nocomments

পাইলট প্রকল্প আকারে ১ জুলাই ২০২৩ হতে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে সরকার ?

আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছর হতে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা ২০২৩ এর পাইলট কার্যক্রম চালু হতে যাচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আসন্ন বরাদ্দ বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল পেনশন কার্যক্রমের বিষয় উল্লেখ করবেন।



পারিবারিক-পেনশন-ফরম-২-২ ” নিউজ হতে আইবাস++ ও সরকারি নিউজের আপডেট সংগ্রহ করে নিতে পারেন।


গত ২৪ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন-২০২৩’ পাস হয়। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনের খসড়া বিধিও চূড়ান্ত পর্যায়ে। অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নিয়মের আওতায় ছয় ধরনের প্রোডাক্ট স্কিম নিয়ে সর্বজনীন পেনশন বিধানের বিধিমালা প্রণয়ন করেছে অর্থ বিভাগ। দেশের ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী প্রায় ১০ কোটি নাগরিককে ৬টি শ্রেণি অনুসারে ভাগ করে এই স্কিম সিলেক্ট করা হয়েছে। এগুলো হলো, বেসরকারি প্রাতিষ্ঠানিক চাকরিজীবী পেনশনার, প্রবাসী/অনিবাসী পেনশনার, কর্মচারী শ্রেণি, অপ্রাতিষ্ঠানিক জনগোষ্ঠী, সোশ্যাল সুরক্ষা কর্মসূচিভুক্ত জনগোষ্ঠী ও শিক্ষার্থী।

আরও জানুনঃ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারিদের জন্য মহার্ঘ ভাতা থাকছে না বিশেষ ইনক্রিমেন্ট ২০২৩ ?



প্রতিটি স্কিম হবে স্বতন্ত্র। সব স্কিমে ১টি ন্যূনতম চাঁদার হার নির্ধারিত থাকবে। কেউ চাইলে বেশিও জমা করার জন্য পারবে। কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত তহবিলে সংশ্লিষ্ট প্রোডাক্ট স্কিমের হিসাবে যার যে রকম চাদা জমা হবে তার আর্থিক সুবিধাও সেরকম হবে।
চলতি বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি সর্বজনীন পেনশন অথিরিটি গঠনের দাপ্তরিক নির্দেশ জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। আগামী মাসের ভিতরে কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়েই তাদের দাপ্তরিক দফতর স্থাপনের প্রাথমিক ডিসিশন হয়েছে।



আগামী জুলাইয়ে ইচ্ছুক পেনশনারদের নিয়ে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। শুরুতে কিছু ‍ কিছু জেলায় চালু হতে পারে এবং পরে অন্য যেকোনো একটি জেলাকে অন্তভূক্ত হবে। পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের মেয়াদ এক হতে দুই বছর হতে পারে। এর সাফল্যের উপর ভিত্তি করে পরে তা সারাদেশে করা হবে। তবে শুরুর প্রক্রিয়াটি হবে সীমিত পরিসরে। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা সারাদেশে শুরু হওয়ার পর কমপক্ষে পাঁচ বছর তা ঐচ্ছিক করা হবে। সকলে জন্য বাধ্যতামূলক করা হবে ২০৩০ সাল হতে।

আরও জানুনঃ ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ৯ম পে স্কেল এবং মহার্ঘ ভাতা সহ ১১ দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের ?

এ সরকারের এ উদ্যোগকে যথাযথ মনে করছেন রিসার্চ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ উন্নয়ন রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (বিআইডিএস) তত্ত্বানুসন্ধান পরিচালক ও অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত। তিনি বলেন, এটা জনগণের কল্যাণে করা। ১টি ইতিবাচক পদক্ষেপ। প্রাইমারি পর্যায়ে পাইলট স্কিমেই শুরু করার জন্য হবে। কারণ, এটি একটি বড় বিষয়। বৃহৎ অর্থনৈতিক সংশ্লিষ্ট বিষয়। বিষয়টিকে আমি স্বাগত জানাই। আমি মনে করি দেশের সার্বিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থে পদক্ষেপটা যথাযথ।

আরও জানুনঃ হচ্ছে না পে স্কেল তবে সরকারি চাকরিজীবীদের মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে বেতন বৃদ্ধির খবর ২০২৩ ?

আইন অনুযায়ী জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভিত্তি ধরে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা ২০২৩ আওতায় ১৮ বছর বা তার বহু বয়স থেকে ৫০ বছর বয়সী সব বাংলাদেশি নাগরিক অংশ নিতে পারবেন। বিশেষ বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদেরও পেনশন স্কিমের আওতায় রাখার অ্যারেঞ্জমেন্ট রাখা হয়েছে। মাসিক পেনশন সুবিধা পেতে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর চাঁদা দাতাকে ধারাবাহিকভাবে অন্তুত ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার জন্য হবে। ১০ বছর চাঁদা দেওয়া শেষে তিনি যে বয়সে উপনীত হবেন, সে বয়স হতে আজীবন পেনশন পাবেন। চাঁদা দাতার বয়স ৬০ বছর পূর্তিতে পেনশন ফান্ডে পুঞ্জীভূত মুনাফাসহ পেনশন দেওয়া হবে। প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরাও এতে অংশ নিতে পারবেন। চাঁদা দাতা অন্তুত ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার আগে মারা গেলে জমাকৃত অর্থ মুনাফাসহ তার নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে।

সূত্রঃ বাংলানিউজ২৪

Reply

error: Content is protected !!