যৌথবীমা, দাফন ও কল্যাণ তহবিল অনলাইন আবেদন করার উপায় ২০২৪ ?
যৌথবীমা কি ?
সরকারি এবং তালিকাভুক্ত স্বায়ত্বশাসিত সংস্থায় চাকরিরত অবস্থায় যদি কোন কর্মকর্তা/কর্মচারী মৃত্যুবরণ করলে তাঁর পরিবারকে উক্ত কর্মচারীর সর্বশেষ প্রাপ্ত মাসিক মূলবেতনের ২৪ (চব্বিশ) মাসের সমপরিমাণ অর্থ বা অনূর্ধ ২ লাখ টাকা এককালীন সাহায্য হিসেবে প্রদান করা হয়, তাকে যৌথ বীমা বলা হয়।
কল্যাণ তহবিল ও যৌথ বীমা অর্থ কোন ধরনের কর্মচারীরা প্রাপ্য হবেন ?
সরকারি ও তালিকাভূক্ত স্বায়ত্বশাসিত সংস্থায় কর্মরত অবস্হায় মৃতুবরণ করলে অথবা অক্ষম হলে তার পরিবারকে অনধিক ১৫ (পনের) বছর পর্যণ্ত কল্যাণ তহবিল ভাতা প্রদান করার হয়।
পারিবারিক-পেনশন-ফরম-২-২ ” নিউজ হতে আইবাস++ ও সরকারি নিউজের আপডেট সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
কল্যাণ তহবিল সুবিধা কত দিন প্রাপ্য হবেন ?
- কোন কর্মচারি মানসিক বা শারীরিক অসুখের কারণে চাকরি হতে অবসর গ্রহণ বা অপসারিতে হলে;
- চাকরিতে কর্মরত কোন কর্মচারি মারা গেলে অথবা চাকরি হতে অবসরে যাওয়ার তারিখ হতে দশ বছরের মধ্যে মারা গেলে কর্মচারির পরিবার পনের বছর অথবা অবসরের তারিখ হতে ১০ বছর পর্যন্ত যেটি আগে হবে, ততদিন মাসিক কল্যাণ ভাতা প্রাপ্য হবেন।
- যদি অক্ষমতার জন্য কোন কর্মচারি চাকরি হতে অবসরে গেলে তিনি পনর বছর বা উনসত্তর বছর যেটি আগে হয়, ততদিন দিন পর্যন্ত কল্যাণ ভাতা প্রাপ্য হবেন।
মাসিক কল্যাণ ভাতা কত ?
- মাসিক কল্যাণ ভাতা ২০০০ টাকা প্রাপ্য হবেন।
যৌথবীমার এককালীন অনুদান কার্যক্রম ?
যৌথবীমা: চাকরিরত/ পিআরএল ভোগরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরিবার।
যৌথবীমার এককালীন কত টাকার অনুদান প্রাপ্য হবেন ?
- যৌথবীমার এককালীন সর্বোচ্চ ২,০০,০ ০০/- ( দুই লাখ) টাকার অনুদান প্রাপ্য হবেন।
দাফন/ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুদান পাওয়ার শর্ত ?
দাফন/ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুদান:
- চাকরিতে কর্মরত অবস্থায় বা অবসরে যাওয়ার দশ বছরের মধ্যে মারা গেলে তাদের পরিবার অথবা তাদের সাথে সম্পর্কিত ব্যাক্তি যে কর্মচারির পরিবারের অনুপস্থিতিতে ঐ কর্মচারির দাফন/ সৎকারের ব্যয় বহন করেছেন। তিনি দাফন/ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুদান প্রাপ্য হবেন।
- সরকারি চাকরিতে কর্মরত কর্মচারিদের পরিবারের কোন সদস্যে মারা গেলে কর্মচারী ; ও কর্মচারী কল্যান বোর্ডের তালিকাযুক্ত স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের অবসর প্রাপ্ত কর্মচারী কিংবা তাদের পরিবারের সদস্যে মারা গেলে ( ১০ বছরের মধ্যে) তাদের পরিবার বা তিনি দাফন/ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুদান প্রাপ্য হবেন।
দাফন/ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কত টাকার অনুদান পাওয়া যাবে ?
- কর্মচারীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে পরিবারকে দাফন/অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুদান ৩০,০০০/- টাকা বাবদ প্রদান করা হয়;
- পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর ক্ষেত্রে টা: ১০,০০০/- দাফন/অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুদান বাবদ প্রদান করা হয়।
যৌথবীমা, কল্যাণ তহবিল এবং দাফন/ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আবেদন করার কি কি কাগজ পত্র প্রয়োজন ?
যৌথবীমা, কল্যাণ তহবিল এবং দাফন/ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আবেদন করার সাথে যে সব কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হয়:
১. সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারী রাজস্ব খাতের হলে জাতীয় বেতনস্কেল ২০১৫ অনুযায়ী সর্বশেষ বেতন নির্ধারণের কপি ও তালিকাভূক্ত স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা/কর্মচারীর সার্ভিস বুকের ৩য় পৃষ্ঠা/এস.এস.সি সার্টিফিকেট ( সংশ্লিষ্ট অফিস কর্তৃপক্ষ নিকট হতে সত্যায়িত ফটোকপি)।
২. মৃত্যু সনদের ফটোকপি অফিস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সত্যায়িত (রেজিস্টার্ড চিকিৎসক/ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত)।
৩. ওয়ারিশান সনদ (স্বামী/স্ত্রী, মা-বাবা ও সন্তানদের বয়স, সম্পর্ক, পেশা, বৈবাহিক অবস্থা উল্লেখপূর্বক স্থানীয় ইউ.পি. চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত এবং অফিস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত)।
৪. ওয়ারিশগণ কর্তৃক আবেদনকারীকে প্রদত্ত ক্ষমতাপত্র (স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত এবং অফিস কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত এবং ক্ষমতাপত্রে কল্যাণ/যৌথ/দাফন কথাটি উল্লেখ থাকতে হবে)।
৫. সরকারী চাকরি হতে স্বেচ্ছায় অথবা বাধ্যতামূলক অথবা অক্ষমতাজনিত কারণে অথবা স্বাভাবিক অবসর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবসরের আদেশের অফিস কর্তৃক সত্যায়িত ফটোকপি।
৬. বীর মুক্তিযোদ্ধা সনদের সত্যায়িত ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)(অফিস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সত্যায়িত)।
৭. ইউ. পি. চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত এবং অফিস কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত কর্মচারীর স্বামী বা স্ত্রী ব্যতীত পরিবারের অন্য সদস্যের মৃত্যুর ক্ষেত্রে দাফন অথবা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুদানের জন্য নির্ভরশীলতার প্রত্যায়ন পত্র ।
৮. আবেদনকারীর নমুনা স্বাক্ষর (শুধু কল্যাণ অনুদানের জন্য)।
৯. কর্মচারীর এবং আবেদনকারীর অফিস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
১০. সংশ্লিষ্ট কর্মচারী/কর্মকর্তার বেতন প্রদানের তারিখ উল্লেখ করা সহ শেষ বেতনের সনদ (এলপিসি) অফিস কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত।
আরও জানুনঃ অনলাইনে জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করার উপায় ২০২৪ এবং জিপিএফ হিসাবের স্লিপ বের করার উপায় ?
১১. স্ত্রীর/স্বামীর ক্ষেত্রে পুনরায় বিবাহ না হওয়ার সনদ এবং কন্যা ও ভগ্নির ক্ষেত্রে বিবাহ না হওয়ার সনদ (স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/ ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত এবং অফিস কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত)।
১২. . সংশ্লিষ্ট কর্মচারী/কর্মকর্তার স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া পরিবারের অন্য কোনো সদস্য আবেদনকারী হলে নির্ভরশীলতার সনদ (ইউনিয়ন পরিষদের charman/ wards commissioner কর্তৃক প্রদত্ত এবং অফিস কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত)(প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
১৩. কর্মচারীর মৃত্যুর পর আবেদন দাখিল করতে ৬ মাসের বেশি বিলম্ব হলে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিলম্বের ব্যাখ্যা প্রদান (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
যৌথবীমা, কল্যাণ তহবিল এবং দাফন/ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আবেদন করার কি কি কাগজ পত্র প্রয়োজন ?
কল্যান অনুদানের ক্ষেত্রে | ক. চাকরিরত/পি.আর.এল অবস্থায় মৃত্যুর ক্ষেত্রে | ক্রমিক নম্বর ১,২,৩,৪,৮,৯,১০,১১ |
খ. অবসর অবস্থায় মৃত্যুর ক্ষেত্রে | ক্রমিক নম্বর ১,২,৩,৪,৫,৮,৯,১০,১১ | |
গ. অক্ষমতার কারণে চাকরি হতে অবসরের ক্ষেত্রে | ক্রমিক নম্বর ১,৫,৮,৯,১০ | |
যৌথবীমা অনুদানের ক্ষেত্রে | কেবল চাকরিরত/পি.আর.এল অবস্থায় মৃত্যুর ক্ষেত্রে | ক্রমিক নম্বর ১,২,৩,৪,৯,১০,১১ |
দাফন অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুদানের ক্ষেত্রে | ক. চাকরিজীবীর নিজের মৃত্যুর ক্ষেত্রে | ক্রমিক নম্বর ১,২,৩,৪,৯ |
খ. অবসর অবস্থায় মৃত্যুর ক্ষেত্রে | ক্রমিক নম্বর ১,২,৭ | |
গ. চাকরিজীবীর আয়ের ওপর নির্ভরশীল সদস্যদের মৃত্যুর ক্ষেত্রে | ক্রমিক নম্বর ১,২,৩,৪,৫,৯ |
১৪. যৌথ/দাফন প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে আবেদনকারীর চেক বইয়ের প্রথম পাতার সত্যায়িত ফটোকপি সংযুক্তিতে যুক্ত করতে হবে।
১৫. অনলাইনে পূরণকৃত আবেদন ফরমে কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর ও সীল, কর্মচারীর স্বাক্ষর, স্মারক নং ও তারিখ প্রদানপূর্বক ফরমের স্ক্যান কপি।
যৌথবীমা ও কল্যাণ তহবিল এবং দাফনের অনলাইন আবেদন করার উপায় ২০২৪ ?
যৌথ,দাফন, কল্যাণ তহবিল অনলাইনে আবেদন করার পদ্ধতি:
১. সরকারি ও বোর্ডের তালিকাভুক্ত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত/অক্ষম/অবসরপ্রাপ্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে এবং তাঁর পরিবারের কোন সদস্যের মৃত্যুতে তিনি বা তার পরিবার প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কল্যাণভাতা, যৌথবীমার এককালীন অনুদান ও দাফন অনুদান পাবেন/প্রাপ্য হবেন।
২. ঢাকা মহানগরীতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ে আবেদন করতে হবে।
৩. বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের ওয়েব সাইট www.bkkb.gov.bd এর “কল্যাণ-যৌথ-দাফন অনুদানের অনলাইন আবেদন দাখিল” লিংকটিতে ক্লিক করে অথবা ব্রাউজারের এড্রেস বারে http://sss.bkkb.gov.bd টাইপ করে Enter চাপুন।
আরও জানুনঃ প্রাপ্যতা বিহীন ছুটি ? প্রাপ্যতা বিহীন ছুটি সর্বোচ্চ কত দিনের মঞ্জুর করা যায় ?
৪. হোম পেজ থেকে “রেজিস্ট্রেশন” বাটনে ক্লিক করলে একটি পাতা আসবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য কর্মচারীর ধরণ এবং কর্মচারীর কর্মক্ষেত্রের ধরণ পছন্দ করতে হবে। উল্লেখ্য কর্মচারীর কর্মক্ষেত্রের ধরণ “রাজস্বখাতভুক্ত” হলে পে-ফিক্সেশন এর verification number দিতে হবে এবং কর্মক্ষেত্রের ধরণ “স্বায়ত্তশাসিত” হলে pay fixation এর verification number লাগবে না, শুধু NID নম্বর দিতে হবে।
৫. আবেদনকারীগণ প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দিয়ে “রেজিস্ট্রেশন করুন” বাটনে ক্লিক করার পর তাঁর মোবাইল নম্বরে ৬ ডিজিটের একটি ভেরিফিকেশন কোড যাবে। এই কোড নম্বরটি দিয়ে “সাবমিট” বাটনে ক্লিক করলে “অভিনন্দন, আপনার নিবন্ধন সফলভাবে সম্পূর্ন হয়েছে” এই ম্যাসেজ টি দেখাবে। কোড প্রদানের সময়সীমা ১ মিনিট। অনলাইনে আবেদন করার জন্য বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডে একবারই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
আরও জানুনঃ কোন গ্রেডে কত পেনশন ? সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারিদের কোন গ্রেডে পেনশন কত ২০২৪ ?
৬. সফটওয়্যারে লগইন করার জন্য হোম পেজ থেকে “লগইন” বাটনে ক্লিক করে মোবাইল নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে।
৭. লগইন করার পর ড্যাসবোর্ড থেকে “কল্যাণ-যৌথ-দাফন অনুদান” বাটনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দিয়ে “প্রোফাইল নিশ্চিত করুন” বাটনে ক্লিক করে প্রোফাইল নিশ্চিত করতে হবে।
৮. আবেদন করার জন্য বাম দিকের আবেদনপত্র মেনু থেকে “নতুন আবেদন” বাটনে ক্লিক করে নির্দেশাবলী অনুযায়ী “আমি শর্তাবলীর সাথে একমত” চেকবক্সে টিক দিয়ে পরবর্তী ধাপে আবেদন ফরমের কর্মচারীর তথ্য, আবেদনকারীর তথ্য, অফিস প্রধানের তথ্য প্রদান করে আবেদন ফরমটি প্রিন্ট করতে হবে এবং ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করতে হবে।
আরও জানুনঃ পেনশন ইএফটি কি ? ইএএফটি রিটার্ন কী ? ইএফটি রিটার্ন হলে করণীয় ? পেনশনার মারা গেলে করণীয় ?
৯. এ পর্যায়ে “বিস্তারিত” বাটন থেকে আবেদনের তথ্যাদি দেখা যাবে এবং “আবেদন সংশোধন” বাটনের মাধ্যমে প্রয়োজনে আবেদনের তথ্যাদি সংশোধন করা যাবে।
১০. “চূড়ান্ত দাখিল” বাটনে ক্লিক করে আবেদনের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সত্যায়িত স্ক্যান কপি সংযুক্ত করে আপলোড করতে হবে।
১১. আবেদন ফরম প্রিন্ট করার পর কর্মচারীর অফিস প্রধান/ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার স্বাক্ষর ও সীল, কর্মচারীর স্বাক্ষর, স্মারক নং ও তারিখ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ পূরণকৃত ফরমের স্ক্যান কপি সংযুক্ত ও আপলোড করে “চূড়ান্তভাবে দাখিল করুন” baton click করে আবেদনপেত্রটি সাবমিট করতে হবে। আবেদনটি সফলভাবে সাবমিট হলে আবেদনকারী তাঁর mobile phone আবেদন গ্রহণের diary number ও তারিখ সহ একটি ম্যাসেজ পাবেন এবং পরবর্তীতে অনলাইনে login করে তার আবেদনের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন। চূড়ান্ত দাখিলের পর আবেদনের কোন তথ্য পরিবর্তন করা যাবে না।
আরও জানুনঃ জিপিএফ এর নমিনি পরিবর্তন করার নিয়ম ২০২৪ ?
যৌথবীমা ও কল্যাণ তহবিল এবং দাফন পরিবারের ব্যাখা ?
নোট : “পরিবার” অর্থ:
(অ) সংশ্লিষ্ট কর্মচারী/কর্মকর্তা পুরুষ হলে, তাঁর স্ত্রী বা স্ত্রীগণ ও কর্মচারী/কর্মকর্তা মহিলা হলে, তাঁর স্বামী।
(আ) কর্মচারীর সাথে একত্রে বসবাসরত এবং তাঁর ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল সন্তান-সন্ততিগণ, পিতা, মাতা, দত্তক পুত্র (হিন্দু কর্মচারীদের ক্ষেত্রে), নাবালক ভাই এবং অবিবাহিতা, তালাকপ্রাপ্তা বা বিধবা বোন।
(বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড আইন, ২০০৪ এর ২(ছ) ধারা)
যৌথবীমা, মাসিক কল্যাণ ও দাফন অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুদানের আবেদন ফরম এর সাথে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন ?
আরও জানুনঃ সাধারণ ভবিষ্য তহবিল বা জিপিএফ অগ্রিম উত্তোলনের নিয়ম ২০২৩ অথবা জিপিএফ লোন এর নিয়ম ?
সংযুক্তি
১) জাতীয় বেতনস্কেল ২০১৫ এর সর্বশেষ বেতন নির্ধারণ বিবরণীর (Pay fixation) কপি (রাজস্বখাত ভুক্ত হলে) । তালিকাভুক্ত স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে চাকরি বহির ৩য় পৃষ্ঠা/এস.এস.সি সনদ। (অফিস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সত্যায়িত ফটোকপি); |
2) মৃত্যু সনদের ফটোকপি অফিস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সত্যায়িত (রেজিস্টার্ড ডাক্তার / স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত); |
৩) ওয়ারিশ সনদ (স্বামী/স্ত্রী, মা-বাবা ও সন্তানদের বয়স, সম্পর্ক, পেশা, বৈবাহিক অবস্থা উল্লেখপূর্বক স্থানীয় ইউ.পি. চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত এবং অফিস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত); (পিতা ও মাতা জীবিত না মৃত তা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে) |
৪) ওয়ারিশগণ কর্তৃক আবেদনকারীকে প্রদত্ত ক্ষমতাপত্র (স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত এবং অফিস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত এবং ক্ষমতাপত্রে কল্যাণ/যৌথ/দাফন কথাটি উল্লেখ থাকতে হবে); |
৫) কর্মচারীর ও আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (অফিস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সত্যায়িত ফটোকপি); |
৬) যৌথ/দাফন প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে আবেদন কারীর চেক বইয়ের প্রথম পাতার সত্যায়িত ফটোকপি সংযুক্তিতে নতুন যুক্ত করতে হবে। |
আমি বাংলাদেশ সরকারের অডিট এন্ড একাউন্টস বিভাগের একজন কর্মচারি। প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে কর্মরত থাকায় বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ার করে থাকি। তারপরও যে কোন ভুল ত্রুটি হলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কোন পরামর্শ থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।