১৪তম গ্রেডে বেতন ও ভাতাদি ও পেনশন ২০২২ সালে কত প্রাপ্য হবেন ?
জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ২০২২ নিয়োগকৃত ১৪ তম গ্রেডে কর্মচারিদের বেতন ও ভাতদি নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
১৪ তম গ্রেডের বেতন স্কেল কত ?
১৪ তম গ্রেডের বেতন স্কেল : ১০২০০-১০৭১০-১১২৫০-১১৮২০-১২৪২০-১৩০৫০১৩৭১০-১৪৪০০-১৫১২০-১৫৮৮০-১৬৬৮০-১৭৫২০-
১৮৪০০-১৯৩২০-২০২৯০-২১৩১০- ২২৩৮০- ২৩৫০০-২৪৬৮০
১৪ তম গ্রেডের বেতন ও ভাতাদি ২০২২:
- মুল ১৪তম গ্রেডে বেতনঃ ১০,২০০/- টাকা
- বাড়িভাড়া ভাতাঃ ৪,৫৯০/- টাকা ( ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকার জন্য ৬০% ও চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ ও গাজিপুর সিটি কর্পোরেশন এবং সাভার এলাকার জন্য ৫০% এবং অন্যান্য স্থানের জন্য ৪৫% )
- মেডিকেল ভাতাঃ ১৫০০/- টাকা
- টিফিন ভাতাঃ ২০০/- টাকা
- যাতায়াত ভাতাঃ ৩০০/- টাকা
গুগল নিউজ হতে আপডেট ” নিউজ হতে আইবাস++ ও সরকারি নিউজের আপডেট সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
১৪ তম গ্রেডের মোট বেতন কত ?
মোট ১৪তম গ্রেডে বেতন ভাতাদি= (১০২০০+৪৫৯০+১৫০০+২০০+৩০০)=১৬,৭৯০/- টাকা।
২০২২ সালে ১৪তম গ্রেডে নিয়োগকৃত অবস্থানভেদে কর্মচারিগণ নিম্ন লিখিত ভাতাদি প্রাপ্য হবেন:
যাতায়াত ভাতা এবং যাতায়াত ভাতার অর্থনৈতিক কোড-৩১১১৩০২
(১) জাতীয় বেতনস্কেল, ২০১৫ এর ১১ নং হইতে ২০ নং গ্রেডের বেসামরিক কর্মচারীর ক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কর্মস্থল হইলে তিনি ১ জুলাই ২০১৬ তারিখ হইতে মাসিক ৩০০ (তিন শত) টাকা হারে যাতায়াতভাতা প্রাপ্য হইবেন।
আরও পড়ুনঃ
সাধারণ ভবিষ্য তহবিল (জিপিএফ) অগ্রিম উত্তোলনের নিয়ম ২০২২
শিক্ষা সহায়কভাতা এবং শিক্ষা ভাতার অর্থনৈতিক কোড ৩১১১৩০৬
(১) সকল কর্মচারীর জন্য সন্তান প্রতি মাসিক ৫০০ (পাঁচ শত) টাকা হারে এবং অনধিক ২ (দুই) সন্তানের জন্য মাসিক সর্বোচ্চ ১০০০ (এক হাজার) টাকা শিক্ষা সহায়কভাতা প্রদেয় হইবে, তবে, স্বামী ও স্ত্রী উভয়ই সরকারি কর্মচারী হইলে সন্তান সংখ্যা যে কোন একজনের ক্ষেত্রেই গণনা করিয়া ভাতার পরিমাণ নির্ধারণ করিতে হইবে এবং ২১ (একুশ) বৎসর পর্যন্ত বয়সী সন্তানেরা শিক্ষা সহায়কভাতা প্রাপ্য হইবেন।
পাহাড়ি ভাতা এবং পাহাড়ি ভাতার অর্থনৈতিক কোড ৩১১১৩০৯
পার্বত্য জেলাসমূহের জেলা সদর ও সদর উপজেলায় নিযুক্ত সকল কর্মচারীর জন্য মূল বেতনের ২০% হারে সর্বোচ্চ ৩০০০ (তিন হাজার) টাকা এবং অন্যান্য উপজেলার জন্য মূল বেতনের ২০% হারে সর্বোচ্চ ৫০০০ (পাঁচ হাজার) টাকা পাহাড়িভাতা প্রদেয় হইবে।
হাওড় ভাতা এবং হাওড় ভাতার অর্থনৈতিককোড ৩১১১৩৪৩
হাওড়/চর/দ্বীপ হিসেবে ঘোষিত ১৬টি উপজেলায় কর্মরত কর্মকর্ত /কর্মচারিরা হাওড় ভাতা পেয়ে থাকেন।
১৪ তম গ্রেডের স্টাফদের পেনশন কত বা ১৪ তম গ্রেডের পেনশন কত ?
১৪তম গ্রেডের স্টাফদের পেনশনের পরিমাণঃ
যদি ১৪ তম গ্রেডে নিয়োগের পরে আপনি কোন টাইমস্কেল, উচ্চতর গ্রেড নাও পেয়ে থাকেন ১৪ তম গ্রেডের বেতন ও ভাতাদি গ্রহণ করে আপনি অবসরে যান, তাহলে ;
১৪তম গ্রেডে বেতন স্কেল: টাকা ১০২০০-১০৭১০-১১২৫০-১১৮২০-১২৪২০-১৩০৫০১৩৭১০-১৪৪০০-১৫১২০-১৫৮৮০-১৬৬৮০
-১৭৫২০১৮৪০০-১৯৩২০-২০২৯০-২১৩১০- ২২৩৮০- ২৩৫০০-২৪৬৮০
পেনশন ও আনুতোষিক হিসাব =( শেষ বেসিক*শতকরা হার)/২
পেনশন ও আনুতোষিক হিসাব = ( ২৪৬৮০*৯০%)/২
পেনশন ও আনুতোষিক হিসাব =২২,২১২/২
এককালীন আনুতোষিকের পরিমাণ =১১,১০৬ টাকা *২৩০ টাকা
= ২৫,৫৪,৩৮০ টাকা
পেনশন মাসিক পেনশনের পরিমাণ =১১,১০৬ টাকা + মেডিকেল ভাতা-১৫০০টাকা ( ৬৫ বছরের উর্দ্ধে হলে ২৫০০/- টাকা)
নোটঃ ১৪ তম গ্রেডে নিয়োগের পরে আপনার পদোন্নতি না হলেও আপনি অবশ্যই টাইমস্কেল, উচ্চতর গ্রেড পাবেন এবং বেতনের গ্রেড পরিবর্তন হবে। এ ছাড়াও আপনি জাতীয় বেতন স্কেল পেয়ে যাবেন। তাহলে আপনার পেনশন ও আনুতোষিক কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃ
১১তম গ্রেডে বেতন ও ভাতাদি কত ও পেনশন কত হতে পারে ?
১৪ তম গ্রেডের মোট বাড়ি ভাড়া কত ?
চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ ও গাজিপুর সিটি কর্পোরেশন এবং সাভার এলাকার জন্য বাড়ি ভাড়া ভাতার হার:
টাকা ৯৭০০ পর্যন্ত | মূল বেতনের ৬৫% হারে নূন্যতম টাকা ৫৬০০ | মূল বেতনের ৫৫% হারে ন্যূনতম টাকা ৫০০০ | মূল বেতনের ৫০% হারে হারে ন্যূনতম টাকা ৪৫০০ |
৯৭০১ হইতে টাকা ১৬০০০ পর্যন্ত | মূল বেতনের ৬০% হারে নূন্যতম টাকা ৬৪০০ | মূল বেতনের ৫০% হারে নূন্যতম টাকা ৫৪০০ | মূল বেতনের ৪৫% হারে নূন্যতম টাকা ৪৮০০ |
১৬০০১ হইতে টাকা ৩৫৫০০ পর্যন্ত | মূল বেতনের ৫৫% হারে নূন্যতম টাকা ৯৬০০ | মূল বেতনের ৪৫% হারে নূন্যতম টাকা ৮০০০ | মূল বেতনের ৪০% হারে নূন্যতম টাকা ৭০০০ |
টাকা ৩৫৫০১ তদূর্ধ্ব। | মূল বেতনের ৫০% হারে নূন্যতম টাকা ১৯৫০০ | মূল বেতনের ৪০% হারে নূন্যতম টাকা ১৬০০০ | মূল বেতনের ৩৫% হারে নূন্যতম টাকা ১৩৮০০ |
সরকারি চাকরিজীবীদের চিকিৎসা ভাতা মাসে ১৫০০/- টাকা এবং এক বছরে ১৮০০০/- টাকা
নতুন নিয়োগে অনলাইনে বেতন নির্ধারণের প্রদ্ধতি।
আমি বাংলাদেশ সরকারের অডিট এন্ড একাউন্টস বিভাগের একজন কর্মচারি। প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে কর্মরত থাকায় বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ার করে থাকি। তারপরও যে কোন ভুল ত্রুটি হলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কোন পরামর্শ থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।