কাঠাল খাওয়ার উপকারিতা এবং কাঠালে কি কি ভিটামিন আছে ? কাঠাল বিচির উপকারিতা কি কি ?
পোস্ট সামারীঃ
- কাঠাল খাওয়ার উপকারিতা কি কি ?
- কাঠালে কি কি ভিটামিন আছে ?
- কাঠাল খাওয়ার ২০টি উপকারিতা ?
- কাঠাল বিচির উপকারিতা কি কি ?
- কী কী গুণ আছে কাঁঠালের বীজের ?
- কাঠালের বীজ কী ভাবে খাবেন ?
কাঠাল
কাঁঠাল বাংলাদেশের জাতীয় ফল, এর ইংরেজী নাম হলো (Jackfruit) । বাংলাদেশের সব স্থানেই কম- বেশি কাঁঠাল পাওয়া যায়। মধুমাস ও গ্রীস্মের প্রথমে কাঁচা অবস্থায় তার সাথে গ্রীস্ম ও বর্ষায় পাকা কাঁঠাল পাওয়া যায়। কাঁঠাল আকারে অনেক বড় হয় এবং পুষ্ঠিগুণে ভরপুর। কাঁঠালের ৪-৫ কোষ থেকে ১০০ kilo calories শক্তি আমরা পেয়ে থাকি।
গুগল নিউজ হতে আপডেট ” নিউজ হতে আইবাস++ ও সরকারি নিউজের আপডেট সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
কাঠালে কি কি ভিটামিন আছে ?
- কাঠাল এর হলুদ কালারের কোষ হচ্ছে Vitamin A সমদ্ধ।
- ২-৩ কোয়া কাঁঠাল আমাদের ১ দিনের Vitamin A এর চাহিদা পূরণ করে।
- সেজন্য কাঁঠাল অপুষ্টিজনিত সমস্যা রাতকানা এবং রাতকানা থেকে অন্ধত্ব প্রতিরোধ করার জন্য খুবই যোগ্য ফল। শিশু, কিশোর, কিশোরী এবং পূরণ বয়সী নারী- পুরুষ সব শ্রেণীর জন্যই কাঁঠাল খুবই মঙ্গলময় ফল।
- দেহে Vitamin A এর অভাব দেখা দিলে ত্বক খসখসে হয়ে যায় এবং দেহের লাভণ্যতা নষ্ট হয়ে যায়। এটি কাঁঠাল প্রতিরোধ করতে পারে।
- এ ছাড়া কাঁঠালের ভিতরে ভিটামিন ‘সি’ এবং কিছুটা ‘বি’ আছে। পাকা কাঁঠাল যেমন অনুগ্রহ রয়েছে, তেমনি কাঁচা কাঁঠালও কম উপকারী নয়।
- কাঁচা কাঁঠাল প্রোটিন ও ভিটামিনসমদ্ধ তরকরি।
আরও জানুনঃ ভিটামিন ডি কি ? ভিটামিন ডি এর উপকারিতা ? ভিটামিন ডি এর অভাবে কি কি হয় ?
কাঠাল খাওয়ার ২০টি উপকারিতা ?
- কাঁঠালে ফ্যাটের পরিমাণ অনেক কম থাকে এবং কাঁঠাল খাওয়ার ফলে ওয়েট বা ওজন বাড়ার আংশকা অনেক কম।
- কাঁঠাল পটাশিয়ামের উত্তম উৎস। ১০০ গ্রাম কাঁঠালে পটাশিয়ামের পরিমাণ ৩০৩ মিলিগ্রাম। যারা পটাশিয়উ্চ্চ রক্তচাপ কমাতে সহযোগিতা করে। এ জন্যে কাঁঠালে হাই ব্লাড প্রেসার উপশম হয়।
- কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণ Vitamin A আছে এবং কাঁঠাল রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্যে করে।
- কাঁঠালের সেরা উপযোগিতা হল ভিটামিন সি। প্রাকৃতিকভাবে মানবদেহে ভিটামিন “সি” সৃষ্টি হয় না। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দাঁতের মাড়িকে শক্তিশালী করে ভিটামিন “সি”।
- কাঁঠালে আছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস- আলসার, ক্যান্সার, শীর্ষ রক্তচাপ এবং বার্ধক্য প্রতিরোধে সক্ষম।
- কাঁঠালে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের স্বাস্থ্যকে ক্ষতিকর ফ্রিরেডিকেলস হতে রক্ষা করে। এছাড়াও আমাদেরকে সর্দি-কাশি রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
- tension তার সাথে nervousness কমাতে কাঁঠাল বেশ effective.
- বদহজম রোধ করে কাঁঠাল।
- কাঁঠাল উদ্ভিদের শেকড় হাঁপানী উপশম করে। শেকড় সেদ্ধ করলে যে সর্বশ্রেষ্ঠ পুষ্টি উপাদান নিষ্কাশিত হয় তা হাঁপানীর প্রকোম নিয়ন্ত্রণে সক্ষম।
- চর্মরোগের সমস্যা সমাধানেও কাঁঠালের শেকড় কার্যকরী। জ্বর তার সাথে ডায়রিয়া নিরাময় করে কাঁঠালের শেকড়।
- কাঁঠাল এ প্রচুর পরিমাণে ম্যাঈানিজ রয়েছে, এটি ব্লাডের শর্করা বা সুগারের পরিমাণ কন্টোল করে।
- কাঁঠালে আছে Magnesium, calcium যা হাড়ের আকার ও হাড় শক্তিশালী করে
- কাঁঠালে Vitamin B6 আছে এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
- কাঁঠালে আছে ক্যালসিয়াম শুধুমাত্র হাড়ের জন্য মঙ্গলময় নয় রক্ত গুটানো প্রক্রিয়া সমাধানেও অবদান রাখে।
আরও জানুনঃ ডায়াবেটিস কি ? ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় বা ডায়াবেটিস কমানোর উপায় ?
- ৬ মাসে বয়সের শিশুকে মায়ের ব্রেষ্ট মিল্ক এর সাথে কাঠালের রস খাওয়ালে শিশুর ভিটামিনের অভাব পূরণ হয় ।
- চিকিৎসা শাস্ত্র মতে ডেইলি ২০০ গ্রাম তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে গর্ভবতী মহিলা ও তার গর্ভধারণকৃত শিশুর সব ধরনের পুষ্টির অভাব মুছে হয়।
- প্রেগনেন্ট মহিলাগণ কাঠাল খেলে শরীর সুস্থ থাকে এবং গর্ভের বাচ্চের বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়।
- কাঠাল বুকের দুধ বৃদ্ধি করে।
- এই ফল আঁশালো বিধায় কোষ্ঠকাঠিণ্য মুছে করে।
- কাঁঠালে iron যা দেহের রক্তাল্পতা দূর করে।
আরও জানুনঃ গর্ভাবস্থায় যে সব ভিটামিন খাওয়া যাবে না এবং কোন ভিটামিন খাওয়া যাবে ?
কাঠাল বিচির উপকারিতা কি কি ?
- পাকা কাঁঠালের বিচি বাদামের মতো ভেজে যেমন খাওয়া যায়, তেমনি তরকারি হিসেবেও খাওয়া যায়।
- ১০০গ্রাম কাঁঠালের বিচিতে ৬.৬ গ্রাম আমিষ রয়েছে ও ২৫.৮গ্রাম কার্বোহাইড্রেট আছে।
- সবার জন্যই আমিষসমদ্ধ কাঁঠালের বিচি উপকারী।
- কাঁঠাল বিচি খেয়ে ভিটামিন ‘এ’- এর ঘাটতি পূর্ণ করা সম্ভব।
আরও জানুনঃ ইউরিক অ্যাসিড বেশী থাকলে আমে খাওয়ার অপকারিতা কি ? আম খেলে কি ইউরিক এসিড বেশি হয় ?
কী কী গুণ আছে কাঁঠালের বীজের ?
- কাঁঠালের বীজ খেলে মানসিক চাপ কমে, কারণ এতে বিদ্যমান অনেক পরিমাণে আমিষ ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস।
- এই বীজে ভরপুর মাত্রায় iron থাকে, যা হিমোগ্লোবিনের সেরা উপাদান। রক্তাল্পতা থাকলে আয়রন সমৃদ্ধ ডায়েটের জন্য পুষ্টিবিদরাও কাঁঠাল বীজ খেতে বলেন।
- কাঁঠাল বীজে ভিটামিন এ থাকে। একারণে দৃষ্টি স্বচ্ছ রাখতে তার সাথে চুলের গোড়া দৃঢ় করতে এই বীজ রাখা যেতেই পারে ডায়েটে।
- কাঁঠাল বীজে ভিটামিন এ থাকে।
- যাঁরা নিরামিষ খান তাঁদের পক্ষে মাছ-মাংস হতে আমিষ পাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। কাঁঠাল বীজ সে ক্ষেত্রে ডায়েটে রাখা অতিমাত্রা জরুরি। এটি পেশির শক্তি বৃদ্ধিতেও হেল্প করে।
- কাঁঠালের বীজ রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিলে সেটি নিয়মিত খেলে গ্যাস-অম্বলের আশঙ্কা কমে। এ ছাড়া কাঁঠাল বীজে প্রিবায়োটিক থাকে। এগুলি শরীরে ভাল ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বাড়ায়।
আরও জানুনঃ মধুর উপকারিতা এবং খাঁটি মধু চেনার উপায় ? মধু খাওয়ার নিয়ম ও সময় ?
কাঠালের বীজ কী ভাবে খাবেন ?
- রোদে শুকিয়ে নিয়ে ছোট ছোট করে কেটে ঘিয়ে রোস্ট করে নুন, গোলমরিচ দিয়ে আহার করা যায়।
- রোদে শুকিয়ে নিয়ে তার পর সেদ্ধ করে তেল লঙ্কা দিয়ে মেখে ভোজন করা যায়।
- আর পাঁচটা সব্জির মতোই তরকারি বানিয়ে আহার করা যেতে পারে। নানারকম নিরামিষ তরকারির মধ্যে দিলেও খেতে ভাল লাগে।
- যে কোনও ঝোলে প্রয়োগ করার জন্য পারেন।
তথ্যসূত্রঃকৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর , নীলফামারী।
রিলেটেড ট্যাগঃ কাঠাল খাওয়ার উপকারিতা কি কি ?,কাঠালে কি কি ভিটামিন আছে ? ,কাঠাল খাওয়ার ২০টি উপকারিতা ?, কাঠাল বিচির উপকারিতা কি কি ?, কী কী গুণ আছে কাঁঠালের বীজের ?,কাঠালের বীজ কী ভাবে খাবেন ?
আমি বাংলাদেশ সরকারের অডিট এন্ড একাউন্টস বিভাগের একজন কর্মচারি। প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে কর্মরত থাকায় বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ার করে থাকি। তারপরও যে কোন ভুল ত্রুটি হলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কোন পরামর্শ থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।