6comments

সরকারি চাকরি (সংশোধন) বিল-২০২৩’ পাস করা হয়েছে ?

সরকারি চাকরি (সংশোধন) বিল-২০২৩’ পাস করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদে আজ ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) বিল-২০২৩’ পাস হয়েছে।

 এতে স্বশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারিদের বেতন-ভাতা, অবসর-সুবিধা সরকারী চাকরি বিধানের আওতায় আনা হয়েছে।

পারিবারিক-পেনশন-ফরম-২-২ ” নিউজ হতে আইবাস++ ও সরকারি নিউজের আপডেট সংগ্রহ করে নিতে পারেন।


জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন। বিলের উপর আনীত জনমত যাচাই-বাছাই প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে সংসদে পাস হয়।
সরকারি চাকরি (সংশোধন) বিল ২০২৩-এ জানানো হয়েছে, ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি বিধানের ১৫, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪ ও ৪৫ ধারার বিধানসমূহ স্ব-শাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত কর্মচারীদের জন্য প্রয়োগ-যোগ্য হবে।

বিলে স্ব-শাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারিদের বেতন-ভাতা নির্ধারণের ক্ষমতা অর্থ বিভাগের হাতে দেওয়ার কথা উল্লেখ আছে।

আরও জানুনঃ  বদলি জনিত ভাতা,দৈনিক ভাতা এবং ভ্রমন বিল দাখিল করার নির্দেশনা ২০২৩ ?

  •  সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, স্বায়ত্তশাসিত, সরকারের কোম্পানী, করপোরেশন ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারিদের বেতন ভাতা নির্ধারণের জন্য অর্থ বিভাগের অনুমতি লাগবে।

২০১৮ সালের সরকারি চাকরি বিধানের ১৫, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪ ও ৪৫ ধারার বিধানসমূহ আলোচনা করা হলোঃ

বেতন, ভাতা ও সুবিধাদি নির্ধারণ

১৫। সরকার, রাষ্ট্রীয় গেজেটে নির্দেশ দ্বারা, সকল সরকারি কর্মচারীর বা সরকারী কর্মচারীগণের কোনো ভাগের জন্য বেতন, ভাতা, বেতনের গ্রেড বা স্কেল, অন্যান্য অ্যাডভান্টেজ ও প্রাপ্যতা বা অবসর সুবিধা সম্পর্কিত শর্তাদি নির্ধারণ করিতে পারিবে।

ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত সংক্রান্ত

৪১। (১) কোনো সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারির দায়িত্ব পালনের সহিত সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় কোর্ট কর্তৃক অভিযোগপত্র স্বীকৃত হইবার পূর্বে, তাহাকে গ্রেফতার করিতে হইলে, রাষ্ট্রশাসক বিভাগ বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করিতে হইবে।

(২) কোনো সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারির বিপক্ষে কোনো উকিল ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনো আইনি কার্যধারা বিচারাধীন থাকিলে, বিচারাধীন কোনো এক বা একের অধিক অভিযোগের বিষয়ে তাহার বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যধারা রুজু বা নিষ্পত্তির ব্যাপারে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকিবে না।

(৩) যদি বিচারকারী আদালতের গোচরীভূত হয় যে, তাহার উকিল বিচারাধীন কোনো ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত লোক একজন রাষ্ট্রীয় কর্মচারী, তাহা হইলে বিচারালয় অনতিবিলম্বে ব্যাপারটা সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী বা পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিবে।

আরও জানুনঃ সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ বা সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ গেজেট

ফৌজদারি মামলায় দণ্ডিত কর্মচারী ক্ষেত্রে

৪২। (১) কোনো সরকারী কর্মচারী ফৌজদারি মামলায় কোর্ট কর্তৃক মৃত্যুদণ্ড বা ১ (এক) বৎসর মেয়াদের বহু মেয়াদের কারাদন্ডে দণ্ডিত হইলে, দণ্ড আরোপের রায় বা আদেশ প্রদানের তারিখ থেকে চাকরি হইতে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত হইবেন।

(২) কোনো সরকারি কর্মচারী ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অনূর্ধ্ব ১ (এক) বৎসর মেয়াদের কোনো কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইলে, নিয়োগকারী শাসকবর্গ তাহাকে নিম্নবর্ণিত যে কোনো দণ্ড আরোপ করিতে পারিবে, যথা:-

  • তিরস্কার;
  • প্রেমোশন বা ইনক্রিমেন্ট নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য বৃদ্ধি স্থগিতকরণ করতে পারে।
  • নিম্নে পদ বা নিচের বেতন স্কেলে নামিয়ে দেওয়া।

আরও দেখুনঃ সাধারণ ভবিষ্য তহবিল (জিপিএফ) অগ্রিম উত্তোলনের নিয়ম ২০২২

(ঘ) কোনো বিধান বা সরকারি আদেশ অমান্যকরণ কিংবা কর্তব্যে ইচ্ছাকৃত অবহেলার কারণে সরকারী অর্থ বা সম্পত্তির ক্ষতি সংঘটিত হইলে যথোপযুক্ত আদায়।

(৩) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, রাষ্ট্রপতি যদি এই মর্মে খুশি হন যে, কোর্ট কর্তৃক কারাদণ্ডে দণ্ডিত ও চাকরি হইতে বরখাস্তকৃত কোনো ব্যক্তিকে অনুরূপ বরখাস্ত হইতে রেহাই প্রদানের বিশেষ রিজন বা অবস্থা রহিয়াছে, তাহা হইলে উনি উক্ত ব্যক্তিকে রেহাই প্রদান করিতে পারিবেন, তার সাথে অনুরূপ নির্দেশ প্রদান করা হইলে ওয়ার্রকার চাকরিতে পুনর্বহাল হইবেন।

(৪) উপ-ধারা (২) এর অধীনতা দণ্ড আরোপের জন্য নিয়োগকারী কার্যসম্পাদকগণ কর্তৃক কোনো বিভাগীয় কার্যধারা রুজু করিবার বা রিজন দর্শাইবার প্রয়োজন হইবে না এবং এতদুদ্দেশ্যে প্রদত্ত আদেশ আপিলযোগ্য হইবে না।

আরও জেনে নিনঃ স্ত্রী মারা গেলে স্বামী আজীবন পেনশন পাবেন কি ?পেনশনারের বয়স ৬৫ বছর পূর্ণ হলে কী কী বিশেষ সুবিধা প্রাপ্য হন ? কারা আজীবন পারিবারিক পেনশন পাবেন ?

(খ) উপ-ধারা (২) এর অধীন দণ্ডিত ব্যক্তি, পরবর্তীতে অ্যাপ্লাই বিচারালয় কর্তৃক খালাসপ্রাপ্ত হইলে, তাহার ওপর মনগড়া দণ্ডাদেশ প্রত্যাহার করিতে হইবে।

(৬) খালাসপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারী, অবসরে গমনের বয়সে উপনীত হইলে পক্ষান্তরে সংশ্লিষ্ট পদ বা জবের বিলুপ্তি ঘটিলে, তাহাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা যাইবে না, তবে তিনি গভর্নমেন্ট কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত আর্থিক সুবিধা প্রাপ্য হইবেন।

সরকারি কর্মচারীর অবসর গ্রহণ সংক্রান্ত ?

৪৩। (১) এই নিয়মের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে,-

  • সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারি ৫৯ বছর পূর্ণ হলে অবসর গ্রহন করবেন।
  • সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারি মুক্তিযোদ্ধা হলে ৬০ বছর পূর্ণ হলে অবসর গ্রহন করবেন।


(২) রাষ্ট্রশাসক বিভাগ বা, ক্ষেত্রমত, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এ উল্লিখিত মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারীর মুক্তিযোদ্ধা সনদ বা পরিচিতি যাচাই করিতে পারিবে:

তবে শর্ত থাকে যে, মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ লাভকারী এইরূপ যাচাই হইতে রেহাই স্বীকৃত হইবেন।

ঐচ্ছিক অবসর গ্রহণ সংক্রান্ত


৪৪। (১) একজন সরকারি কর্মকর্ত/কর্মচারি চাকরির বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হলে তিনি স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করতে পারবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ব্যক্তকৃত আকুলতা চূড়ান্ত পরিমাণে পরিগনিত হইবে এবং উহা পাল্টানো বা প্রত্যাহার করা যাইবে না।

আরও জেনে নিনঃ আইবাস++ কি ? আইবাস সিস্টেমের মাধ্যমে পেনশন প্রক্রিয়াকরণ ও প্রদান করার উপায় ?

সরকার কর্তৃক অবসর প্রদান সংক্রান্ত ?


৪৫। কোনো সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারির জবের মেয়াদ ২৫ (পঁচিশ) বৎসর পূরণ হইবার পর যে কোনো টাইম সরকার, জনস্বার্থে, মুল্যবান মনে করিলে কোনোরূপ কারণ না দর্শাইয়া তাহাকে চাকরি হইতে ছুটি প্রদান করিতে পারিবে :

তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, সেইক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির অ্যাপ্রুভ গ্রহণ করিতে হইবে।

6 Comments

Reply

error: Content is protected !!