খোরপোষ ভাতা কি? সাময়িক বরখাস্তকালীন কি কি ভাতা প্রাপ্য ?
ভুমিকাঃ সরকারি কর্মচারি/কর্মকর্তাদের চাকরি জীবনে বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজ করার সময় অনেক জেনে বা না জেনে অজ্ঞাতসারে ভুল ভ্রান্তি হয়ে থাকে। এ জন্য অনেক সময় সাময়িক বরখাস্ত হয়ে থাকে, যা চাকরি জীবনের একটি অভিশাপ। সাময়িক বরখাস্ত কালীন সময় বেতন ভাতা, উৎসব ভাতা সহ কি কি সুবিধা প্রাপ্য হবেন , কোন কোন সুবিধা প্রাপ্য হবে না এবং ঐ সময় অফিসে হাজিরা দিতে হবে কিনা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি পোস্ট শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন । তারপরও কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানালে দ্রুত উত্তর পেয়ে যাবেন ।
সাময়িক বরখাস্ত কাকে বলে অথবা সাময়িক বরখাস্ত বলতে কি বোঝায় ?
উত্তরঃ কোন কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে তদন্ত প্রতিবেদনে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে অথবা অভিযোগের তদন্তের পূর্বে যে কোন কারণে কোন হলে কর্মচারী জেলে আটক হলে, গ্রেফতারের তারিখ হতে সাময়িক বরখাস্ত বলে বিবেচিত হবে এবং সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ের জন্য বিধি মোতাবেক প্রাপ্য বেতন-ভাতা প্রাপ্য হবেন। এক্ষেত্রে বিচার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত থাকবেন।
গুগল নিউজ হতে আপডেট ” নিউজ হতে আইবাস++ ও সরকারি নিউজের আপডেট সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
বি এস আর পার্ট-১ বিধি-৭৩ নোট-২।
সাময়িক বরখাস্তের মেয়াদ কত ?
সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের ২১-১১-১৯৭৮ তারিখের নং-ইডি (রেগ) ১২৩/৭৮/১১৫ মোতাবেক কোন কর্মচারী গ্রেফতারের পর জামিন পেলেও মামলার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাময়িক বরখাস্ত থাকবেন। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সাময়িক বরখাস্তের আদেশনামা জারী করবেন।
সাময়িক বরখাস্ত সংক্রান্ত পরিপত্র ও সাময়িক বরখাস্তকালীন কি কি বেতন-ভাতা প্রাপ্য ?
সাময়িকভাবে বরখাস্তকালীন সময় একজন সরকারি কর্মচারী সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের ১০-০৫-১৯৮৩ তারিখের নং-ইডি(রেগ-৪)২০২/৮৩/৩৯ মোতাবেক নিম্নবর্ণিত হারে আর্থিক সহায়তা প্রাপ্য হবেন :
খোরপোষ ভাতা কি ? খোরাকি ভাতার হিসাব ?
খোরপোষ ভাতা:
(১) মূল বেতনের অর্ধেক খোরাকী বা খোরপোষ ভাতাঃ সাময়িক বরখাস্তের পূর্বে প্রাপ্য মূল বেতনের অর্ধেক খোরাকী ভাতা বা খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।
(২) পূর্ণহারে বাড়িভাড়া ভাতাঃ সাময়িক বরখাস্তের পূর্বে যে হারে বাড়িভাড়া ভাতা প্রাপ্য হতেন, সেই হারে প্রাপ্য হবেন।
(৩) পূর্ণহারে চিকিৎসা ভাতাঃ সাময়িক বরখাস্তের পূর্বে যে হারে চিকিৎসা ভাতা প্রাপ্য হতেন, সেই হারে প্রাপ্য হবেন।
(৪) অর্ধহারে উৎসব ভাতাঃ সাময়িক বরখাস্তের পূর্বে যে মূল বেতন ছিল তার অর্ধেক উৎসব ভাতা প্রাপ্য হবেন।
(৫) পূর্ণহারে ক্ষতিপূরণ ভাতাঃ সাময়িক বরখাস্তের পূর্বে প্রাপ্য হারে ক্ষতিপূরণ ভাতা প্রাপ্য হবেন। সাময়িক বরখাস্ত শেষে দন্ড বা পুনর্বহাল হলে ঐ কর্মচারীর সাময়িক বরখাস্তকালীন সময় কি হিসাবে গণ্য হবে তা আদেশ পত্রে উল্লেখ থাকবে। যথাযথ কর্তৃপক্ষ সাময়িক বরখাস্তকালীন সময় কর্মকাল বা ছুটি হিসাবে মঞ্জুর করতে পারেন।সাময়িক বরখাস্তকালীন উপরোক্ত বেতন ভাতাদি প্রাপ্য।
সাময়িক বরখাস্তকালীন উৎসব ভাতা ভাতা প্রাপ্য হবেন কিনা?
সাময়িক বরখাস্তের অব্যবহিত পূর্বে আহরিত মূল বেতনের যে অংশ বা অনুপস্থিত সাবসিষ্টেন্স গ্রান্ট হিসাবে প্রাপ্য সেই অংশের সমান উৎসব ভাতা প্রাপ্য হইবেন।
সাময়িক বরখাস্তকালীন ছুটি প্রাপ্য হবে কি ?
সাময়িক বরখাস্তকালীন ছুটি প্রাপ্য হবে কিঃ
(ক) সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে ছুটি প্রদান করা যাইবে না। (বি এস আর, পার্ট-১ এর বিধি-৭৪)
ছুটিকালীন সময়ে সাময়িক বরখাস্ত ?
ছুটিতে থাকা অবস্থায় কোন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হইলে, সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দানের তারিখ হইতে ছুটি বাতিল হইয়া যাইবে । (বি এস আর, পার্ট-১ এর বিধি-৭৪ এর ১নং নোট)।
উৎসব ভাতার কি বকেয়া প্রাপ্য হবে ?
সাময়িকভাবে বরখাস্তকালীন সময়কে পরবর্তি সময়ে কর্তব্য কাজে রত হিসাবে গণ্য করে বিধি মোতাবেক বকেয়া বেতন ও ভাতা প্রদান করা হলে, সেক্ষেত্রে উৎসব ভাতার বকেয়া প্রদান করা যাবে ।
সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে এ সি আর লিখন ?
সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ের জন্য কোন সরকারী কর্মচারীর বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনের প্রয়োজন হইবে না। ইহার স্থলে সংশ্লিষ্ট অফিস আদেশ বা বিজ্ঞপ্তি ডোসিয়ারে রাখা হইবে। [সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের ১ আগস্ট, ১৯৮৭ তারিখের স্মারক নং সম(সিআর)/(সিপি-৩)-৬/৮৬-১২১(৬১০)
সাময়িক বরখাস্ত কর্মচারীর পদ পূরণ
সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিজস্ব পদটি দখল করিয়া রাখেন। ফলে উক্ত পদটি পদশূন্য হিসাবে বিবেচিত হয় না বিধায় ঐ পদে নিয়োগ করা যায় না। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থে অত্যাবশ্যকীয় হইলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে এই উদ্দেশ্যে সুপারনিউমারি পদ সৃষ্টি করা যাইতে পারে। কিন্তু সাময়িক বরখাস্তকৃত ব্যক্তির সাময়িক বরখাস্তের মেয়াদ শেষ হওয়ার বা চাকরিতে পুনর্বহাল হওয়ার সংগে সংগে সুপারনিউমারি পদটি বিলুপ্ত হইবে। (সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের স্মারক R- III/1S-138/69/50 তারিখঃ ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭০)
সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে কর্মস্থলে অবস্থান বা সাময়িক বরখাস্তকালীন হাজিরা ?
সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী কর্মস্থলেই অবস্থান করিবেন । তবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতিক্রমে অন্যত্র গমণ করিতে পারিবেন। (স্মারক নং (ED(Reg-VI)/S-93/79-87 (500), তারিখঃ ২ সেপ্টেম্বর, ১৯৮০)
সাময়িক বরখাস্তকালীন সময় একজন কর্মচারী/কর্মকর্তা কি কি সুবিধা প্রাপ্য হবেন না ?
সাময়িক বরখাস্তকালীন সময় একজন কর্মচারী নিম্নবর্ণিত সুবিধা প্রাপ্য হইবেন নাঃ
(১) ভ্রমন ভাতা
(২) যাতায়াত ভাতা
(৩) আপ্যায়ন ভাতা বা আপ্যায়ন খরচ
(৪) বাসায় আবাসিক টেলিফেনা সুবিধা
(৫) বাসায় প্রত্রিকার সুবিধা
(৬) বাসায় অর্ডারলি সুবিধা
(৭) সরকারি যানবাহন
[ সম(বিধি-৪) বিবিধ-৮১/৮৮-১ (২০০) তারিখঃ ১-১-৮৯ ইং]
আরও জানুন
আইবাস++এ সরকারি ব্যাংক হিসাবের তথ্য এন্টি এবং মোবাইল নম্বর রেজিস্ট্রেশনের জরুরী নোটিশ
সাময়িক বরখাস্ত হলে করণীয় বা সাময়িক বরখাস্তের নিয়মাবলী বা চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হলে করণীয় কি ?
সাময়িক বরখাস্ত যখন বাধ্যতামূলক ?
নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে সাময়িক বরখাস্তকরণ বাধ্যতামূলকঃ-
১। ফৌজদারী অভিযোগে অথবা দেনার দায়ে জেলে আটক সরকারী কর্মচারী গ্রেফতার হওয়ার তারিখ হইতে সাময়িক বরখাস্ত বলিয়া বিবেচিত হইবেন এবং বিচার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হইবেন।
২। কোন কর্মচারী গ্রেফতারের পর বা আত্মসমর্পনের পর জামিনে মুক্তি লাভ করিলেও সাময়িক বরখাস্ত হিসাবে বিবেচিত হইবেন। তবে এইক্ষেত্রে জটিলতা এড়াইবার জন্য কর্তৃপক্ষ সাময়িক বরখাস্তের ফরমাল আদেশ জারি করিবেন । (সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের অফিস মেমোরেন্ডাম নং ED (Reg.-VI)S- 123/78/115(500), তারিখঃ ২১ নভেম্বর, ১৯৭৮)
সাময়িকভাবে বরখাস্ত যখন ইচ্ছাধীন ?
সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ১৯৮৫ এর বিধি-৩ এর অনুচ্ছেদ (বি), (সি) বা (ডি) এর অধীনে অর্থাৎ অসদাচরণ বা ডিজারসন বা দুর্নীতির অভিযোগে বিভাগীয় কার্যক্রম গ্রহণের প্রস্তাব করার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ও যুক্তিযুক্ত মনে করিলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে বিধি-১১ এর বিধানমতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করিতে পারেন। এইক্ষেত্রে সাময়িক বরখাস্তকরণ কর্তৃপক্ষের ইচ্ছাধীন।
সাময়িক বরখাস্তের নিয়ম বা সাময়িক বরখাস্তের ভিত্তিসমূহ ?
স্মারক নং F.32/48-Ests (SE), তারিখঃ ২১ জুলাই, ১৯৪৯ অনুযায়ী নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ সাময়িক বরখাস্তের আদেশদানের ভিত্তি হিসাবে গণ্য হইবে-
(ক) অভিযোগের স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রাথমিক তথ্য থাকিতে হইবে;
(খ) অভিযোগ এইরূপ গুরুতর প্রকৃতির যে মামলা চলাকালীন সময়ে তাহাকে কর্মে রত রাখা যুক্তিযুক্ত হইবে না, অথবা উক্ত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য দন্ড হইবে চাকরি হইতে বরখাস্ত ;
(গ) মামলা শেষ না অবধি চাকরি বিরত রাখতে যথেষ্ট কারণ যদি থাকে,
(ঘ) শৃঙ্খলার সামান্য বিচ্যুতি বা ছোটখাট অপরাধের ক্ষেত্রে সাময়িক বরখাস্ত করা যাইবে না;
(ঙ) কোন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা যাইবে না, যদি না-
(১) সে ইচ্ছাকৃতভাবে বা এক গুয়েমীভাবে আদেশ পালনে অস্বীকৃতি জানায়;
(২) তদন্তকালে কর্মরত থাকার ক্ষেত্রে তদন্তকাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি বা তদন্তকে ব্যাহত করে;
(৩) কর্মচারী পুলিশ হেফাজতে থাকে ;
(৪) এমন প্রকৃতির অপরাধে অভিযুক্ত যাহা প্রমাণিত হওয়ার ক্ষেত্রে চাকরি হইতে বরখাস্ত দন্ড প্রয়োগযোগ্য ।
সাময়িক বরখাস্তের ক্ষেত্রে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিকরণ
সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের ১১ জুন, ১৯৭৪ তারিখের স্মারক নং D1-38/74- 413(40) অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্তের ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যেমন অর্থকষ্টে পতিত হয়, ঠিক তেমনি সরকারকেও সময়, দক্ষতা এবং আর্থিক অপচয়ের সম্মুখীন হলে।
সাময়িক বরখাস্তকালীন অফিসে হাজিরা দিতে হবে কিনা?
- সাময়িক বরখাস্তকালীন অফিসে হাজিরা দিতে হবে এবং কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতি ব্যতীত কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবে না।
সাময়িক বরখাস্ত কালীন ইনক্রিমেন্ট প্রাপ্য হবেন কিনা ?
- সাময়িক বরখাস্ত কালীন ইনক্রিমেন্ট প্রাপ্য হবেন না।
সাময়িক বরখাস্ত কালীন আইবাসে বেতন ভাতা বা খরপোষ ভাতার বিল ইএফটি করার উপায়?
ibas++ suspension entry বা আইবাস++ এ সাসপেনশন এন্ট্রি :
- আইবাস++ এ কর্মচারি হলে ডিডিও আইডি হতে এবং অফিসার হলে হিসাবরক্ষণ অফিস হতে সাসপেন এন্ট্রি করতে হবে।
ibas++ suspension Approve বা আইবাস++ এ সাসপেনশন অনুমোদন
- হিসাবরক্ষণ অফিস হতে অনুমোদন নিতে হবে। অনুমোদন করলে সাময়িক বরখাস্ত থাকাকালীন প্রাপ্য ভাতাদি অটোমেটিক চলে আসবে।
- Subsistence allowance (Suspension) বা খোরপোষ ভাতা (সাসপেনশন) ভাতার ৩১১১৩৪৪ কোড বাজেট বরাদ্দ নিতে হবে।
- বরাদ্দ থাকার পরও কোড না আসলে সংশ্লিষ্ট এলাকার আইবাস টিমের সহয়তায় কোড পারমিশন নিতে হবে।
- ibas++ এ suspension entry করার প্রথম মাসে পার্শিয়াল বিল করতে হবে।
আর ও জানুন
সাময়িক বরখাস্তের সময় উৎসব ভাতা প্রদান সংক্রান্ত আদেশ ?
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়
বাস্তবায়ন শাখা-৪ ।
নং-অম/অবি(বাস্ত-৪)উঃভাতা-১৬/৯২(অংশ)/৬২৬–১-৯৬ইং তারিখঃ ১৩-১০-১৪০১ বাং
বিষয়ঃ সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়কে ডিউটি হিসাবে গণ্য করায় বকেয়া উৎসব ভাতা প্রদান প্রসঙ্গে ।
উপরোক্ত বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ৩০-৯-৮৫ তারিখের এমএফ/এফডি (ইমপ্লি)-৪এফবি/১২/৮৪/১১৫নং স্মারকের পুনরাবৃত্তিক্রমে নিম্নস্বাক্ষরকারী আদিষ্ট হয়ে জানাচ্ছি যে, সাময়িকভাবে বরখাস্তকালীন সময়কে পরবর্তী পর্যায়ে ডিউটি হিসাবে গণ্য করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীকে বকেয়া বেতন ও ভাতাদি প্রদান করা হলে, সেক্ষেত্রে উৎসব ভাতার বকেয়া প্রদান করা যাবে। তবে সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারী সাময়িক ভাবে বরখাস্তের অব্যবহিত পূর্বে আহরিত মূল বেতনের যে অংশ “সাবসিসটেন্স গ্রান্ট” হিসাবে প্রাপ্য সে অংশের সমান অর্থ উৎসব ভাতা হিসাবে প্রদেয় হবে ।
স্বাক্ষর/-
(মোঃ মকবুল হোসেন)
সহকারী সচিব।
সাময়িক বরখাস্ত থাকা অবস্থায় উৎসব ভাতা সংক্রান্ত ৩০-০৯-১৯৮৫ সালের পরিপত্র?
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ ।
বাস্তবায়ন শাখা-৪।
নং এম, এফ/এফ-ডি (ইমপ্লি-৪) এফ-বি/১২/৮৪/১১৫ তারিখ : ৩০-৯-৮৫ইং
বিষয় : সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়কে ডিউটি হিসাবে গণ্য করায় উৎসব ভাতার বকেয়া দাবী প্রসংগে।
সূত্র ঃ- মহা হিসাব রক্ষনের কার্যালয়ের (সিভিল) স্মারক নং উঃ নিঃ/৫১৫
তাং ২৭-৭-৮৫ ।
মহা হিসাব রক্ষকের কার্যালয়ের সুত্রোল্লেখিত ২৭-৫-৮৫ তারিখের স্মারকের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক নিম্নস্বাক্ষরকারী আদিষ্ট হয়ে জানাচ্ছে যে, সাময়িকভাবে বরখাস্তকালীন সময়কে পরবর্তি সময়ে কর্তব্য কাজে রত হিসাবে গণ্য করে বিধি মোতাবেক বকেয়া বেতন ও ভাতা প্রদান করা হলে, সেক্ষেত্রে উৎসব ভাতার বকেয়া প্রদান করা যাবে ।
স্বা-
(সিরাজ উদ্দিন মাহমুদ) শাখা প্রধান (বাঃ-৪)।
মূল বেতনের অর্ধেক খোরাকী বা খোরপোষ ভাতাঃ সাময়িক বরখাস্তের পূর্বে প্রাপ্য মূল বেতনের অর্ধেক খোরাকী ভাতা বা খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।
# মূল বেতনের অর্ধেক খোরাকী ভাতা বা খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।
# পূর্ণহারে বাড়িভাড়া ভাতা;
# পূর্ণহারে চিকিৎসা ভাতা;
# অর্ধহারে উৎসব ভাতা;
আইবাস++ এ সাসপেনশন এন্ট্রি করার পদ্ধতি জেনে নিতে পারেন।
শেষ কথাাঃ সাময়িক বরখাস্ত চাকরি জীবনের একটি অভিশাপ বটে। আমরা সব সময় সর্তক থাকব যাতে এই অভিশাপ কারও জীবনে না আসে। ধন্যবাদ।
আমি বাংলাদেশ সরকারের অডিট এন্ড একাউন্টস বিভাগের একজন কর্মচারি। প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে কর্মরত থাকায় বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ার করে থাকি। তারপরও যে কোন ভুল ত্রুটি হলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কোন পরামর্শ থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।