভাষ্য, ২০১৫ সালে জাতীয় বেতনস্কেল কার্যকর হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে শতকরা প্রায় ৪০ শতাংশ। রাষ্ট্রীয় কর্মচারীদের প্রতিবছর ১টি বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট হিসেবে বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে মাত্র ৫০০ টাকা থেকে একহাজার টাকা। কিন্তু টাকার অংকে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৫ হাজার টাকা বা তারও বেশি। এ ছাড়া আধুনিক বেতনস্কেলে টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড সুবিধা না অল্প সালারিভুক্ত কর্মচারিদের জীবন পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
আরও জানুনঃ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারিদের জন্য মহার্ঘ ভাতা থাকছে না বিশেষ ইনক্রিমেন্ট ২০২৩ ?
উল্লেখিত বিষয়ে বাংলাদেশ সচিবালয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০১৫ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ বেতন-ভাতা নির্ধারণ সম্পর্কিত ১টি মন্ত্রিসভা পরিচালক সভা গঠনের আদেশ দেন। সেই আলোকে মন্ত্রিপরিষদ ক্যাটাগরি ২০১৭ সালে মে মাসে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মহোদয়কে আহ্বায়ক করে ৯ মেম্বার বিশিষ্ট ১টি কমিটি গঠন করে। কমিটি বেতন সুবিধাদি বৃদ্ধি সম্পর্কিত ১টি সুপারিশমালা ২০১৮ সালের শেষের দিকে অর্থ বিভাগে প্রেরণ করে। প্রায় ৫ বছর অতিবাহিত হলেও তা আজও কার্যকর হয়নি। ফলে আর্থিক সুবিধাবঞ্চিত হওয়ায় আমাদের পর্যাপ্ত কষ্টে দিনতিপাত করতে হচ্ছে।
আরও জানুনঃ ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ৯ম পে স্কেল এবং মহার্ঘ ভাতা সহ ১১ দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের ?
বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিযুক্ত এসব প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দাবি, ফিউচারে বেতনভাতা বর্ধিতকরণ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির দেওয়া ২০১৮ সালের সুপারিশ অনুসারে অধুনা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জীবনযাত্রার বৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতিসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আপাতত তিনটি ‘বিশেষ ইনক্রিমেন্ট’ ও ‘নবম পে-কমিশন’ গঠনের ব্যপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য হবে। এ ছাড়া বর্তমান বেতনস্কেলে টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড রহিত করায় নিম্নবেতনভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংসার পরিচালনা করার জন্য হিমশিম খেতে হচ্ছে। সেই বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়ার দাবি তাদের।
অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগে প্রবিধি, বাস্তবায়ন এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ইন্সটিটিউট বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. মোস্তফা, এ ব্যপারে একটি নির্দেশনা মন্ত্রিপরিষদ ক্যাটাগরি থেকে পেয়েছি। তবে এটা নিয়ে কোনো অগ্রগতি নেই। এই মুহূর্তে এটার উন্নতি হবে কিনা তবুও জানি না। তবে সিদ্ধান্ত হলে যেকোনো সময় হতে পারে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কোনো নির্দেশনা কখনো পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না কোনো নির্দেশনা পাইনি। এ ব্যপারে এর বাইরে আর কয়েকটি জানা নেই বলেও উল্লেখ করে তিনি ।
সূত্র: কালের কন্ঠ ।
আমি বাংলাদেশ সরকারের অডিট এন্ড একাউন্টস বিভাগের একজন কর্মচারি। প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে কর্মরত থাকায় বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ার করে থাকি। তারপরও যে কোন ভুল ত্রুটি হলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কোন পরামর্শ থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।
এরকম বেতন বৃদ্ধির প্রয়োজন নেই, দ্রবমূল্য পাঁচ বছর আগে মূল্য ছিলো সেই পর্যায়ে নামিয়ে দেওয়া হোক। বেতন বৃদ্ধির নামে ভিক্ষা চাই না
এরকম বেতন বৃদ্ধির দরকার নেই, দ্রব্যমূল্য পাঁচ বছর আগে যে মূল্য ছিলো সেটা করে দিলেই হবে।বেতন বৃদ্ধির নামে ভিক্ষা প্রদানের দরকার নেই।