লিয়েন বিধিমালা ২০২১ এবং লিয়েন ছুটির আবেদন ফরম ?
লিয়েন বিধিমালা ২০২১ ?
লিয়েন বিধিমালা ২০২১ জারি করার হয়েছে। এই বিধিমালায় ১৬টি ধারা রয়েছে;
১। শিরোনাম ও প্রবর্তন সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।
২। সংজ্ঞা রয়েছে।
৩। বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরির প্রার্থিতা নিয়ন্ত্রণ, ইত্যাদি সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। ৪। লিয়েন অর্জন ও বিলুপ্ত সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।
৫। শূন্য পদের তথ্য প্রদান সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।
৬। চাকরি সম্পর্কিত তথ্য প্রচার সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।
৭। আবেদনপত্র আহ্বান, মনোনয়ন ও নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।
৮। আবেদনপত্র দাখিল করার প্রক্রিয়া রয়েছে।
৯ । চূড়ান্তভাবে নির্বাচনের পর অনুসরণীয় পদ্ধতির বর্ণনা রয়েছে।
১০। সিদ্ধান্ত প্রদান সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।
১১। লিয়েন মঞ্জুরের শর্ত রয়েছে।
১২। অনুমতি পত্র, অঙ্গীকারনামা, ইত্যাদি সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।
১৩ । লিয়েন হইতে প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।
১৪। ডাটাবেজ সংরক্ষণ করার সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।
১৫। অসুবিধা দূরীকরণ সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।
১৬। রহিতকরণ ও হেফাজত করা সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন
লিয়েন বিধিমালা, ২০২১
১। শিরোনাম ও প্রবর্তন।—(১) এই বিধিমালা সরকারি কর্মচারী লিয়েন বিধিমালা, ২০২১ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
লিয়েন অর্থ কি ?
২। সংজ্ঞাঃ
(ক) ‘আইন’ অথাৎ সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৭ নং আইন);
(খ) ‘উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ’ অর্থ আইনের ধারা ২ এর দফা (৩) এ সংজ্ঞায়িত কর্তৃপক্ষ;
(গ) “বৈদেশিক বা বেসরকারি
(ঘ) “লিয়েন” অর্থ আইনের এর ধারা (২) এর দফা (১২) তে সংজ্ঞায়িত লিয়েন;
(ঙ) ‘লিয়েন সংরক্ষণ’ অর্থ লিয়েন স্থগিত না করা হইলে অথবা লিয়েন স্থানান্তরিত না হইলে, কোনো স্থায়ী পদে স্থায়ীভাবে অধিষ্ঠিত একজন সরকারি কর্মচারী কর্তৃক নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে লিয়েন সংরক্ষণ, যথা:
(অ) স্থায়ী পদে দায়িত্ব পালন অবস্থায় ;
(আ) ফরেন সার্ভিসে চাকরিরত অবস্থায়;
(ই) অস্থায়ী পদে অধিষ্ঠিত থাকিবার সময়;
(ঈ) অন্য পদে অফিসিয়েটিংকালে ;
(উ) যোগদানকালে;
(ঊ) ছুটি ভোগরত অবস্থায়; এবং
(ঋ) সাময়িক বরখাস্ত থাকিবার সময়; এবং
(চ)‘সরকারি কর্মচারী” লিয়েন বিধিমালা ২০২১ পিডিফ দেখে নিতে পারেন।
৩ । বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরির প্রার্থিতা নিয়ন্ত্রণ, ইত্যাদি।—–(1) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় যে কোনো দেশ বা সংস্থার সহিত সম্পাদিত দ্বি- পাক্ষিক চুক্তির বা ব্যবস্থার অধীন বৈদেশিক চাকরির প্রার্থিতা নিয়ন্ত্রণ করিবে এবং উক্ত বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ প্রেরণ করিবে এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব হইবে উক্ত সুপারিশ
বাস্তবায়ন করা।
আরও জানুনঃ আইবাস++ কি ? আইবাস সিস্টেমের মাধ্যমে পেনশন প্রক্রিয়াকরণ ও প্রদান করার উপায় ?
(২) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জাতিসংঘ ও ইহার অঙ্গ সংগঠনসমূহ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থায় চাকরির প্রার্থিতা নিয়ন্ত্রণ করিবে।
(৩) উপ-বিধি (১) ও (২) এর অধীন বর্ণিত চাকরি ব্যতীত অন্যান্য সকল বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরির প্রার্থিতা চাকরি নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করিবে।
৪। লিয়েন অর্জন ও বিলুপ্ত।—একজন সরকারি কর্মচারী কোনো স্থায়ী পদে নিয়মিতভাবে নিয়োজিত হইলে, ঐ পদে তাহার লিয়েন অর্জিত হইবে এবং অন্য কোনো পদে পূর্বে অর্জিত লিয়েন বিলুপ্ত হইবে।
৫। শূন্য পদের তথ্য প্রদান।—পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশনসমূহ
(ক) বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরির সুযোগ বা শূন্য পদ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করিয়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করিবে; এবং
(খ) কোনো দেশ বা সংস্থা ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পাদিত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অথবা বহুপাক্ষিক চুক্তি বা ব্যবস্থার আওতায় শূন্য পদ বা চাকরি সুযোগের তথ্য সংগ্রহ করিয়া প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বা, ক্ষেত্রমত, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে প্রেরণ করিবে।
৬। চাকরি সম্পর্কিত তথ্য প্রচার। —— জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরি সম্পর্কিত তথ্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া, ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য মাধ্যমে দ্রুত ও কার্যকরভাবে প্রচারের ব্যবস্থা করিবে।
৭। আবেদনপত্র আহ্বান, মনোনয়ন ও নিয়ন্ত্রণ।— প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ উহাদের অধীন বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরিসমূহের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান, মনোনয়ন, নিয়ন্ত্রণ, ইত্যাদি বিষয়ক নীতি বা পদ্ধতি গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করিবে।
৮। আবেদনপত্র দাখিল, ইত্যাদি।——বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরির বিষয়ে সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ অনুসরণ করিতে হইবে, যথা:–
(ক) যে কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রচারকৃত অথবা অন্যভাবে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কোনো সরকারি কর্মচারী যে কোনো বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরির জন্য সরাসরি সংশ্লিষ্ট সরকার বা সংস্থায় আবেদন করিতে পারিবেন :
তবে শর্ত থাকে যে, তিনি তাহার দরখাস্তের কপি অবিলম্বে স্বীয় চাকরি নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অবগতির জন্য প্রেরণ করিবেন:
আরো শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশে অবস্থিত বৈদেশিক কূটনৈতিক মিশনে চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে;
(খ) বিদেশে কোনো রাষ্ট্রীয় বা সুপ্রতিষ্ঠিত বেসরকারি বা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বা সংস্থায়, দেশে বা বিদেশে অবস্থিত জাতিসংঘ ও বহুজাতিক সংস্থা অথবা এইরূপ সংস্থা কর্তৃক সরাসরি বাস্তবায়িত প্রকল্পসমূহ, বিদেশি অথবা বিদেশি সাহায্যপুষ্ট বেসরকারি সংস্থা (এন.জি.ও.), সরকারের অংশীদার বা মালিকানাধীন লিমিটেড কোম্পানি, সরকারের আর্থিক সংশ্লেষ রহিয়াছে এইরূপ প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে কোনো মন্ত্রণালয় বা সংস্থা কর্তৃক বাস্তবায়িত বা পরিচালিত কোনো প্রকল্প বা কর্মসূচিতে কোনো পদের জন্য আবেদন করিবার ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদনের প্রয়োজন হইবে না :
তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ ক্ষেত্রে চাকরি নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে আবেদন করিবার বিষয়টি অবহিত করিতে হইবে;
(গ) বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে দরখাস্ত প্রেরণের জন্য বিদেশি রাষ্ট্রের বা সংস্থার চাহিদা বা নির্দেশনা থাকিলে প্রার্থী স্বীয় চাকরি নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগের মাধ্যমে আবেদন করিবেন:
(ঘ) চাকরি নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগে অগ্রায়নের জন্য প্রাপ্ত উপযুক্ত দরখাস্তসমূহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিবের অনুমোদনক্রমে চাকরি নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগে অগ্রবর্তী করিতে হইবে:
(ঙ) কোনো সরকারি কর্মচারী তাহার আবেদনের অনুলিপি বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) এবং সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রেরণ করিয়া আবেদনকৃত চাকরি প্রাপ্তিতে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য অনুরোধ করিতে পারিবেন; এবং
(চ) জাতিসংঘ, উহার অঙ্গ সংগঠন বা অন্য কোনো আন্তর্জাতিক বা আঞ্চলিক সংস্থায় উচ্চপর্যায়ের যে সকল প্রশাসনিক পদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সমর্থনের প্রয়োজন হয়, সেই সকল ক্ষেত্রে প্রার্থীগণ তাহাদের চাকরি নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগের মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করিবেন এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রার্থীগণের একটি তালিকা প্রস্তুত করিয়া তাহাদের মধ্যে হইতে ১ (এক) জনকে মনোনয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট প্রস্তাব উপস্থাপন করিবে এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মনোনয়ন প্রদানের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ উক্ত প্রার্থীর নিয়োগের বা নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করিবে।
৯ । চূড়ান্তভাবে নির্বাচনের পর অনুসরণীয় পদ্ধতি।– (১) চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত সরকারি কর্মচারীগণ বাংলাদেশের চাকরির শূন্য পদে লিয়েন সংরক্ষণের অভিপ্রায় ব্যক্ত করিলে যথাযথ উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ উহা প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চাকরি নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগে প্রেরণ করিবে।
(২) চাকরি নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগ Rules of Business, 1996 অনুসারে যে সকল সরকারি কর্মচারীর নিয়োগ বা বদলির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর নিকট প্রেরণ করিতে হয় সেই সকল কর্মকর্তার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর এবং অন্যান্যদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে ফরম-ঘ অনুযায়ী লিয়েনসহ বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরির অনুমতি প্রদান করিবে।
(৩) উপ-বিধি (২) এর অধীন অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কোনো অনাপত্তির প্রয়োজন হইবে না।
(৪) যদি কোনো সরকারি কর্মচারীর লিয়েন সংরক্ষণ করিবার আগ্রহ না থাকে অথবা চাকরিতে তাহার লিয়েন সৃষ্টি না হইয়া থাকে, তাহা হইলে তিনি চাকরি হইতে পদত্যাগ করিবেন।
(৫) উপ-বিধি (৪) এর অধীন পদত্যাগ করিলে সেই ক্ষেত্রে অন্য কোনো সরকারি ছাড়পত্র প্রয়োজন হইবে না :
তবে শর্ত থাকে যে, বিদেশি নিয়োগকারী কর্তৃক কোনো ছাড়পত্র যাচনা করা হইলে চাকরি নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগ উহা প্রদান করিতে পারিবে।
১০। সিদ্ধান্ত প্রদান।—(1) বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরি প্রাপ্তির অনুমতি সংক্রান্ত আবেদনপত্র বা পদত্যাগপত্রের যথার্থতা প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় আন্তরিকতার সহিত বিবেচনা করিবে :
লিয়েন বিধিমালা ২০২১ পিডিফ দেখে নিতে পারেন।
আরও শর্ত থাকে যে, বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরিতে নিয়োগের প্রস্তাব গ্রহণের ক্ষেত্রে পদটি সরকারি কর্মচারীর বর্তমান পদমর্যাদার সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হইতে হইবে।
(২) যদি দাখিলকৃত আবেদন প্রত্যাখ্যান করিবার প্রয়োজন হয়, তাহা হইলে উপযুক্ত যুক্তিসহ প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় উহা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সিদ্ধান্তের জন্য প্রেরণ করিবে।
(৩) Rules of Business, 1996 অনুসারে যে সকল কর্মকর্তার নিয়োগ বা বদলির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর নিকট প্রেরণ করিতে হয় সেই সকল কর্মকর্তার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর এবং অন্যান্যদের ক্ষেত্রে চাকরি নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে চাকরি নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে ।
(৪) বিদেশে কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা সুপ্রতিষ্ঠিত কি না বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার অস্তিত্বের বিষয়ে কোনো মতপার্থক্যের উদ্ভব হইলে উক্ত বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
১১। লিয়েন মঞ্জুরের শর্ত।——লিয়েন সংরক্ষণ এবং বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত শর্ত প্রতিপালন করিতে হইবে, যথা:
(ক) সরকারি কর্মচারীগণ সমগ্র চাকরি জীবনে বিচ্ছিন্নভাবে অথবা ধারাবাহিকভাবে সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) বৎসর পর্যন্ত লিয়েন সংরক্ষণ করিতে পারিবেন:
(খ) দফা (ক) তে উল্লিখিত ৫ (পাঁচ) বৎসর কেবল চাকরির জ্যেষ্ঠতা, বেতন বৃদ্ধি ও অবসর গ্রহণের (পেনশন) জন্য গণনাযোগ্য হইবে এবং অন্য কোনো উদ্দেশ্যে এই সময় গণনা যোগ্য হইবে না এবং লিয়েনাধীন সরকারি কর্মচারী এই সময় কোনো বেতন, ভাতা বা ছুটি প্রাপ্ত হইবেন না;
(গ) বাংলাদেশ সরকারের চাকরি হইতে অবমুক্তির তারিখ হইতে উক্ত চাকরিতে পুনঃযোগদানের পূর্ব দিন পর্যন্ত সময় লিয়েনকাল হিসাবে গণ্য হইবে;
গুগল নিউজ হতে আপডেট ” নিউজ সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
(ঘ) মোট লিয়েনকাল যদি একাদিক্রমে ৫ (পাঁচ) বৎসর অতিক্রম করে, তবে ৫ (পাঁচ) বৎসর অতিক্রমের তারিখ হইতে সরকার বিশেষ বিবেচনায় অন্যরূপ কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করিলে বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস্ (বি.এস.আর.) প্রথম খন্ডের বিধি ৩৪ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারীর সরকারি চাকরির অবসান হইবে এবং উক্ত চাকরির সহিত তাহার সকল সম্পর্ক স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছিন্ন হইবে;
(ঙ) ধারাবাহিকভাবে বা বিচ্ছিন্নভাবে ৫ (পাঁচ) বৎসর বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরি করিবার পর সরকার বিশেষ ক্ষেত্রে সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের সহিত সংশ্লিষ্ট দেশীয় প্রতিষ্ঠানে কোনো সরকারি কর্মচারীকে পুনরায় বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরিতে সর্বোচ্চ আরও ২ (দুই) বৎসর থাকার অনুমতি দিতে পারবে ;
তবে শর্ত থাকে যে, এই ক্ষেত্রে মেয়াদ বর্ধিতকরণের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মতি গ্রহণ করিতে হইবে :
(চ) লিয়েনের আবেদন মঞ্জুর না হওয়া পর্যন্ত কোনো সরকারি কর্মচারী চাকরিতে অনুপস্থিত থাকিতে পারিবেন না বা কোনো বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরিতে যোগদান করিতে পারিবেন না ;
(ছ) কোনো অবস্থাতেই ভূতাপেক্ষভাবে লিয়েন মঞ্জুর বা বৃদ্ধি করিবার জন্য আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য হইবে না :
(জ) লিয়েন আবেদন মঞ্জুরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হইলে আদেশ জারির পূর্বে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারীকে লিয়েনে গমনের উদ্দেশ্যে অনুমোদিত মেয়াদের জন্য (যোগদানকালসহ) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ প্রদান করিতে হইবে :
(ঝ) লিয়েন সংরক্ষণকালীন সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারী সরকার কর্তৃক নির্ধারিত যৌথবীমা তহবিল, কল্যাণ তহবিল, ভবিষ্য তহবিল, পেনশন ও লিভ-স্যালারি কন্ট্রিবিউশন এবং অন্যান্য চাঁদা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করিবেন :
(ঞ) লিয়েনে থাকাকালীন সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারী কর্তৃক পেনশন ও লিভ-স্যালারি কন্ট্রিবিউশন জমা প্রদানের প্রমাণপত্র দাখিল করিতে হইবে এবং গৃহীত অগ্রিম বা ঋণের কিস্তি, যদি থাকে, নিয়মিতভাবে জমা প্রদান করিতে হইবে;
(ট) লিয়েন সংরক্ষণের জন্য চাকরিতে স্থায়ী হওয়াসহ চাকরিকাল কমপক্ষে ৫ (পাঁচ) বৎসর হইতে হইবে;
(ঠ) বৈদেশিক প্রশিক্ষণ বা উচ্চশিক্ষার জন্য প্রেষণ বা শিক্ষাছুটি বা বহিঃবাংলাদেশ ছুটির ধারাবাহিকতায় লিয়েন মঞ্জুর ও লিয়েন সংরক্ষণ করা যাইবে না;
(ড) ৬ (ছয়) মাসের ঊর্ধ্বে বৈদেশিক প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী সরকারি কর্মচারী প্রশিক্ষণের শর্তানুযায়ী প্রশিক্ষণ শেষে আবশ্যকীয় মেয়াদের চাকরি পূর্তির পরবর্তীতে লিয়েন সংরক্ষণের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন:
(ঢ) কোনো সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা প্রক্রিয়াধীন বা চলমান থাকিলে অথবা কোনো ফৌজদারী মামলা দায়ের হইলে উহা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাহার লিয়েন সংরক্ষণের আবেদন বিবেচনা করা যাইবে না;
(ণ) কোনো স্থায়ী পদের বিপরীতে নিযুক্ত হইবার পর যাহাদের চাকরি স্থায়ী করা হইয়াছে, এই বিধিমালার অধীন কেবল সেই সকল সরকারি কর্মচারীর লিয়েন সংরক্ষণযোগ্য হইবে;
(ত) বিদেশে কোনো সরকারি বা সুপ্রতিষ্ঠিত বেসরকারি বা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বা সংস্থায়, দেশে বা বিদেশে অবস্থিত জাতিসংঘ ও বহুজাতি সংস্থা অথবা এইরূপ সংস্থা কর্তৃক সরাসরি বাস্তবায়িত প্রকল্পসমূহ, বাংলাদেশে অবস্থিত কোনো বৈদেশিক কূটনৈতিক মিশন অথবা ইহার অঙ্গসংগঠন, বিদেশি অথবা বিদেশি সাহায্যপুষ্ট বেসরকারি সংস্থা (এন.জি.ও.), সরকারের অংশীদার বা মালিকানাধীন লিমিটেড কোম্পানি, সরকারের আর্থিক সংশ্লেষ রহিয়াছে এইরূপ প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে কোনো মন্ত্রণালয় বা সংস্থা কর্তৃক বাস্তবায়িত বা পরিচালিত কোনো প্রকল্প বা কর্মসূচিতে চাকরির জন্য লিয়েন সংরক্ষণ করা যাইবে:
(থ) বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরির মেয়াদ সমাপ্তে বাংলাদেশ সরকারের চাকরিতে পুনরায় প্রাপ্য সময়ের মধ্যে যোগদান করিতে হইবে:
(দ) অনুমোদিত বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরির মেয়াদ শেষ হইবার ৪ (চার) সপ্তাহ পূর্বে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের সহিত যোগাযোগ করা না হইলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে;
(ধ) নিয়োগকারী সংস্থার সহিত সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারীর চাকরির শর্তের অথবা কোনো দেনা-পাওনার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের কোনো দায়-দায়িত্ব থাকিবে না:
লিয়েন বিধিমালা ২০২১ পিডিফ দেখে নিতে পারেন।
(ন) বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরিতে নিয়োজিত অবস্থায় অথবা ইহার পরবর্তিতে যে কোনো পর্যায়ে উক্ত চাকরি হইতে উদ্ভুত কোনো শারীরিক অথবা মানসিক বৈকল্য বা অক্ষমতা দৃশ্যমান হইলে ইহার কোনো দায়-দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের উপর বর্তাইবে না:
তবে শর্ত থাকে যে, বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরিতে নিয়োজিত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করিলে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারী তাহার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য চাকরি বিধি-বিধান অনুযায়ী পেনশন ও আনুতোষিকসহ অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্য হইবেন;
(প) বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরি গ্রহণের অনুমতি প্রদানের পূর্বে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারী তাহার অনুকূলে বরাদ্দকৃত সরকারি গাড়ি, টেলিফোন, কম্পিউটার, ফেরতযোগ্য অন্যান্য সাজ-সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি, বই-পত্র, ইত্যাদি জমা প্রদান করিবেন এবং সরকারের অন্য কোনো পাওনা থাকিলে তাহা প্রচলিত আইন অনুযায়ী জমা প্রদানের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদনসহ প্রত্যয়নপত্র উপস্থাপন করিবেন;
(ফ) বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরিতে যোগদানের পূর্বে কোনো সরকারি কর্মচারী যদি সরকারের ভাড়াকৃত বাড়িতে অথবা সরকারি বাড়িতে অবস্থান করেন, তাহা হইলে উক্ত চাকরিতে যোগদানের তারিখ হইতে সর্বোচ্চ ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে তিনি উক্ত বাড়ি খালি করিয়া ৬ (ছয়) মাসের ভাড়া পরিশোধ করিবেন;
ব) যদি কোনো সরকারি কর্মচারী দফা (ফ) তে বর্ণিত ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে বাড়ি খালি না করেন তাহা হইলে ভাড়াকৃত বাড়ির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব তিনি স্বীয় বহন করিবেন এবং সরকারি বাড়ির ক্ষেত্রে সরকারি আবাসন পরিদপ্তর স্ট্যান্ডার্ড রেন্ট আদায়ের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে; এবং
(ভ) বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরিতে নিয়োজিত অবস্থায় অথবা অনুরূপ চাকরি হইতে প্রত্যাবর্তন করিবার পর সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারী যে কোনো সময় বাংলাদেশ সরকারের চাকরি হইতে পদত্যাগ করিতে পারিবেন বা ২৫ (পঁচিশ) বৎসর চাকরি পূর্তির পর স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করিতে পারিবেন।
১২। অনুমতি পত্র, অঙ্গীকারনামা, ইত্যাদি। ——(১) লিয়েন সংরক্ষণের জন্য ফরম-ক অনুযায়ী নির্ধারিত ছকে আবেদন করিতে হইবে।
(২) বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরিতে নিয়োগের অনুমতি বা ছাড়পত্র প্রদানের পূর্বে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারী ফরম-গ অনুযায়ী অঙ্গীকারনামা সম্পাদন করিবেন।
(৩) প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বা বিভাগ কর্তৃক লিয়েন সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হইলে এবং ফরম-খ অনুযায়ী পূর্ব শর্তাদি পরিপালিত হইলে সংশ্লিষ্ট চাকরি নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ফরম-ঘ অনুযায়ী বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরিতে নিয়োগের অনুমতি পত্র জারি করিবে।
(৪) বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরিতে নিয়োগের অনুমতিপত্র ফরম-ঘ এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারী কর্তৃক প্রদত্ত অঙ্গীকারনামা ফরম-গ এর শর্তসমূহ ভঙ্গ করিলে অথবা বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরি সংক্রান্ত কোনো ভ্রান্ত বা অসত্য তথ্য প্রদান করিয়া থাকিলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ যে কোনো সময় লিয়েন সংরক্ষণের আদেশ বাতিল করিতে পারিবে এবং শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
(৫) লিয়েনে থাকাকালীন যোগাযোগের ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর, ফ্যাক্স নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা, ইত্যাদি পরিবর্তিত হইলে অবিলম্বে উক্তরূপ পরিবর্তন সম্পর্কে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিতে হইবে।
(৬) উপ-বিধি (৫) এর অধীন অবহিত না করিলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।
(৭) লিয়েন সংরক্ষণকালীন সরকার কর্তৃক সময় সময় জারীকৃত নির্দেশনা অনুযায়ী যাচিত তথ্যাদি (যথা: সম্পদ বিবরণী, আয়কর রিটার্ন, ইত্যাদি) সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারীকে যথাসময়ে দাখিল করিতে হইবে।
(৮) এই বিধিমালায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার জনস্বার্থে যে কোনো সময় লিয়েন সংরক্ষণের আদেশ বাতিল করিতে পারিবে।
১৩ । লিয়েন হইতে প্রত্যাবর্তন।—(১) লিয়েন হইতে প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে লিয়েনের মেয়াদ সমাপ্ত হইবার ৩০ (ত্রিশ) দিন পূর্বে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারী লিয়েন অবসানের বিষয়টি চাকরি নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে লিখিতভাবে (সরাসরি/ফ্যাক্স/ই-মেইল) অবহিত করিবেন।
(২) লিয়েনে বিদেশে কর্মরত সরকারি কর্মচারীকে অনুমোদিত লিয়েনের মেয়াদ সমাপ্তির সর্বোচ্চ ৩ (তিন) সপ্তাহের মধ্যে সরকারি চাকরিতে যোগদান করিতে হইবে এবং বাংলাদেশে লিয়েনে কর্মরত থাকিলে বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস্ (পার্ট-১) এর যোগদান সংক্রান্ত বিধান মোতাবেক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যোগদান করিতে হইবে।
(৩) উপ-বিধি (২) এর অধীন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যোগদান না করিলে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে অননুমোদিত অনুপস্থিতির জন্য সরকার বিভাগীয় মামলা দায়েরসহ যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
(৪) লিয়েন সংরক্ষণের মেয়াদ শেষে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারী প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা ক্ষেত্রমত, কর্মস্থলে যোগদান করিবেন এবং যোগদানপত্র গ্রহণকারী উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ যোগদানের ৭ (সাত) ) কর্মদিবসের মধ্যে লিয়েন অনুমোদনকারী উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করিবে।
(৫) অনুমোদিত লিয়েনের মেয়াদপূর্ণ হইবার পূর্বে কোনো সরকারি কর্মচারী মঞ্জুরিকৃত লিয়েনের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিলের আবেদন সহকারে যোগদানপত্র দাখিল করিতে পারিবেন এবং প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে লিয়েন মঞ্জুর করা হইয়াছে, এইরূপ ক্ষেত্রে চাকরি নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে লিয়েন অনুমোদনকারী উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে লিয়েনের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিলক্রমে যোগদান পত্র গ্রহণ করা যাইবে।
(৬) এই বিধিমালায় যে সকল প্রতিষ্ঠান বা সংস্থায় চাকরি করিবার জন্য লিয়েন সংরক্ষণের বিধান রাখা হয় নাই তবে বিধিমালা জারির পূর্ব হইতেই কোনো সরকারি কর্মচারী এইরূপ প্রতিষ্ঠান বা সংস্থায় লিয়েনে কর্মরত তাদের ক্ষেত্রে পূর্বানুমোদিত মেয়াদ পর্যন্ত লিয়েন বহাল থাকবে।
(৭) কোনো সরকারি কর্মচারী এই বিধিমালার কোনো বিধান লংঘন করিলে তাহার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ সহ বিদ্যমান অন্যান্য বিধি-বিধানের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।
১৪। ডাটাবেজ সংরক্ষণ।—সংশ্লিষ্ট চাকরি নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরিতে নিয়োগের অনুমতি প্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীর তথ্য সংবলিত রেজিস্ট্রার বা ডাটাবেজ সংরক্ষণ করিবে।
১৫। অসুবিধা দূরীকরণ।—এই বিধিমালার কোনো বিধান বাস্তবায়ন করিবার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধার উদ্ভব হইলে বা কোনো বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান আবশ্যক হইলে, উক্তরূপ অসুবিধা দূরীকরণ বা ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে, সরকার, আইন ও এই বিধিমালার সংশ্লিষ্ট বিধানের সহিত সামঞ্জস্য রক্ষা করিয়া, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
১৬। রহিতকরণ ও হেফাজত।—(১) ৬ মে, ২০০৭ খ্রি. তারিখের সম/(বৈঃনিঃ)/বৈদেশিক নিয়োগনীতি/১২/২০০৩-৬৮ নং স্মারকমূলে জারীকৃত বৈদেশিক চাকরিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিয়োগ সম্পর্কিত নীতি ও পদ্ধতি বিষয়ক রিজলিউশনটি এতদ্বারা রহিত করা হইল।
(২) উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও রহিতকৃত রিজলিউশনের অধীন কৃত কোনো কার্য বা গৃহীত কোনো ব্যবস্থা এই বিধিমালার অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং কোনো কার্য বা ব্যবস্থা অনিষ্পন্ন থাকিলে উহা এইরূপে নিষ্পন্ন করিতে হইবে যেন এই বিধিমালা প্রণীত হয় নাই।
লিয়েন ছুটির আবেদন ফরম ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
রিলেটেড ট্যাগঃ লিয়েন বিধিমালা ২০২১, লিয়েন কত প্রকার, লিয়েন বিধিমালা ২০২১ pdf, লিয়েন ছুটির আবেদন ফরম
আমি বাংলাদেশ সরকারের অডিট এন্ড একাউন্টস বিভাগের একজন কর্মচারি। প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে কর্মরত থাকায় বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ার করে থাকি। তারপরও যে কোন ভুল ত্রুটি হলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কোন পরামর্শ থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।