মধুর উপকারিতা এবং খাঁটি মধু চেনার উপায় ? মধু খাওয়ার নিয়ম ও সময় ?
- মধুর পুষ্টি ও ঔষধি গুণ ?
- খাঁটি মধু চেনার উপায় ?
- মধুর উপকারিতা এবং মধুর গুণে হবে রোগমুক্তি ?
- মধু ক্ষত ও পোড়া সারায় ?
- মধু খাওয়ার নিয়ম ও সময় ?
মধুর পুষ্টি ও ঔষধি গুণ
গুগল নিউজ হতে আপডেট ” নিউজ হতে আইবাস++ ও সরকারি নিউজের আপডেট সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
মধুর এ উচ্চশক্তির ক্যালরি কেবল সাধারণ সুগারের ন্যায় যা রূপান্তর ব্যতীত সরাসরি অস্ত্র থেকে রক্তে সংযোজিত হয়। মধুতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান থাকে। আরো থাকে ২২ শতাংশ Amino acids, 28 percent mineral salts and 11 percent enzymes. It does not contain fat and protein. Honey contains vitamins B1, B2, B3, B5, B6, iodine, zinc ও কপারসহ অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান যা আমাদের শুধুমাত্র দেহের বাহ্যিক দিকের জন্যই নয়, দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সুরক্ষায় কাজ
করে।
খাঁটি মধু চেনার উপায়
মধুতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান থাকে। খাঁটি মধু পানির গ্লাসে ড্রপ আকারে ছাড়লে তা সরাসরি ড্রপ অবস্থায়ই গ্লাসের নিচে চলে যায়। কয়েক ফোঁটা মধু একটি ব্লটিং পেপারে নিলে ব্লটিং পেপার দ্বারা চুষে নিবে না। মধু খাঁটি না ব্লটিং পেপারকে আদ্র করবে।
• মধুর আসাধারণ ঔষধি গুণের কারণে প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মধুতে আছে সৌন্দর্যবর্ধক, স্বাস্থ্যবর্ধক ও রোগ নিরাময়কারি উপাদান। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা, চিকিৎসা ও সৌন্দর্য চর্চায় হাজার হাজার বছর ধরে ব্যাবহার হচ্ছে।
মধুর উপকারিতা এবং মধুর গুণে হবে রোগমুক্তি ?
প্রায় ৪ হাজার বছর আগে থেকেই থেকেই ঔষধ ও রূপচর্চার উপকরণ হিসেবে মধু ১টি জনপ্রিয় উপাদান । প্রাচীন কালে মিশরে মধু ব্যবহৃত হতো পেন বা ব্যাথা ও ঘা সারাতে । গ্রীকরা আস্থা করতো যে মধু দীর্ঘ জীবন লাভ করতে সহায়তা করে । খাবার হিসেবেও এর জুড়ি নেই । বিভিন্ন মিষ্টান্নতে মধু ব্যবহার করা হয় চিনির বিকল্প হিসেবে । সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এই উপাদানটি শরীরের জন্য অত্যন্তউপকারী একটি খাবার । আসুন জেনে নেয়া যাক মধুর ৭টি স্বাস্থ্য উপকারিতা ।
মধু কফ ও কাশি কমায়
শীতের ঠা আবহাওয়ায় অনেকেরই খুসখুসে কাশি ও কফের সমস্যা দেখা দেয় । প্রতিদিন মধু খেলে খুসখুসে কাশি ও কফের সমস্যা কমে ।
আরও জানুনঃ দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ? ই-নামজারি কি ? ভূমি মালিকদের আধুনিক কার্ড
মধু ক্ষত ও পোড়া সারায়
মধুর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাস উপাদান অগ্নিতে দাহ ও কাটা ছেঁড়া সুন্দর হতে সহায়তা করে ।
মধু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
প্রত্যহ মধু খেলে স্তন, পাকস্থলী, ফুসফুস ও অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস পায় যায়।
মধু ত্বক ভালো রাখে
মধুতে আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাস উপাদান । তাই নিয়মিত মধু দিয়ে রূপচর্চা করলে ত্বকে ব্রণ ও অন্যান্য সমস্যা দূর হয়ে যায় । এছাড়াও মধু ত্বককে কোমল করে ও উজ্জ্বলতা বাড়ায় ।
মধু ওজন কমাতে সহায়তা করে
নিত্য মধু খেলে দেহের বাড়তি ওজন কমে যায় । প্রভাতে নিদ্রা হতে উঠার পর খালি পেটে হালকা গরম পানিতে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে নিয়মিত খেলে বাড়তি ওজন অনেকটাই ঝরে যায় ।
হজমে সহায়তা করে
অনেকেই খাবার ঠিক মত হজম করতে পারেন না । নিয়মিত হজমের সমস্যা হয়। খাওয়ার পূর্বে ১ চামচ মধু খেয়ে নিন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
মধুতে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, ভিটামিনও এনজাইম আছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
মধুর উপকারিতা
• মধুর রয়েছে Antioxidant power, which protects the body from various damages;
• Calories in honey increase the number of hemoglobin in the blood, resulting in blood clotting;
• দেহের নানারকম প্রকারের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক করে তার সাথে বৃদ্ধি করে;
• Honey contains starch-digestive enzymes and minerals that contribute uniquely to the maintenance of hair and skin.;
• ঘাড় ব্যাথা, কাশি-হাঁপানি এবং ঠান্ডাজনিত রোগে বিশেষ হিতকর করে;
• গ্লাইকোজেনের লেভেল সুনিয়ন্ত্রিত করে;
• আলসার ও গ্যাস্ট্রিক রোগের জন্য উপকারী;
• বার্ধক্য অনেক দেরীতে আসে;
• মধু কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে;
• ক্ষুধা, হজমশক্তি ও রূচি বৃদ্ধি করে;
• রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
আরও জানুনঃ ভ্রুণ কিভাবে তৈরি হয় ? ডিম্বাণু ও শুক্রাণু কিভাবে মিলিত হয় ? যমজ সন্তান কেন হয় ?
মধু খাওয়ার নিয়ম ও সময় ?
- প্রাচীন যুগ থেকেই মধু নানাভাবে ব্যবহারকৃত হয়ে আসছে। মধুতে বিদ্যমান পর্যাপ্ত হিসাবে মিনারেল, ভিটামিন ও উৎসেচক যা শরীরকে বিভিন্ন অসুখ বিসুখ হতে রক্ষা করে। এছাড়াও ডেইলি প্রভাতে এক চামচ মধু খেলে ঠাণ্ডা, কফ, কাশি ইত্যাদি সমস্যা হ্রাস পায় যায়।
- দেহে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে মধু। কারণ, ভোরে মধু খেলে ওজন কমে। বিশেষ করে প্রভাতকালে খালি পেটে হালকা পানিতে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেলে তা ওজন কমাতে সাহায্য করে কিছুদিনের মধ্যেই। এছাড়াও এতে লিভার পরিস্কার থাকে।
- মধুর সঙ্গে দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে তা রক্তনালীর প্রবলেম দূর করে তার সাথে রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের হিসাব ১০ ভাগ পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। মধু ও দারচিনির এই মিশ্রণ প্রত্যহ খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।
- হজমের প্রবলেম মুছে করার জন্য ডেইলি প্রভাতকালে মধু খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। মধু পেটের অম্লভাব কমিয়ে হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। হজমের প্রবলেম দূর করার জন্য মধু খেতে চাইলে প্রতিবার ভারি খাদ্য খাওয়ার আগে এক চামচ মধু খেয়ে নিন। বিশেষ করে প্রভাতকালে খালি পেটে এক চামচ মধু তবুও খুবই উপকারী।
- মধুতে আছে প্রাকৃতিক চিনি, যা দেহে শক্তি যোগায় এবং দেহকে কর্মক্ষম রাখে। বিশেষ করে যারা মিষ্টি জাতীয় কিছু খেতে পছন্দ করেন, তারা অন্য মিষ্টি খাদ্যের বদলে মধু খেতে পারেন।
রিলেটেড ট্যাগঃ মধুর উপকারিতা, খাঁটি মধু চেনার উপায় ? ,মধু খাওয়ার নিয়ম ও সময় ?,মধু দিয়ে রূপচর্চা,ত্বকের যত্নে মধু,মধু চেনার উপায়,
আমি বাংলাদেশ সরকারের অডিট এন্ড একাউন্টস বিভাগের একজন কর্মচারি। প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে কর্মরত থাকায় বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ার করে থাকি। তারপরও যে কোন ভুল ত্রুটি হলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কোন পরামর্শ থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।